যশোর থেকে ঢাকায় এসে এক নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের চার মাস পর সন্তানদের দেখতে এসে এ ঘটনার স্বীকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দশ দিন আগে এ ঘটনায় মামলা হলেও বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে শনিবার।
গেলো ২৬ জানুয়ারি থানায় করা মামলায় ওই নারী (২৯) জানিয়েছেন, স্বামী সালমান ও দুই সন্তান নিয়ে ওই নারী মোহাম্মদপুর থানার এলাকার বছিলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামী একজন রাজমিস্ত্রি।
পারিবারিক বিরোধে মাস চারেক আগে স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর বিচ্ছেদ হয়। এরপর ওই নারী সন্তানদের তাদের বাবার কাছে রেখে গ্রামের বাড়ি যশোরে চলে যান।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, গেলো ২৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সন্তানদের দেখতে ওই নারী একাই যশোর থেকে বছিলায় আসেন। কিন্তু স্বামী সন্তান নিয়ে যে বাসায় থাকতেন, সে বাসায় গিয়ে জানতে পারেন- তারা কেউ নেই।
“এরপরেই তাদের খোঁজে আশেপাশে দুইজনকে জিজ্ঞাসা করে কোনো সঠিক ঠিকানা না পেয়ে যশোর যেতে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি রিকশা ভাড়া করেন। কিন্তু রিকশাওয়ালা তাকে গাবতলী না নিয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করা কালে হঠাৎ করে দুইদিক থেকে দুইজন তার রিকশায় উঠে জিম্মি করে ফেলে।”
পরে রিকশাওয়ালাসহ তিনজন তাকে ভয় দেখিয়ে বছিলার ফিউচার টাউনের ৫ নম্বর সড়কে একটি নির্মাণাধীন বাসার শ্রমিকদের অস্থায়ী টিন শেড ঘরে নিয়ে আটকে রাখে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।
এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি বলেন, “সেখানে আরও দুইজন ছিল এবং তাকে সবাই মিলে চড় থাপ্পড় দেওয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিয়ে রিকশাওয়ালাসহ চারজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একজন ধর্ষণ না করে পাহারা দেয় বলে ওই নারী তার দায়ের করা মামলায় জানিয়েছেন।”
পরে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায় উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়েছে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ওই নারীর মা জানান, তার মেয়ে সন্তানদের দেখতে ঢাকায় আসে। ধর্ষণের ঘটনার পর তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।”