আওয়ামী লীগ মনোনীত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। তিনি রাষ্ট্রপতি পদে একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় এখন আর ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না।
নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময় রোববার বিকেল চারটা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া আর কারও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। আগামীকাল সোমবার দুপুরের মধ্যে প্রার্থিতা বাছাইয়ের পর নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত জানাবে।
এর আগে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নামে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু প্রথম পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতা। তিনি বাংলার বাণীর পাবনা জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এখনও পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। ৭৫- এর পর কারামুক্ত হয়ে শুরু করেন আইন পেশা। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম হামলা চালায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ওই ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠন করে, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনাজেলায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ছাত্র জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর কারা বরণ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।