রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ পাঁচজনকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আসামিদের হাজির করে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাবের দাবি করে, হিরো অনিক মগবাজার এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি ইয়াবার কারবারের সঙ্গে জড়িত। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) মধ্যেও অনিক ইয়াবা হোম ডেলিভারি করে আসছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আরো বলেন, হিরো অনিক তার সহযোগীদের নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা মানুষ ও পথচারীদের আটকে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ভারতের কেরালায় নারী পাচারের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া টিকটক হৃদয় ওরফে বাবুর সঙ্গেও হিরো অনিকের সখ্যতা ছিল। হৃদয়কে বিভিন্ন সময় তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহযোগিতা করতেন। এছাড়াও হৃদয়কে তিনি ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
তিনি বলেন, কিশোর বয়সে অনিক অপরাধের সাথে জড়িত হন। ২০১৬ সালে তিনি আলোচিত আরিফ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে পরিচিতি পান৷ হিরো অনিক মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন রাস্তা, পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান, ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মাদকের কারবার চালাতেন।
রাজধানীর মগবাজার, হাতিরঝিল ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা হিরো অনিক। তার নামে হত্যা মামলা, মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ নয়টি মামলা রয়েছে। তার একটি গ্রুপ রয়েছে, যেখানে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছি।
এর আগে, সোমবার রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে হিরো অনিকসহ পাঁচজনকে আটক করে তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র, একটি চেইন, ৩০০ পিস ইযাবা ট্যাবলেট, সাতটি মোবাইল ফোন ও নগদ তিন হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করে র্যাব-৩ এর একটি দল।