Connect with us

বাংলাদেশ

এখনকার শিশুরা ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ক্রীড়াক্ষেত্রে গৌরব উজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ দেশের গুণী ৮৫ ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে দেয়া হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৮৫ জন কৃতি ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠককে ‌এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ভরপুর ছিলো ক্রীড়ার তারার মেলা! দেশের বিশিষ্ট খেলোয়াড়, সংগঠক, কোচরা এক ছাদের নিচে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সময় স্বল্পতার জন্য শুধুমাত্র ২০২০ সালের পদকজয়ীদের মঞ্চে পদক দেয়া হয়। 

বিগত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এবার সশরীর উপস্থিত থাকতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘সশরীর উপস্থিত থাকতে পারলে খুব ভালো লাগত। আগামীতে অবশ্যই থাকব এবং এই পুরস্কার প্রতি বছর আয়োজন করতে হবে।’

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী খেলোয়াড়রা ভালো করছে। তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।’ 

তিনি প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। গ্রামীণ খেলাগুলো আমাদের চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সহায়তা করছি। আমরা চাই, আমাদের এ খেলাগুলো আরো এগিয়ে যাক।’ 

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে খেলার সুযোগ কম। শিশুরা ফ্ল্যাটে বাস করে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মায়েদের প্রতি অনুরোধ, কিছু সময়ের জন্য যেন শিশুরা খেলতে পারে, এমন ব্যবস্থা করতে।’

প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ২০২০ সালে নির্বাচিত ৮ জনকে মঞ্চে পদক পরিয়ে দেন। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে পান একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সনদপত্র।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন :

(১) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (মরণোত্তর)

(২) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুর রহমান সিনহা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট) (মরণোত্তর)

Advertisement

(৩) নাজমুল আবেদীন (ফাহিম), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট কোচ)

(৪) মোঃ মহসীন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৫) মোঃ মাহাবুবুল এহছান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(৬) গ্র্যান্ডমাস্টার মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (দাবা)

(৭) বেগম নিলুফা ইয়াসমিন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৮) আব্দুল কাদের স্মরণ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৯

(৯) তানভীর মাজহার তান্না, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(১০) অরুন চন্দ্র চাকমা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস) (মরণোত্তর)

(১১) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (আর্চারি)

Advertisement

(১২) দিপু রায় চৌধুরী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

(১৩) কাজী নাবিল আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(১৪) ইন্তেখাবুল হামিদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (শুটিং)

(১৫) মাহফুজা রহমান তানিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(১৬) ফারহানা সুলতানা (শীলা), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাইক্লিং)

Advertisement

(১৭) টুটুল কুমার নাগ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(১৮) মাহবুবুর রব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

(১৯) সাদিয়া আক্তার উর্মি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৮

(২০) ফরিদা আক্তার বেগম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(২১) জ্যোৎস্না আফরোজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(২২) রফিক উল্যা আখতার (মিলন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

(২৩) কাজী আনোয়ার হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল) 

(২৪) শওকত আলী খান (জাহাঙ্গীর), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(২৫) মীর রবিউজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (জিমন্যাস্টিকস)

Advertisement

(২৬) মোহাম্মদ আলমগীর আলম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(২৭) তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রেফারি)

(২৮) নিবেদিতা দাস, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(২৯) মাহমুদুল ইসলাম রানা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (তায়কোয়ান্দো)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৭

Advertisement

(৩০) শাহরিয়া সুলতানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন)

(৩১) আওলাদ হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (জুডো, কারাতে ও মার্শাল আর্ট)

(৩২) ওয়াসিফ আলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (বাস্কেটবল)

(৩৩) শেখ বশির আহমেদ (মামুন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)

(৩৪) সেলিম মিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

Advertisement

(৩৫) খোরশেদ আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রোইং)

(৩৬) আবু ইউসুফ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৩৭) এ. টি. এম. শামসুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (টেবিল টেনিস)

(৩৮) রহিমা খানম যুথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৩৯) আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

Advertisement

(৪০) মাহবুব হারুন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৬

(৪১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৪২) লে. কমান্ডার এ কে সরকার (অবঃ), ক্যাটাগরি- সংগঠক (বাস্কেটবল)

(৪৩) বেগম সুলতানা পারভীন লাভলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৪৪) বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম-আল-মামুন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভলিবল)

(৪৫) আরিফ খান জয়, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৪৬) খন্দকার রকিবুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৪৭) জালাল ইউনুস, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

(৪৮) তোফাজ্জল হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৪৯) কাজল দত্ত, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভরোত্তোলন)

(৫০) তাবিউর রহমান পালোয়ান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (কুস্তি)

(৫১) জেড. আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল) (মরণোত্তর)

(৫২) আবদুর রাজ্জাক (সোনা মিয়া), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)

(৫৩) হাবিবুল বাশার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

Advertisement

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৫

(৫৪) ড. শেখ আবদুস সালাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্যারম)

(৫৫) আহমেদুর রহমান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)

(৫৬) আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

(৫৭) খাজা রহমতউল্লাহ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)

Advertisement

(৫৮) মাহ্তাবুর রহমান বুলবুল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (বাস্কেটবল)

(৫৯) ফারহাদ জেসমিন লিটি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৬০) বরুন বিকাশ দেওয়ান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৬১) রেহানা জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৬২) জুয়েল রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

Advertisement

(৬৩) জেসমিন আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন, কারাতে ও তায়কোয়ান্দো)

(৬৪) শিউলী আক্তার সাথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৪

(৬৫) শামসুল বারী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (হকি) (মরণোত্তর)

(৬৬) এনায়েত হোসেন সিরাজ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

Advertisement

(৬৭) ফজলুর রহমান বাবুল, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(৬৮) সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

(৬৯) ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৭০) এহসান নামিম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(৭১) কামরুন নেছা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৭২) সামছুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৭৩) মিউরেল গোমেজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৭৪) জোবায়েদুর রহমান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৩

(৭৫) মুজাফফর হোসেন পল্টু, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (ক্রিকেট)

Advertisement

(৭৬) কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

(৭৭) উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভারোত্তোলন)

(৭৮) শামসুল হক চৌধুরী, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(৭৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্জাহান মিজি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৮০) রোকেয়া বেগম খুকী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৮১) মুনিরা মোর্শেদ খান (হেলেন), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস)

(৮২) ইলিয়াস হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৮৩) জ্যোৎস্না আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৮৪) ভোলা লাল চৌহান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (স্কোয়াশ)

(৮৫) খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

Advertisement

হাসিব মোহাম্মদ 

Advertisement

আইন-বিচার

ওসি, ডাক্তার ও জেল সুপারের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

Published

on

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফরমান আলীসহ ১২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলার অভিযোগ দায়ের করেন।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ভিকটিম মো. রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। বাদীপক্ষ এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে ও গণমাধ্যম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি ফরমান আলী ছাড়া মামলার বাকি অভিযুক্তরা হলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, পুলিশের উপ-পরিদর্শক চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, কনস্টেবল জোনাব আলী, কনস্টেবল মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ ভিকটিম রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান। এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ কোর্টে যান বাদী। ভিকটিম রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার গারদে যান তিনি। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী। এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে গিয়ে ভিকটিমকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন।

Advertisement

জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়, ভিকটিম রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান। পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে। সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব

Published

on

ফাইল ছবি

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই প্রথম ভারতের কোন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বাংলাদেশে আসলেন। এর আগে গেলো ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভার‌তের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। ত‌বে হঠাৎ করে নয়াদি‌ল্লি স্থগিত করে কোয়াত্রার ঢাকা সফর।

জানা গেছে, এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রীর দি‌ল্লি সফরসহ দুই দে‌শের স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে বৈঠকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন তি‌নি।

গেলো বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব কোয়াত্রা ঢাকা সফর করেন।

Advertisement

এনএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত, সংসদে প্রধানমন্ত্রী

Published

on

জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সকল প্রকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। জাতীয় সংসদে জনগণের ওপর থেকে মূল্যস্ফীতির প্রভাব কমাতে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৮ মে) সংসদে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার। তাই জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সকল প্রকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। তবে বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে এ সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে নেয়া পদক্ষেপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল বাজেটে ওএমএস খাতে ৪ লাখ টন চালের সংস্থান রয়েছে। চাল ও আটার বাজারমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বর্তমানে ওএমএস কর্মসূচিতে সারা দেশে সর্বমোট ৮৭১টি কেন্দ্রে দৈনিক মোট ৮৬৯ টন চাল এবং ১ হাজার ১০১ টন করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ওএমএস (সাধারণ) খাতে প্রায় ১.৬৭ লাখ টন চাল এবং ২.১৩ লাখ টন আটা বিক্রি করা হয়েছে।

‘এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে ১ কোটি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি করে প্রতি মাসে মোট ৫০ হাজার টন চাল বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এই ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় চালের পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে ২ কেজি ডাল ও ২ কেজি সয়াবিন তেলও বিতরণ করা হচ্ছে।’

Advertisement

সরকার প্রধান জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল) ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতিটি পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করে নিয়মিত খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও জেলা শহরগুলোতে ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএস চাল বিক্রি করা হচ্ছে। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশে অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ ও বিতরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে খাদ্য শস্য সংগ্রহের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২.১৯ লাখ টন।

‘এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কৃষি খাতে প্রদত্ত ভর্তুকি ও প্রণোদনা কৃষকের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে পরোক্ষভাবে কৃষিজাত পণ্যের মূল্য নিম্নমুখী রাখতে সহায়ক হয়েছে। ডাল, তেল, মসলা, ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনের জন্য সুদ ভর্তুকির আওতায় বিদ্যমান ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ দেওয়া হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ২৯ শতাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমাতে বিভিন্ন শুল্কছাড় দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজারদর স্থিতিশীল রাখা ও অবৈধ মজুতদারি কঠোরভাবে দমনের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতি (রেপো) সুদহার দফায় দফায় বাড়িয়ে মে ২০২২ এর ৪.৭৫ শতাংশ থেকে সর্বশেষ ৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি (এসডিএফ বা রিভার্স রেপো রেট) বৃদ্ধি করে ৬.৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। নীতি সুদহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি করায় বাজারভিত্তিক গড় সুদ হারে দৃশ্যমান ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে শিগগিরই ক্রলিং পেগ ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোরভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত