ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয় । এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুকুরিয়া, নাজিরপুর ও মীরাকান্দা গ্রামের লোকজন ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ ঘটনায় উভয় কমপক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার পুকুরিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সুলতান মাতুব্বর নামে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে সংঘর্ষে আহতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলার মীরাকান্দা গ্রামের ফারুক মীর স্থানীয় পুকুরিয়া বাজারে বাজার করতে যান। মাছ বাজারে এক জেলের সঙ্গে মাছের দাম করেন। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুকুরিয়া গ্রামের করিম মাতুব্বরও ওই মাছের দাম বলে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ফারুক মীর একই মাছের দাম করায় ক্ষিপ্ত হন করিম মাতুব্বর। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ফারুক মীরকে থাপ্পড় মারেন করিম মাতুব্বরের ছেলে সুলতান মাতুব্বর। তাৎক্ষণিক নাজিরপুর গ্রামের কয়েকজন মাংস ব্যবসায়ী ফারুক মীরের পক্ষ নিয়ে করিম মাতুব্বরের ছেলে সুলতান মাতুব্বরকে বেধড়ক মারধর করে আহত করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুকুরিয়া, নাজিরপুর ও মীরাকান্দা গ্রামের লোকজন ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে বলেন, মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ২০ থেকে ২৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
এএম