অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু বা ইউএফও নিয়ে কয়েকদিন ধরেই খু্ব সরগরম পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে এমন এক ব্যক্তির দেখা মিলেছে যিনি ভিনগ্রহবাসীকে ডেকে আনার ক্ষমতা রাখেন বলে দাবি করেছেন। তার দাবি, ২০২২ সালে পৃথিবীতে সবার সামনে ধরা দেবে এলিয়েনরা।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, এতদিন শুধু চলচ্চিত্র, নাটক বা গল্পে সীমাবদ্ধ থাকলেও ইউএফও নিয়ে খোদ মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের গোপন কিছু নথি প্রকাশের পরই বহুদিনের সেই কল্পনা বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। ১৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ১৪৪টি ইউএফও দেখা দিলেও সেগুলোর কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি দপ্তরটি।
ইতোমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে রবার্ট ব্রিংহ্যাম নামে এক ব্যক্তির দাবি, ইচ্ছা হলেই ভিনগ্রহবাসীকে ডেকে আনতে পারেন তিনি। ওই ব্যক্তি জানান, ভুত আর ভিনগ্রহবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করাই তার কাজ।
রবার্ট ব্রিংহ্যাম বলেন, মেঘমুক্ত নীল আকাশে তাকিয়ে যেকোন একটি জায়গা কেন্দ্র করে একমনে ডাকলেই সাড়া দেয় এলিয়েনরা। ৯৮ শতাংশ সময়ই দেখা দেয় তারা। ইউটিউবে তার ১০ হাজার অনুসারীর জন্য সেসব ভিডিও পোস্টও করেছেন তিনি।
১৯৪৭ সালে রসওয়েলে একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়। তখন থেকেই গুঞ্জন, ভিনগ্রহবাসীর কারণেই ওই ঘটনা ঘটে। ব্রিংহ্যামের দাবি, সেখান থেকেই এক এলিয়েন তাদের ডিএনএ স্থাপন করে গিয়েছিল তার মায়ের শরীরে। এটাই তার অদ্ভুত ক্ষমতার কারণ।
ইউএফওর সঙ্গে যোগাযোগকারী রবার্ট ব্রিংহ্যাম বলেন, আমার মায়ের শরীরে তাদের ডিএনএ স্থাপন করে যায় এলিয়েনরা। তবে পরবর্তীতে কি হতে পারে তা পর্যবেক্ষণ করে আমার মাধ্যমে।
তিনি আরো জানান, একবার তার ডাকে কয়েক হাজার এলিয়েন পৃথিবীতে চলে আসার পর তাদের সতর্ক করেন তিনি। পৃথিবীর কোন ক্ষতির কারণ হয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হাতে ধরা পড়তে চান না তিনি।
তবে ২০২২ সালে এলিয়েনরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে বলে জানান ব্রিংহ্যাম। তখন পৃথিবীর কোন সরকারই আর তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারবে না।
মানুষ পাগল ভাববে ভেবেও ভিনগ্রহবাসীর সঙ্গে যোগাযোগের কথা লুকিয়ে রাখেননি ব্রিংহ্যাম। মার্কিন সরকারও এখন তার কথা বিশ্বাস করছে বলেই পুরনো ঘটনাগুলো এখন প্রকাশ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এসএন
