আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

ভুয়া প্রেসক্রিপশন ‘অর্ডার বাই ডক্টর’ লেখা নিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা

ভুয়া প্রেসক্রিপশন  ‘অর্ডার বাই ডক্টর’ লেখা  নিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা

দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন আজ। 

রোববার (৪ জুলাই) বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছিল। 

বিকেল সাড়ে ৪টায় জাহাঙ্গীর নামে এক রিকশাযাত্রীকে নামানো হয়। তিনি জানান, রোগীর জন্য ওষুধ কিনতে মালিবাগ যাচ্ছেন। ম্যাজিস্ট্রেট প্রেসক্রিপশন দেখতে চাইলে তিনি একটি কাগজ দেখান। যেখানে ওষুধের নাম লেখা থাকলেও নিচে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নাম বা সিল-স্বাক্ষর কিছুই নেই। শুধু ‘অর্ডার বাই ডক্টর’ লেখা। যা নার্স লিখে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, এটা প্রেসক্রিপশন নয়। ইনভেস্টিগেশন স্লিপ। প্রেসক্রিপশনে যেমনটা থাকে তা এখানে নেই। এটা অবশ্যই ভুয়া। যথোপযুক্ত কারণ ছাড়া বের হয়েছেন জাহাঙ্গীর নামের ওই যুবক। এজন্য রিকশা থেকে নামিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন।

শুধু জাহাঙ্গীর নয় এমন অনেকেই ঘর থেকে বেড়িয়েছেন যাদের কেউ মাশরুম কিনতে, কেউ আত্মীয়ের বাসায় খাবার দিতে, আবার কেউ যাচ্ছেন বসের বাসায় গৃহস্থালি কাজ করতে। এমন ১৬ জনকে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের কারণে বিভিন্ন মোট ৭ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কাকরাইল মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সেখানেই এসব দৃশ্য ধরা পড়ে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় দেখা যায়, ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তি রিকশায় পুরানা পল্টন থেকে শান্তিনগর মোড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে যাচ্ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয় কথা বলেন। পরে আবার বলেন, তিনি মাশরুম কিনতে যাচ্ছেন। দুই তথ্যের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে পলাশ কুমার বসু বলেন, এখন কঠোর লকডাউন চলছে। এ সময়ে মাশরুম কেনা বা খাওয়া খুবই জরুরি বিষয় নয়। তাই ওই ব্যক্তিকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযান পরিচালনা শেষে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, সরকার যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে তা কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য। হয়তো লকডাউনের কারণে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু এর দীর্ঘমেয়াদী ফল রয়েছে। ব্যক্তি পরিবার, সমাজ ও দেশকে করোনা থেকে সুরক্ষার দিকটা বিবেচনায় আমরা কঠোরভাবে সরকারি বিধিনিষেধ পরিপালনে চেষ্টা করছি। 

ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, এর মধ্যেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কেউ যাচ্ছেন মাশরুম কিনতে, কেউ আবার যাচ্ছেন ফুটবল খেলার অ্যাঙ্কলেট কিনতে, আবার কাউকে কাউকে বলতে শুনলাম ধোলাইপাড়ে ঘুরতে যাচ্ছেন। যা করোনার কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ে না। এ জন্য জরিমানা করা হয়েছে। আমরা জরিমানার চেয়ে সচেতনতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। তবে নিয়ম না মানলে কঠোর আইন প্রয়োগে পিছুপা হব না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভুয়া | প্রেসক্রিপশন | | অর্ডার | বাই | ডক্টর | লেখা | | নিয়ে | র‌্যাবের | হাতে | ধরা