আর্কাইভ থেকে এশিয়া

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: প্রাণহানি প্রায় ৮ হাজার

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: প্রাণহানি প্রায় ৮ হাজার
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানি প্রায় ৮ হাজার। আহত প্রায় ২০ হাজার। শুধু তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৯৪ জনের। আর সিরিয়ায় আরও ১ হাজার ৯৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ পর্যন্ত তুরস্কে ৮ হাজার জনকে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরও প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ জীবিত বা মৃত অবস্থায় এখনও আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। তুষারপাত ও বৃষ্টিতে ব্যাপক বিঘ্নের মধ্যেই উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন ২৪ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী। হিমশীতল আবহাওয়ায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। এর মধ্যে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের ১০টি অঞ্চলে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং ১০টি শহরকে ভূমিকম্প দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্ধার অভিযানে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন নাগরিকরা। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা আসতে শুরু করেছে। এদিকে, গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ার সব অঞ্চলে উদ্ধারকারীরা এখনও পৌঁছাতে না পারায় ক্ষোভ বাড়ছে। এক্সক্যাভেটর, ক্রেনের মতো সরঞ্জাম না থাকায় শাবল, হাতুড়ি নিয়েই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন সিরিয়ার উদ্ধারকারীরা। উল্লেখিত, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়ার ৪টার দিকে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকা। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ তুরস্ক। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়ায়। বিশেষজ্ঞদের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, টেকটোনিকের ফল্টলাইনে বড় ভাঙনের কারণে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। তাছাড়া ভূমিকম্পটি ভোরে আঘাত হানে যখন, অনেকেই বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ভূমিকম্প না হওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। ভূমিকম্পে তুরস্কের প্রায় ১০০ কিলোমিটার ফল্ট লাইন ভেঙে গেছে। ফলে ওই লাইনের কাছাকাছি থাকা ভবনগুলো ধসে গেছে, যা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তুরস্কসিরিয়ায় | ভূমিকম্প | প্রাণহানি | প্রায় | ৮ | হাজার