রাতের আকাশে উজ্জ্বল এক উল্কা খসে পড়া দেখে হতবাক নরওয়ের বাসিন্দারা। একটি ফুটেজে দেখা যায়, দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় শক্তিশালী আলোর ঝলকানি দেখা গেছে। রাজধানী অসলোর কাছে একটি বনাঞ্চলে উল্কাপিন্ডের অবশেষ পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে অনুসন্ধান শুরু করেছে বিশেষজ্ঞ একটি দল।
নরওয়ের উল্কা নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় রাত প্রায় একটার দিকে অন্তত পাঁচ সেকেন্ড ধরে বায়ুমন্ডলে উল্কা জ্বলতে দেখা গেছে।
এই ঘটনার পর কয়েকটি জরুরি কল পেলেও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে নরওয়ে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, রোববার এই ঝলকানির সঙ্গে সঙ্গে একটি জোরালো শব্দও শোনা গেছে।
মহাকাশে ভেসে বেড়ানো পাথর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে দ্রুতগতিতে প্রবেশের পর জ্বলে ওঠে। একেই উল্কা বলা হয়ে থাকে। আর এর অবশেষ পৃথিবীর মাটিতে পড়লে তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়।
প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৬.৩ কিলোমিটার গতিতে ছুটে আসা উল্কাটিকে নরওয়ের দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশজুড়ে দেখা গেছে। দেশটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেগার্ড রেকা জানিয়েছেন, ওই সময় জেগে ছিলেন তার স্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের আগে বাতাসে কিছু একটা কাঁপতে দেখেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেগার্ড রেকার স্ত্রী। একে নরওয়ে বা পৃথিবীর যেকোন স্থানে দেখা যাওয়া চমৎকার এক ঘটনা বলে বর্ণনা করেন তিনি।
উল্কাপিন্ডটি যে স্থানে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে একদল বিশেষজ্ঞ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশের এই পাথরটি ফিনেমারকা নামের একটি বনাঞ্চলে পড়েছে। রাজধানী অসলো থেকে স্থানটির দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেগার্ড রেকা জানিয়েছেন, ক্যাম্পিংয়ে থাকা একটি দল জানিয়েছে, তাদের প্রায় মাথার ওপর বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। উল্কাপিন্ডটির ওজন প্রায় দশ কেজি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা খুব বেশি বড় না হলেও অনেক মানুষ দেখতে পাওয়ার ঘটনা বেশ বিরল।
এসএন