রবি ঠাকুর সেই কবেই চুমুকে বলেছিলেন ‘অধরের কানে যেন অধরের ভাষা’। চুমু কিন্তু সব সময় যৌনতার প্রথম পদক্ষেপ নয়। কখনও কখনও তা হয়ে ওঠে প্রচণ্ড আবেগের বহিঃপ্রকাশ। প্রিয় মানুষটির ঠোঁটে ঠোঁট মেলানোর অভিজ্ঞতা কমবেশি অনেকেরই রয়েছে। সম্পর্কের ভিত শক্তিশালী করতে চুমুর ভূমিকা অপরিসীম। সম্পর্কে মান-অভিমানের পালা চলতেই থাকে। মান ভাঙাতে এমন আদরণীয় হাতিয়ারের চেয়ে বড় কিছু হতেই পারে না।
রবি ঠাকুরের এ ভাষার যে এমন বহুমুখী উপযোগিতা সেটা কি কেউ কখনও জানত? আধুনিক গবেষণা কিন্তু বলছে চুমু যে শুধু প্রেমকে মধুময় করে তাই-ই নয়, স্বাস্থ্যের পক্ষেও দারুণ উপযোগী এই চুমু।
গবেষকদের মতে, নিয়মিত চুমু খেলে সেরোটোনিন হরমোন ক্ষরণ হয়। যা ‘ফিল গুড’ হরমোন নামে পরিচিত। অনিয়মের কারণে যেটুকু মেদ জমে শরীরে, একটি চুমুই তা ঝরিয়ে ফেলতে পারে খুব সহজে।
চলুন জেনে নেয়া যাক চুমুর আর কি কি উপকারিতা রয়েছে-
হরমোন
চুম্বনের ফলে মস্তিষ্কে ক্ষরিত হয় অক্সিটোসিন, ডোপামাইন ও সেরোটোনিন হরমোন। যা আসলে শরীরে সুখানুভূতি তৈরি করে। চুম্বনে নিয়ন্ত্রণে থাকে কর্টিসল, যা আদতে একটি স্ট্রেস হরমোন। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে মানসিক চাপও।
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল
চুম্বনের ফলে রক্তনালির সম্প্রসারণ হয়। ফলে স্বাভাবিক থাকে রক্ত সঞ্চালন। যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সমীক্ষা জানাচ্ছেন, যে চুম্বনে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরলের পরিমাণও।
দাঁতের সমস্যা
চুম্বনের ফলে মুখগহ্বরে লালা গ্রন্থির ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে। এর ফলে দাঁতের আস্তরণ সৃষ্টিকারী পদার্থগুলি জমতে পারে না। পাশাপাশি, এর ফলে দন্তগহ্বর তৈরি হতে পারে না।
ত্বকের যত্নে
চুম্বনে প্রতি সেকেন্ডে ঝরে দুই থেকে তিন ক্যালোরি। সেই সঙ্গে বাড়ে বিপাক হারও। মুখের মাংস পেশির সঙ্কোচন ও প্রসারণ হয় চুম্বনের সময়ে। কাজেই চুম্বনের ফলে মুখের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। শুধু প্রেমের উদযাপনই নয়, সৌন্দর্য বাড়াতেও জুড়ি মেলা ভার চুম্বনের।
সূত্র: হেলথ লাইন