Connect with us

বাংলাদেশ

বাস ভাঙচুরের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে: অধ্যক্ষ

Published

on

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য নির্ধারিত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ভাঙচুর করা অত্যন্ত নিন্দনীয়, অনভিপ্রেত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় একজন চালকও আহত হয়েছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। গাড়ি ভাঙচুরের সঙ্গে যুক্ত সব দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। বললেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যক্ষ ইউসুফ বলেন, সড়কে উপর্যুপরি ইটপাটকেল নিক্ষেপের ফলে গাড়ির ক্ষতি হয়েছে, চালকও আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুরের সঙ্গে যুক্ত সব দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভাঙা বাসটি কলেজে আসার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেটি সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষাভ করেছে। কলেজের অধিকাংশ বিভাগে ইনকোর্স পরীক্ষা ছিল। আমরা তাদের ক্লাস থেকে বের হতে দিইনি। এরপরও বাইরে যেসব শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়েছিল শিক্ষকদের পাঠিয়ে তাদের কলেজে ফেরত এনেছি। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাস ভাঙচুর করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। যদি সে বাসে শিক্ষার্থীরা থাকত তাহলে ঘটনাটি অন্যদিকে মোড় নিতে পারত। তাই এমন ঘটনা আবার যেন না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ঢাকা কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যেভাবে সংঘর্ষ থেকে নিবৃত করেছেন, অপর পক্ষেও এমন সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল। বাস ভাঙচুরের পরও এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো যোগাযোগ করেনি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করেন ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর দেড়টার দিকে গ্রিন রোডে ল্যাবএইড হাসপাতালের পেছনের সড়কে অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এসময় দফায় দফায় ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ  ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকার যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। অবশেষে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপির

Published

on

প্রতীকী ছবি

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরীকদল ও জোট, বাম-ডান দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে দলের প্যাডে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ঐক্যের আহবান জানানো হয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা নূন্যতম এক দফার ভিত্তিতে ও দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ এবং জাতির মুক্তি তরান্বিত করতে ইনশাল্লাহ।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ‘সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে সরকার পতনের আন্দোলন থাকে। উল্লেখযোগ্য  অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হলো-গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, এনডিএ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

তদন্তকাজে বেরিয়ে সাপের কামড় খেলেন পুলিশ কর্মকর্তা

Published

on

দিনাজপুরের বিরামপুরে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) সাপের দংশনে আহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বিজুলডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট থানার (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনা গণমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আব্দুর রশীদ। তিনি বিরামপুর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক শাহরিয়ার পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাকে বিষধর কোনো সাপ কামড় দেয়নি।

আহত এসআই আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, সকালে উপজেলার দিওড় বটতলি এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর জানতে পারি। দ্রুত সেখানে গিয়ে চেয়ারে বসে আহত ড্রাইভার ও হেলপারের নাম ঠিকানা লিখছিলাম। এ সময় চেয়ার বেয়ে একটি সাপ উঠে ডান হাতের আঙুলে কামড় দেয়। সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ভালো আছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত