এশিয়া
আদানিকাণ্ড তদন্তে কমিটি গঠন করলেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
![আদানি](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/02/News-Image-2-6.jpg)
ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও পুঁজিবাজারে কারসাজির যে অভিযোগ তুলেছে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ, তা তদন্তে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ কমিটি গঠন করেন।
কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অভয় মনোহর সাপ্রেকে প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। বাকি ৫ সদস্য হলেন—ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাংক কর্মকর্তা কে ভি কামাথ, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (এসইবিআই) সাবেক নির্বাহী ও পি ভাট, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি ইনফোসিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি, আইনজীবী সোমশেখর সুন্দর্শন এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে পি দেবধর।
বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে যে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে—তার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের আবেদন করে কয়েকদিন আগে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি।
আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের কোনো একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের আগে গেলো ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চেই বিশাল তিওয়ারির সেই পিটিশনের ওপর শুনানি হয়েছিল। সেদিনিই কমিটি গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আদালত।
সে দিনের শুনানিতে আদালতের সরকারপন্থী আইনজবী তুষার মেহতা কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ গ্রহণের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,সার্বিক সত্যের উদ্ঘাটন ও অভ্যন্তরীণ পুঁজিবাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয় এড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শে তদন্ত কমিটি গঠন করা বাঞ্ছনীয়।
কিন্তু তার সেই যুক্তি নাকচ করে দিয়ে আদালত বলেছিলেন, যদি কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় সরাকরের পরামর্শ নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে কমিটির নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং সেই তদন্ত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য না ও হতে পারে।
বিভিন্ন ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কমিটিকে আগামি দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে, সর্বোচ্চ আদালতের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন আদানিগ্রুপের প্রধান গৌতম আদানি। বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আদানিগ্রুপ সম্মানিত সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। (কমিটির নেতৃত্বে) আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই প্রকৃত ঘটনা সর্বসমক্ষে আসবে। সত্যের জয় হবেই।’
আদানি বনাম হিন্ডেনবার্গ
সম্প্রতি ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা গৌতম আদানির সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম। গেলো ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ করা সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, এক দশককালেরও বেশি সময় ধরে শেয়ার কারসাজি এবং আর্থিক লেনদেনে প্রতারণা চালিয়ে আসছে আদানি গ্রুপ। কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বহু গুণ বাড়িয়ে এ গ্রুপ বিশাল সম্পদ গড়েছে। গত কয়েক বছরে আদানি গ্রুপের কোম্পানির শেয়ার ৫০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই আদানি গ্রুপের সব কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করে; এখনও অব্যাহত আছে সেই পতন। দরপতনের জেরে ইতোমধ্যে হাজার হাজার কোটি ডলার খুইয়েছেন গৌতম আদানি।
হিন্ডেনবার্গের যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য দ্ব্যর্থহীনভাবে অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। গ্রুপের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন ‘মিথ্যা’,‘ভিত্তিহীন’, ও ‘শত্রুতাপূর্ণ’ আরও বলা হয়েছে, ভারতের শেয়ারবাজার সম্পর্কে ‘কোনো ধারণা নেই’ হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের।
এমনকি এ প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ভারত, তার স্বাধীনতা ও সংহতিকে ‘আক্রমণ’করেছে বলেও অভিযোগ করেছে ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ট আদানি গ্রুপ।
আদানি গ্রুপের এসব অভিযোগের পাল্টা জবাবে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্মের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের প্রতিবেদনের প্রতিটি তথ্য-অভিযোগ সত্য এবং লোকসান থেকে বাঁচতে এখন জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন আদানি।
এশিয়া
ফিলিপাইন-তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞের পর চীনে আঘাত হানলো টাইফুন গায়েমি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/গায়েমি-1.jpg)
সাগরে সৃষ্ট টাইফুন গায়েমি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এটি এবার চীনে আঘাত হেনেছে। চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৮ কিলোমিটার গতিতে ঝড়টি আছড়ে পড়ে।এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে আছড়ে পড়েছে টাইফুন গায়েমি। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
টাইফুন গায়েমি’র ফলে ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সংযোগ সড়ক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এরমধ্যেই ঝড়ের কারণে সব ফ্লাইট বাতিল ও ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।
এছাড়াও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে ফুজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জেডএস/
এশিয়া
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/gaza-1.jpg)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ জনে। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯০ হাজার ৪০৩ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা তিনটি ‘গণহত্যায়’ ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৪৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জেএইচ
এশিয়া
থামছে না ইসরাইলি বর্বরতা, নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/গাজা-3.jpg)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থামছে না ইসরাইলি বর্বর হামলা। সবশেষ হামলায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৮ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা দুটি ‘গণহত্যায়’ ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৯৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। এখনো উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
জেডএস
- অপরাধ3 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়8 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়1 day ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়2 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস14 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়23 hours ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়20 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন