আর্কাইভ থেকে শিক্ষা

পাঠ্যবইতে জাতির পিতার বাবার নামও ভুল

পাঠ্যবইতে জাতির পিতার বাবার নামও ভুল
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবার নাম ভুল করা হয়েছে। শেখ বাদ দিয়ে শুধু লেখা হয়েছে লুৎফর রহমান। এছাড়া দুটি ইতিহাসের বইয়ে আরও ১৮টি অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে নতুন কারিকুলাম চালু হওয়ার পর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)‘র ইতিহাস বই নিয়ে নানা বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। জাতির পিতার বাবার নামও ভুল লিখেছে সংস্থাটি। নতুন শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবইয়েও ভুলের ছড়াছড়ি। নবম-দশম শ্রেণির তিন বইয়ের ভুল নিয়ে গেল ২ জানুয়ারি প্রথম সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। যা নিয়ে এরই মধ্যে সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি। এবার ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বইয়ে ইতিহাস নিয়ে আরও ১৮টি ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ছেলেবেলার মুজিব" শিরোনামে ৭ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর বাবা লুৎফর রহমান ছিলেন সরকারি অফিসের কেরানি। অথচ তিনি ছিলেন আদালতের সেরেস্তাদার। পদটি আজও দেশের সব জেলা জজ আদালতে বহাল আছে। কেরানি শব্দটি সাধারণত তাচ্ছিল্য করে বলা হয়। সৈয়দ মুজতবা আলী তার বই কেনা প্রবন্ধে যেমন বলেছেন মাছি মারা কেরানি। একই পৃষ্ঠার দুই জায়গায় কেরানি শব্দটা লেখা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর বাবার নামের সঙ্গে ‘শেখ’ শব্দ যুক্ত করা হয়নি। ওই বইয়ের ৭১ পৃষ্ঠায় "ভাষা আন্দোলন" শিরোনামে আন্দোলনের বর্ণনায় কোথাও বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরা হয়নি। একই বইয়ের তিন জায়গায় কোথাও বাঙালি, হ্রস্ব ইকার দিয়ে, কোথাও বাঙালী দীর্ঘ ঈ কার দিয়ে, আবার কোথাও লেখা হয়েছে, বাঙ্গালি। ৭৭ পৃষ্ঠায় "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রথম সরকার" শিরোনামে লেখা হয়েছে, কর্ণেল ওসমানিকে জেনারেল পদ দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি করা হয়। শুদ্ধ হচ্ছে, তিনি কর্নেল পদে থেকেই মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়ক। আর দেশ হানাদারমুক্ত হবার পর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৭০ পৃষ্ঠায় "রাজনৈতিক সংযোগ" শিরোনামে লেখা হয়েছে, তোমরা তো জানো ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে গ্রেপ্তার বরণ করার আগে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাধীনতার সংগ্রাম যেন এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার বরণ করেছেন, অর্থাৎ স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই শব্দটি প্রথম জাতীয় সংসদে বলেছিলেন খালেদা জিয়া। প্রবীণ শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলছেন, পাল্টাতে হবে পুরো এনসিটিবি। না হলে এমন ভুল হতেই থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী পদে শিক্ষাবিদদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলছে সংশ্লিষ্ঠরা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পাঠ্যবইতে | জাতির | পিতার | বাবার | নামও | ভুল