Connect with us

বাংলাদেশ

চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ছিনতাই

Published

on

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সুমন।
কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন।  এ সময় ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে তার সংগে থাকা টাকা পয়সা মোবাইল সবই নিয়ে যায়। 

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেয়। এবং ছিনতাই শেষে সুমনের চোখে মরিচ গুঁড়া মেখে মহাসড়কের পাশে ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুমন জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে যান। সেখানে বাস না পেয়ে একটা হায়েস গাড়ি আসলে সেটাতেই তিনি উঠে যান। এ গাড়িতে কিছু পথ যাওয়ার পরই গাড়ির ভেতরে থাকা অন্যান্যরা তাকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। তারা তার মোবাইল ও তার কাছে থাকা টাকা নিয়ে নেয়। এরপর তাকে চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়।
 
তিনি আরও জানান, বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে, পাশের একটা দোকানীর সাহায্য নিয়ে মেসে ফিরেন।  

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন ভূইয়া বলেন, আমরা এখনো লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
 
আর সদর দক্ষিণ থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী  লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
 
উল্লেখ্য, এর আগেও এ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। গত বছর পদুয়ার বাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি বিভাগের সাকিউল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ছিনতাইকারীদের কবলে পরে মোবাইল মানিব্যাগ হারান। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় তা ফিরে পান।

এদিকে শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে ইমতিয়াজ আহমেদ সুমনের বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছিনতায়ের ঘটনাটি লিখে একটি স্ট্যাটাস দেন এবং ঘটনার বিচার দাবি করেন।
 

Advertisement

মুক্তা মাহমুদ 

Advertisement

জাতীয়

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে। এ কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, আশপাশের দেশগুলোতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ,সন্ত্রাসীদের নিজস্ব একটি পরিকল্পনা এবং চেইন থাকে। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১২ মে) কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ,আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটছে। অনেক রোহিঙ্গা মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জড়িয়ে গেছে। যার ফলে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দিনদিন।

প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সব সময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত। কিন্তু গত ৭ বছরে একজনকেও নিয়ে যায়নি। সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলেছে যাতে মিয়ানমারকে তারা চাপ প্রয়োগ করে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত গত ৭০ বছর ধরে ছিল। এখন এটাকে প্রত্যাবাসনে অজুহাত হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই।

Advertisement

ডোনাল্ড লু এর সফর সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে চমৎকার। এ সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের চেষ্টা থাকবে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার।

তিনি আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনের পর অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর শুরু করেছে বিএনপি। তারা এখন তাবিজ ও দোয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৩৮ সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

অন্তর্বাসে লুকানো থাকতো ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ পরীক্ষা

Published

on

বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করা সংঘবদ্ধ এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মেয়ে পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাসে এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো থাকতো অত্যাধুনিক ওই ডিজিটাল ডিভাইস। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা কানের মধ্যে লুকিয়ে রাখতেন ক্ষুদ্রাকৃতির বল। প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধানের জন্য বাইরে থেকে কাজ করতো একটি চক্র। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর জানিয়ে দেয়া হতো পরীক্ষার্থীদের।

রোববার (১২ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, ৭টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড ও একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫)।

তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। প্রথমত তারা পরীক্ষা শুরুর ১ থেকে ২ মিনিট আগে পরীক্ষার কোনো না কোনো কেন্দ্র ম্যানেজ করে প্রশ্নের ফটোকপি বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে নিয়ে আসতো। বাইরে তাদের একটা ডিভাইস সংঘ (প্রশ্নপত্র সলভার টিম) পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নের সমাধান করে ফেলতো।

ডিবি প্রধান বলেন, কেন্দ্রের বাইরে থেকে চক্রের সদস্যরা উত্তরগুলো এক এক করে বলতে থাকে। পরীক্ষার্থী তখন কানে থাকা ক্ষুদ্র ডিভাইস, পকেটে থাকা রাউটার আর অন্তর্বাস বা গেঞ্জির ভেতর লুকানো ডিভাইস যুক্ত করে একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থীরা কথা শুনতে পায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সমাধান করে ফেলে।

Advertisement

হারুন অর রশীদ বলেন, দিন দিন এভাবে ক্রাইমের প্যাটার্ন পরিবর্তন হচ্ছে। একসময় আমরা নকল প্রতিরোধে একভাবে কাজ করেছি। তখন পরীক্ষার হলে বই নিয়ে যেত অনেকে। এখন অপরাধের প্যাটার্ন (ধরন) পরিবর্তন হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এসব চক্রের সদস্যদের ধরতে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছে। সর্বশেষ জানলাম অপরাধীরা ক্ষুদ্রাকৃতির বল ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটা এমন জায়গা রাখছে যেখানে ধরা বা তল্লাশি করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ), বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর (গ্রেড ২) ও বুকিং অ্যাসিসটেন্ট (গ্রেড ২), পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক, মৎস্য বিভাগের অফিস সহায়ক, গণপূর্তের হিসাব সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় উল্লিখিত পন্থায় অপরাধ কর্ম সংঘটিত করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তাররা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেয়ার জন্য প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করে। চাকরি ভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দিতে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত ও ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, চক্রের মূলহোতা জুয়েল খান বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস সংগ্রহ ও সরবরাহ, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ, সমাধান টিমের সদস্য সংগ্রহ ও চক্রের অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় করতো। রাসেল, শাকিল ও আব্দুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ডিভাইসটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যবহার বিধি শিখিয়ে দিতো।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশ এআইয়ের অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) স্বাগত জানায়, তবে এর অপব্যবহার রোধে কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা এআইকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে।

রোববার (১২ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে অ্যাপোস্টোলিক নুনসিও অফ দ্য হোলি সি’র আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডালের সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। ‘আমরা সবাই মিলে আমাদের উৎসব উদযাপন করি।’

শেখ হাসিনা আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডালের মাধ্যমে পোপকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। আর্চবিশপ র‌্যান্ডাল জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বেঠকে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত