আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আমার বিজয় ছিনতাই হয়েছে, আদালতে যাবো : হিরো আলম

আমার বিজয় ছিনতাই হয়েছে, আদালতে যাবো : হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে এগিয়ে থেকেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ আসনে মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪ ভোট। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। ভোটের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হিরো আলম। তিনি বলেন, এই আসনে নৌকা-ধানের শীষের প্রার্থী ছিল না। নির্বাচন নিয়ে শুরুতে ভোটারের আগ্রহও কম ছিল। শুধু আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসার কারণেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারেরা কেন্দ্রে এসে দলমত-নির্বিশেষে সবাই একতারা প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। সেখানে মশাল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল না। অথচ হঠাৎ করে ফল পাল্টিয়ে মশাল পাস দেখানো হলো। একতারার বিজয় ছিনতাই হয়েছে। এই ফলাফল ভোটারেরা মানতে পারছেন না, এ কারণে প্রত্যাখ্যান করেছি। ফলাফল বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করার প্রস্তুতি নিয়েছি। হিরো আলম বলেন, এ আসনে ভোট চুরি হয়নি, লজ্জাজনকভাবে ফলাফল চুরি হয়েছে। ভোটারেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে বিপুল ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত কর্মকর্তারা আমার মতো অশিক্ষিত মূর্খ ছেলেকে 'স্যার' ডাকতে হবে, এতে তাদের মান সম্মান থাকবে না, শুধু এই কারণে মুহূর্তের মধ্যে ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচনী এজেন্টদের কাছে সরবরাহ করার কথা থাকলেও বেশ কিছু কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের কাছে ফলাফল সরবরাহ করা হয়নি। আবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণার সময় ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ থেকে ৩৯টি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রভিত্তিক ঘোষণা করা হয়। একতারার বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর হঠাৎ ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখা হয়। সব তথ্য প্রমাণ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করব। ফলাফল পাল্টিয়ে আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে সেটা দেশবাসীর কাছে প্রমাণ করেই ছাড়ব।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আমার | বিজয় | ছিনতাই | হয়েছে | আদালতে | যাবো | | হিরো | আলম