এবার আর কল্পনার জগতে নয়। গাড়ির গদিতে এলানো যাবে মাথা। জ্যামে ফেঁসে গেলেও চিন্তা নেই। হাল্কা চাপ দিলেই চলবে ম্যাসাজ ফাংশন সুইচে। গাড়ির গদি মালিশ করে দেবে পিঠে। পৃথিবীর অন্যতম দামী গাড়ির ব্র্যান্ড বিএমডাব্লু নিয়ে এল এমনই এক নতুন এক্স ওয়ান। গেলো শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ভারতের বেঙ্গালুরুর জয় টাউনে পর্দা উঠল যার।
অতি সম্প্রতি শিল্পপতি আদিল খান দুরানি যা উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্তকে। পপ তারকা প্যারিস হিলটনের গ্যারেজে রয়েছে এই এক্স সিরিজের গাড়ি। সেটার দাম যদিও কোটি টাকারও বেশি। মধ্যবিত্তর গাড়ি শখ মেটাতে নতুন এক্স ওয়ান তৈরি হয়েছে চেন্নাইয়ের কারখানায়। বিএমডাব্লু দেশীয় ভার্সনের দাম অনেকটাই কম। নতুন বিএমডাব্লু এক্স ওয়ান ডিজেল ভার্সনের দাম ৪৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। গাড়ির দরজার খুলতে চাবি লাগবে না। স্মার্ট ফোনে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমেই খুলবে কপাট।
ভারত নাকি বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ? বিএমডাব্লু গাড়ির বিক্রি যদিও প্রশ্ন তুলছে সে সমীক্ষায়। যে গাড়ির দামে অনায়াসে গোটা চারেক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনা যাবে। ধুমধাম করে উতরে যায় গোটা বিশেক বিয়েবাড়ি। তেমন প্রাচুর্য মণ্ডিত বিএমডাব্লুর বিক্রি বেড়েছে এ দেশে।
ভারতের বিএমডাব্লুর প্রেসিডেন্ট বিক্রম পাওয়া জানিয়েছেন, চলতি বছরে এ দেশে বিএমডাব্লু ব্র্যান্ডের গাড়ি বিক্রি হয়েছে মোট ১১ হাজার ২৬৮টি। যা গেলো বছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। বিএমডাব্লু মিনি (ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি) বিক্রি হয়েছে ৭১৩ টি। বিগত বছরের হিসেবের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ১১ শতাংশ। শুধু তাই নয়, গেলো ৩৬৫ দিনে সাত হাজারের উপর বিশ লক্ষ টাকার বিএমডাব্লু বাইকও বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ চল্লিশ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে বিএমডাব্লু বাইকের। কেন নতুন গাড়ির নাম এক্স ওয়ান? প্রেসিডেন্ট বিক্রম পাওয়া জানিয়েছেন, এক্স কথাটি এসেছে ইংরেজি এক্সিড থেকে। বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায় অতিক্রম। নতুন কিছু অর্জন করার জন্য যারা যেকোনও বাঁধা অতিক্রম করতে প্রস্তুত। তাদের জন্যই বিএমডাব্লু এক্স ওয়ান। নতুন গাড়ির ভেতরের জায়গা অনেক বেশি। সামনে পিছনে প্রতিটি লাইটই এলইডি, থ্রি ডি উইনডো।
গাড়িতে হারমন কারডন-এর মিউজিক স্পিকার। ৩৬০ ওয়াট অ্যামপ্লিফায়ারের বারোটা ডলবি ডিজিটাল স্টিরিও স্পিকার সম্বলিত এ গাড়িতে গান শুনলে মনে হবে যেনো কোনও অডিটোরিয়ামে বসে লাইভ শুনছেন। ৫২৭ লিটার জিনিসপত্র এঁটে যাবে গাড়ির ডিকির মধ্যে। ইঞ্জিনে রয়েছে ১৪৮ টি ঘোড়ার শক্তি। শূণ্য থেকে একশো কিলোমিটার স্পিডে উঠতে লাগবে মাত্র ৮.৯ সেকেন্ড।