আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

লুকোচুরি খেলার সময় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

লুকোচুরি খেলার সময় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আমানত উল্লাহ ছেলে রায়হান (১৯), মামিশ্বর গ্রামের রমিজ খানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম আমিন (১৯) ও একই ইউনিয়নের ষোলোদানা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩২)। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। তিনি জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করত একই ইউনিয়নের রায়হান, সাদ্দাম হোসেন ও রাকিবুল ইসলাম। গেলো ২০২২ সালে ২৬ ডিসেম্বর নিজবাড়ির পাশে ঘুরতে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে একই দিন বিকেলে ওই বাড়িতে থাকা ছেলে মেয়েদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা করার জন্য সাত্তার মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় রাকিবুল ও সাদ্দাম হোসেনের সহযোগিতায় রায়হান ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে রায়হান। ধর্ষণের পর রায়হান ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বলে রাকিব ও সাদ্দামের মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনা নিয়ে কাউকে বললে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে ভুক্তভোগীকে ভয় দেখায়। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী কান্নায় ভেঙে পড়ে তার বাড়িতে চলে আসে। এ সময় বিষয়টি ভুক্তভোগী তার মাকে জানালে অভিযুক্তরা আরও ক্ষেপে যায়। পরে এ ঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে রোববার (২৯ জানুয়ারি) লাকসাম থায় অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সোমবার সকালে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। পরে একই দিন মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন লুকোচুরি | খেলার | সময় | স্কুলছাত্রীকে | ধর্ষণ