ঢাকা জেলার হাসপাতালগুলোর করোনা রোগীদের তথ্য গণমাধ্যমকে না দেয়ার যে নির্দেশনা দিয়েছেন সিভিল সার্জন, তা দেখে আমি অবাক হয়েছি। করোনা বিস্তার নিয়ন্ত্রণে যেখানে নিয়মিত সঠিক তথ্যের প্রয়োজন, সেখানে অবাধ তথ্য প্রবাহ বন্ধ করার নির্দেশনা প্রমাণ করে সরকার করোনার সঠিক তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করছে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের সদিচ্ছা নেই। এমনটাই মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে শুরু থেকেই এ চেষ্টা করে আসছে সরকার। আমি এই অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে সারাদেশের করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রচারে সব ধরনের বাধা প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবন-মৃত্যু নিয়ে সরকারের উদাসীনতায় আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে সংবাদ সংগ্রহ এবং প্রচারে বাধার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সরকারের এই সিদ্ধান্তে তা আবার প্রমাণিত হলো। আর এসব কারণেই মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দিন দিন নিচে নামতে নামতে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫২তে এসে পৌঁছেছে।
মান্না বলেন, এই অবৈধ, দখলদার, স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকলে করোনা সংকট মোকাবিলা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে দেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে, দেশকে বাঁচাতে এই মুহূর্তে সরকারকে অপসারণ করে আপদকালীন সময়ের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হাসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিরাজমান কোভিড-১৯ মহামারিকালীন পরিস্থিতিতে সিভিল সার্জন ব্যতীত অন্য কাউকে টিভি চ্যানেল কিংবা কোনো প্রকার প্রিন্ট মিডিয়ার নিকট স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মকাণ্ড অথবা রোগ ও রোগীদের সম্পর্কে কোনো ধরনের তথ্য আদান-প্রদান বা মন্তব্য না দেয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। একইসঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের রোগীর ছবি তোলা, ভিডিও করা অথবা সাক্ষাৎকার ধারণ করা থেকে বিরত থাকার নিমিত্তে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এস
