নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে সড়ক ছেড়েছেন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের আশ্বাসে দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়লে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) কমিশনার মো. মোর্শেদ আলম।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের একটি দাবি ছিল বাস চালক ও হেল্পারকে গ্রেপ্তার করা। তাদের আজ সকালেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন ভিক্টর ক্লাসিকের রুট পারমিট বাতিল ও এই পরিবহন বাস যেন রাস্তা না চলে। ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাস যেন রাস্তায় না চলে সে বিষয়ে আমরা আজ থেকে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া রুট পারমিট বাতিলের বিষয়টি একটু সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা আরও দাবি জানিয়েছে নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও কাওলা এলাকায় নাদিয়ার নামে একটি বাস স্টপেজ করার। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এছাড়া ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলা হবে। আর স্টপেজ নির্মাণের বিষয়টি সিটি করপোরেশন দেখবে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে উত্তরাগামী রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরনিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু অক্ষত ছিলেন।
এদিকে আজ সকালে রাজধানীর বাড্ডার আনন্দনগর থেকে ঘাতক বাসের চালক লিটন ও সহকারী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।