আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ভারতের কারাগারে বন্দি ৭ বাংলাদেশির মুক্তির দাবি পরিবারের

ভারতের কারাগারে বন্দি ৭ বাংলাদেশির মুক্তির দাবি পরিবারের

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের কারাগারে থাকা সাত বাংলাদেশির মুক্তির জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বাংলাদেশি পরিবারের স্বজনরা। ভারতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশিদের বাড়ী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার সমন্বয়পাড়ায়।

পরিবারের পক্ষে থেকে আশরাফুল আলম গত ৬ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কারাগারে থাকা বাংলাদেশিরা হলেন, মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোনামিয়া (৫০) ও তার স্ত্রী শিফাহারী ওরফে শেফালী (৪৫), ছেলে হাবিবার (১৮), নুরনবী মিয়া (২৩), নুরনবীর স্ত্রী শালিমা বেগম (১৮), নুরনবীর ছেলে সাকিবুল ইসলাম (৭), নুরনবীর মেয়ে নুরনাহার (৫)।

জানা গেছে, কারাগারে থাকা বাংলাদেশিরা জীবিকার সন্ধানে সীমান্ত পেড়িয়ে ভারতে যায়। ভারতের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হরিয়ানা রাজ্যের রেওয়ারি জেলার নাহারলাখি গ্রামের ইট ভাটায় র্দীঘদিন ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে কাজ করতেন।   

গত ৪ জুলাই ভোর ৬ টার দিকে তারা দেশে ফেরত আসার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করার সময় বিএসএফের সম্মিলিত বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে তাদেরকে সাহেবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। সাহেবগঞ্জ থানা পুলিশ একই পরিবারের ৭ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

আবেদনকারী পরিবারের সদস্য আশরাফুল আলম জানান, গত ৫ জুলাই সকালে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ এবং কাশিপুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য তাদের বাড়িতে এসে জানায়, তাদের পরিবারের ৭ সদস্য বাংলাদেশের পাথরডুবি সীমান্তের ওপারে ভারতের সাহেবগঞ্জ বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন। পরে তাদের নাম ঠিকানা ও ছবি প্রর্দশন করে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত হন।

ছিটমহল আন্দোলনের সাবেক নেতা গোলাম মোস্তফা খান জানান, ভারতে আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তারা বাংলাদেশ সরকারের ২০১৬ সালের গেজেটভুক্ত। তাই তিনি তাদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম আবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের নাগরিকত্বের বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশি নিশ্চিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভারতের | কারাগারে | বন্দি | ৭ | বাংলাদেশির | মুক্তির | দাবি | পরিবারের