আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও দেশের বাইরে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করেছিল তামিম ইকবালরা। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) হারারেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের জয়ে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। তামিম ইকবালের চমৎকার সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের করা ২৯৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৪৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান করে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম, আর সিরিজ সেরা সাকিব আল হাসান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ সিরিজ জয় বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু সিরিজ জয় নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পয়েন্টের হিসাব। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পয়েন্টের হিসাব রয়েছে। তিন ম্যাচ জিতে নিজেদের খাতায় বাংলাদেশ ৩০ পয়েন্ট যোগ করেছে। এর ফলে ১২ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৮০। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ফলে বাংলাদেশ ভালো একটা অবস্থানে রয়েছে।

জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে দীর্ঘ এক যুগ পরে বিদেশের মাটিতে আবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল।

টস জয়ের পর বাংলাদেশ এ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেয়। বল হাতে শুরু থেকেই বাংলাদেশের মুখে স্বস্তির হাসি ছিল। তবে ইনিংসের শেষে সেই হাসি আর ছিল না। রেজিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা ও রায়ায় বুরির চমৎকার ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ে স্কোর বোর্ডে বড় রান সংগ্রহ করে। চাকাভা ৮৪ রান করেন। সিকান্দার রাজা ও রায়ান বুরির যথাক্রমে ৫৭ ও ৫৯ রান স্কোর বোর্ডে জমা করেন। এ ছাড়া ব্রেন্ডন টেলর ও ডিওন মায়ার্সের ২৮ ও ৩৪ রান জিম্বাবুয়ের সংগ্রহকে ২৯৮ রানে পৌঁছে দেয়।

মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে পড়ে জিম্বাবুয়েকে তিন শ রানের কাছাকাছি অবস্থানে গিয়েও ৩০০ ছোঁয়া হয়নি। ৪৯.৩ ওভারে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। উভয়ে তিনটি করে উইকেট পান।

লক্ষ্যমাত্রা বড় হলেও বাংলাদেশকে কখনো দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। তবে চলার পথটা যে একেবারে সাবলীল ছিল না তা নয়, ইনিংসের মাঝ পথে পথ হারানোর শঙ্কা যে একটুও জাগেনি তা নয়। বিশেষ করে পরপর দুই বলে সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ আউট হলে একটু শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে নুরুল হাসান ও আফিফ হোসেন ঠিকই বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

তামিম ইকবালের এটি ছিল ক্যারিয়ারের চতুর্দশ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। শুধু তাই নয়, তার ক্যারিয়ারে এটি দ্রুততম সেঞ্চুরি। মাত্র ৮৭ বলে তিনি তিন অঙ্কের রানে পৌঁছান। শেষ পর্যন্ত ৯৭ বলে ১১২ রানে শেষ হয় তার ইনিংসটি। এর আগে তামিমের দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল ৯৪ বলে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

২৯৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লিটন দাস ও তামিম ইকবাল প্রথম উইকেটে ৮৮ রান যোগ করেন। মূলত এ জুটির রান বাংলাদেশের পথটা সহজ করে দেয়। যদিও অন্য কোনো ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি, তবে জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। তামিম তার ১১২ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন আটটি চার ও তিনটি ছয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ৪৫ এসেছে নুরুল হাসানের ব্যাট থেকে। ৩৯ বলে তিনি এ রান করেন।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন জিম্বাবুয়েকে | হোয়াইটওয়াশ | করলো | বাংলাদেশ