টিকা নিয়ে শঙ্কার কালো মেঘ ধীরে ধীরে কাটছে। একের পর এক আসছে সুখবর। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে আসছে ১০ কোটি ভ্যাকসিন। সংসদে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার চীনের দেড় কোটি টিকা নিয়ে চুক্তি সই ও অর্থপরিশোধের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। যাতে বুধবার ঢাকায় চীনের উপরাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী সিনোফার্মের ২০ লাখ টিকা সরবরাহে প্রস্তুত বেইজিং।
বুধবার জাতীয় সংসদে আরও সুখবর দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জানালেন, আগামী ২-৩ জুলাইয়ের মধ্যে দেশে আসবে মডার্নার ২৫ লাখ টিকা। ডিসেম্বরের মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে মিলবে ৬ কোটি ৩০ লাখ করোনা টিকা। এছাড়া, আগামী বছরের প্রথমার্ধে আসছে জনসনের ৭ কোটি টিকা। যাতে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
দুপুরে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে, চীনের সিনোফার্মের করোনা টিকাদান কার্যক্রম। এই টিকা পাবেন অগ্রাধিকারপ্রাপ্তরা। এজন্য করতে হবে নিবন্ধন। এই কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকরাও এই টিকা নিতে পারবেন।
এছাড়া, ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রম কাল থেকে ঢাকা শহরের ৭টি কেন্দ্রে চালু হবে। এতে অগ্রাধিকার পাবেন প্রবাসী শ্রমিকরা। এই তালিকা দেবে জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো। তবে ওই ৭টি কেন্দ্রে নিবন্ধিত এবং টিকাগ্রহণে এসএমএস পেয়েছেন, তারাই শুধু এখন ফাইজারের টিকা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকায় টিকাদান কেন্দ্র কমিয়ে ৪০টি করা হয়েছে।
এএ