আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব (সাদপন্থী)। আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করছেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, ইতোমধ্যে ৫০টি দেশের ৪ হাজার ৬০০ বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিস্তিন থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক মুসল্লি ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। মাওলানা সা’দ কান্ধলবীর তিন ছেলে এবং জামাতাও ময়দানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে বুধবার রাত থেকেই জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। কোন জেলার মুসল্লি কোন খিত্তায় অবস্থান করবেন সে দিকনির্দেশনাও ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। ময়দানে মুসল্লিদের অবস্থানও জেলাওয়ারি নির্দিষ্ট খিত্তায় (ভাগে) বিভক্ত করা হয়েছে। খিত্তা পরিচালনার জন্য রয়েছেন খিত্তার জিম্মাদাররা। দ্বিতীয় পর্বে শতাধিক দেশের প্রায় ১০-১২ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। দেশি-বিদেশি ইসলামী চিন্তাবিদ ও ওলামায়ে কেরামগণ ছয় উসুল যথা-ঈমান, নামাজ, এলেম ও জিকির, একরামুল মুসলিমীন, তাসহীহে নিয়ত, দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক মূল্যবান বয়ান রাখছেন। মূল বয়ান সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করা হচ্ছে। এছাড়াও বিষয় ও পেশাভিত্তিক আলোচনা, নতুন জামাত তৈরি, চিল্লায় নাম লেখানো এবং যৌতুকবিহীন বিয়ের মতো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে দ্বিতীয় পর্বেও। এদিকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাতেও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্বেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন ১১শ পুলিশ সদস্য। হকারদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও রুফটপ, ওয়াচ টাওয়ার, সিসি টিভি মনিটরিং, ডগ স্কোয়াডসহ খিত্তায় খিত্তায় পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। সার্বিকভাবে ইজতেমা সফল করতে প্রশাসনের সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপদ যাতায়াত এবং সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে পুলিশ বিভাগ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রোববার ( ২২ জানুয়ারি)  আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আয়োজন শেষ হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিশ্ব | ইজতেমার | দ্বিতীয় | পর্ব | শুরু