এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (আনিক) ও কর্পোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ২১৬টি ভবন ও নির্মাণাধীন স্থাপনা পরিদর্শন করে ২০টি ভবন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া অননুমোদিতভাবে দোকান খোলা রাখা ও যান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় ২২ মামলায় চার লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ শনিবার (১০ জুলাই) কর্পোরেশনের নগরীর ধানমন্ডি, জিগাতলা, হাজারীবাগ, শাজাহানপুর, কদমতলা, কে এম দাস লেন, অভয় দাস লেন, মাতুয়াইল ও শ্যামপুর এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গণপূর্ত অধিদফতরের একটি ও বাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সুবাস্তুর একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ চারটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আর ১১নং ওয়ার্ডের উত্তর শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় ৫০টি ভবন পরিদর্শন করে ৬টি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলা দায়ের ও ১ লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কদমতলা ওয়াসা রোড, মদিনাবাগ, উত্তর মুগদা এলাকায় ২৮টি বাড়ি পরিদর্শন করে দুটি বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া লকডাউনের মধ্যে একটি জুতার দোকান খোলা রাখায় সেখানেও অভিযান চালিয়ে ১টি মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও অভিযানকালে ৬টি বাড়ির মেঝেতে (আন্ডারগ্রাউন্ডে) পানি জমা থাকায় সেগুলোতে দ্রুত বালু ভরাট করার লিখিত মুচলেকার মাধ্যমে সতর্ক করা হয়।
এদিকে, হাজারীবাগ ও জিগাতলায় অভিযান পরিচালনা করে দুটি নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। আর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের অভয় দাস লেন ও কে এম দাস লেন এলাকায় দুটি ভবন ও দুটি দোকানে লার্ভা পাওয়ায় মোট ৫০০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
মাতুয়াইল এলাকায় ৩০টি নির্মাণাধীন ভবন ও কারখানা পরিদর্শন করে একটি বাড়ির সামনে রাস্তায় বর্জ্য ফেলে যান চলাচল ও লোকজনের চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শ্যামপুরের লাল মসজিদ রোড, বালুর মাঠ ও বড়ইতলা এলাকায় ৫৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে দুটি নির্মাণাধীন ভবনে মশার মশার লার্ভা পাওয়ায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
শেখ সোহান
