আর্কাইভ থেকে আবহাওয়া

টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন

টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন
টানা শৈত্যপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছেন সীমান্তবর্তী পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের দাপট। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা না থাকলেও হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। হিমেল হাওয়ায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী অসহায় মানুষ। চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহনের চালকরাও পড়েছেন বিপাকে। শীত প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। জেলা সদর ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন টানা | শৈত্যপ্রবাহে | বিপর্যস্ত | পঞ্চগড়ের | জনজীবন