Connect with us

আন্তর্জাতিক

গভীর দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

Avatar of author

Published

on

যুক্তরাষ্ট্র

সাম্প্রতিক বেলুনকাণ্ড ঘিরে গভীর দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। প্রায় দু-সপ্তাহ ধরে এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক তিক্ততা শুরু হয়েছে, তার প্রভাব ইতোমধ্যে পড়া শুরু করেছে দুই দেশের বিভিন্ন মিত্ররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বক্তব্যে বলেন, চীনের নজরদারি বেলুন ভূপাতিত করাকে ঘিরে তার কোনো দুঃখ বা পরিতাপবোধ নেই এবং এই কারণে তিনি দেশটির কাছে কখনো ক্ষমা চাইবেন না।

তার এই বক্তব্যের এক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা বিবৃতি দেয় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, ‘ক্ষমা বা পরিতাপবোধ জানানোর জন্য প্রথমে আলোচনায় বসতে হবে। প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা উস্কে দেয়াই যাদের প্রধান কাজ, তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

গেলো জানুয়ারির শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে প্রথমবারের মতো ‘সন্দেহজনক’ একটি বেলুন উড়তে দেখা যায়। বেলুনটি চীন থেকে এসেছে—শনাক্ত করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য নিতেই এই নজরদারি বেলুন পাঠিয়েছে চীন।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের জবাবে বেলুনটির মালিকানা স্বীকার করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে চীনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি কোনো গোয়েন্দা নজরদারি বেলুন নয়। আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে বেলুনটি ওড়ানো হয়েছিল; পরে বাতাসের গতিবেগে দিক হারিয়ে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চলে গেছে।

Advertisement

গেলো ৪ ফেব্রুয়ারি বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজে বেলুনটি ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরের প্রায় দু-সপ্তাহে আরও নিজেদের আকাশসীমা থেকে আরও কয়েকটি বেলুন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নামিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট। বলা বাহুল্য, ভূপাতিত করা সব বেলুনই চীন থেকে এসেছিল।

কিন্তু এসব বেলুন ঘিরে প্রায় দু’সপ্তাহে বেইজিং ও ওয়াশিংটন যেভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ পাল্টা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিশ্বের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছে এবং বলা যায়, জাতীয় নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে এই বেলুনকাণ্ড সম্ভাব্য প্রভাবই বর্তমানে আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রধান আলোচিত বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ— গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য অন্য দেশের আকাশসীমায় নজরদারি বেলুন পাঠানো গুরুতর অন্যায়, অন্যদিকে চীনের দাবি— বেসামরিক বেলুনকে গোয়েন্দা নজরদারি বেলুন বলে প্রচারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘নিরীহ’ বিষয়কে ইস্যু করতে চাইছে এবং এর পেছনে দেশটির গভীর কোনো অভিসন্ধি আছে।

দুই দেশের বর্তমান বিরোধপূর্ণ অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হওয়া সত্ত্বেও বেইজিং ও ওয়াশিংটন নিজেদের অবস্থান থেকে এখন পর্যন্ত একবিন্দু নড়েনি।

এদিকে, বেইজিং-ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক এই কূটনৈতিক বচসা চলার মধ্যেই নড়েচড়ে বসছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা। চীনের বিরুদ্ধে ‘বেলুন পাঠিয়ে নজরদারির’ অভিযোগ তুলছে তারাও। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এশীয় মিত্র জাপান প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে— ২০১৯ সাল থেকে ’২২ সালের মধ্যে জাপানের আকাশসীমায় তিন বার বেলুন পাঠিয়েছে চীন।

Advertisement

একই অভিযোগ জানিয়েছে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অপর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র তাইওয়ানও। ব্রিটেনের দৈনিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমায় এক ডজন চীনা সামরিক বেলুন শনাক্ত হয়েছে। তবে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধির আশঙ্কায় সেই বেলুনগুলো গুলি করে নামানো থেকে বিরত থেকেছে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক বেলুনকাণ্ড ঘিরে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার এই অনড় অবস্থান চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তিক্ত কূটনৈতিক সম্পর্কে বৈরিতার এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যেকার যে ব্যবধান— অদূর ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে।

আন্তর্জাতিক থিংকট্যাংক সংস্থা কার্নেগি চায়নার গবেষক ড. ইয়ান চং বিবিসিকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এর আগে কখনও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে এ ধরনের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব দেখা যায়নি এবং এখানে কৌশলগতভাবে এগিয়ে আছে চীন।’

‘কারণ বেলুন পাঠিয়ে নজরদারি করার ব্যাপারটি নতুন। অন্যান্য রাষ্ট্র আসলে এ ব্যাপারটির সঙ্গে এতদিন পরিচিত ছিল না। এখন চীনের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের চীন সম্পর্কিত বোঝাপড়ায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হবে এবং তার ফলে যে ব্যবধান সৃষ্টি হবে— তার সুযোগ নেবে চীন।’

আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য বেলুন পাঠানোর যে দাবি চীন জানাচ্ছে, তার ভিত্তি দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন ড. ইয়ান চং। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘চীন বলছে— তারা আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য বেলুন উড়িয়েছিল। কিন্তু বেলুনটি কোন কোম্পানি প্রস্তুত করেছিল কিংবা ওড়ানোর পর সেটি দেখাশোনার দায়িত্বে কারা ছিল— সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনও দেয়নি দেশটির সরকার। বেইজিংয়ের এই অস্বচ্ছতা ইতোমধ্যেই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক করতে হলে যাবতীয় অস্বচ্ছতা দূর করা জরুরি।’

Advertisement

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষক ও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা ড্রিউ থম্পসন বিবিসিকে বলেন, ‘(বেলুনকাণ্ডে) বেইজিং যেভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করছে— তাতে এটা পরিষ্কার যে— ভবিষ্যতে পিপলস লিবারেশন আর্মির (চীনের সামরিক বাহিনী) যে কোনো প্রযুক্তিগত অভিযানকে সমর্থন করবে চীনের সরকার। অর্থাৎ, অদূর ভবিষ্যতে নিজেদের গোয়েন্দা নজরদারির ক্ষমতা বাড়তে এমন আরও পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ নেবে পিপলস লিবারেশন আর্মি— যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।’

তবে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব মিমাংসার আশা যে একদম নেই— এমন নয়। চলতি সপ্তাহে জার্মানিতে মিউনিখ শহরে নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের উভয়েই আমন্ত্রিত অতিথি।

দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন— ওই সম্মেলনের অবসরেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন ওয়াং ই ও অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আন্তর্জাতিক

‘শেনজেন’ স্টাইলে ভিসা দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ

Published

on

সংগৃহীত ছবি

এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মতো ‘শেনজেন স্টাইলে’ পর্যটকদের ভিসা দিতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা বিষয়ক কাউন্সিল জিসিসি। তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্য খাতকে শক্তিশালী করতে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো হলো-সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বুধবার (০৮ মে) ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেনজেন স্টাইলের এই ভিসা নিয়ে একজন জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো ছাড়া অন্য দেশের পর্যটক এক মাসে জিসিসিভুক্ত ছয়টি দেশ সফর করতে পারবেন।

গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে এরাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বক্তব্যে এমন তথ্য জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী আবদুল্লা বিন তুক আল মারি। নতুন প্রস্তাবিত এ ভিসার নাম হবে- ‘জিসিসি গ্রান্ড ট্যুরস’।

ওই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণকে যৌক্তিকভাবে সহজ করতে এবং পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘শেনজেন স্টাইলের ‘ মতো ভিসা চালুর ব্যাপারে জিসিসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবুজ সংকেত দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল্লা বিন তুক আল মারি বলেন, ‘এই ভিসা নিয়ে একজন পর্যটক ৬টি দেশই সফর করতে পারবেন।’একজন পর্যটক জিসিসির এ ভিসা নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন।’ মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা খুব শিগগিরই এ ভিসা চালুর আশা করছেন বলেও তিনি জানান।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিপন্থী পোস্টে লাইক, শিক্ষিকা বরখাস্ত

Published

on

পারভীন শেখ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনপন্থী একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার ঘটনায় এক শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করেছে ভারতের এক স্কুল। পারভীন শেখ নামে ওই শিক্ষিকা মুম্বাইয়ের সোমাইয়া স্কুলে ১২ বছর ধরে  শিক্ষকতা করছিলেন। খবর- এনডিটিভি

পারভীন শেখের বিরুদ্ধে হামাসপন্থী, ইসলামপন্থী ও হিন্দু বিরোধী মনোভাবের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গেলো মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে সোমাইয়া বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, পারভিন শেখের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যকলাপ “আমরা যে মূল্যবোধ ধারণ করি তার বিপরীত” এবং তাই “এই নিয়ে উদ্বেগের কারণে” ও “বিষয়টির সতর্ক বিবেচনা পর” বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর সাথে সম্পর্ক ছেদ করেছে।

পারভীন শেখ ১২ বছর ধরে সোমাইয়া বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। সাত বছর আগে তিনি বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। লিংকড ইন প্রোফাইলের তথ্য অনুসারে পারভীন শেখের প্রায় ৩০ বছরের শিক্ষকতার অভিক্ষতা রয়েছে। তিনি কারিকুলাম তৈরিতে এবং কার্যকরী ক্লাসরুম আউটলেট বানাতে দক্ষ। পারভীন শেখ প্রি-সার্ভিস ও ইন-সার্ভিস শিক্ষদের কোচিং, মেনটরিং এবং পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে অভিক্ষ। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্কুল অডিট কার্যক্রমের সাথে জড়িত।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে ইউরোপ  

Published

on

ছবি- দ্য গার্ডিয়ান

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ইউরোপ। আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে নেদারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। খবর- দ্য গার্ডিয়ান

ইসরাইলের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে ছাত্ররা বিশ্ববিদালয়ের ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল দখল করে রেখেছে।

ডাচ পুলিশ গেলো সোমবার আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১৬৯ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। এসময় বিক্ষোভকারীদের লাঠি চার্জ ও বেশ কয়েকটি তাঁবু ভেঙ্গে দেয় ।

ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের ওপর দুই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব আটরেশট এবং ডেলফ বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। ইউনিভার্সিটি অব আটরেশট বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর সামনে প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী দেখা যায়। পাশাপাশি ডেলফ বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রদের আন্দোলন করতে দেখা যায়।

এদিকে জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় টির একটি লেকচার হল দখল করেছে। এসময় তাদের হাতে একটি ব্যানার দেখা যায়, যেখানে লিখা- “গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় দখল”।

Advertisement

বিক্ষোভকারীরা ভিতর থেকে লেকচার হলের দরজায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে এবং ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করেছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।

এর আগে, বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয় ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৮০ জন ছাত্র তাঁবু গেঁড়ে বসে। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

গেলো মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার রাফায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। সেখানে প্রায় ১৪ লাখের মতো ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে। হামলার সময় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী দখল করে নেয় রাফার গুরুত্ব পুর্ণ একটি সীমান্তপথ। বিভিন্ন আন্তরজাতিক সংগঠন বলছে এ সীমান্তপথ ছিল গাজায় ত্রাণ পাঠানোর একমাত্র পথ।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত