Connect with us

জাতীয়

স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে ৫টি মূল সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

দেশের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য পাঁচটি মূল সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ একে একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়-ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।’

আজ সোমবার (৬ মার্চ) কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের (কিউএনসিসি) অডিটোরিয়াম-৩ এ অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে ‘স্মার্ট অ্যান্ড ইনোভেটিভ সোসাইটির জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ’- শীর্ষক একটি পার্শ্ব অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই মূল সমর্থনগুলো উপস্থাপন করেন।

তিনি প্রধান সহায়তার প্রথম হিসেবে উল্লেখ করেছেন- জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় পদক্ষেপসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কার্যকরী প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারী খাতকে যথাযথ প্রণোদনা প্রদান।

দ্বিতীয়টিতে, তিনি বলেন, এলডিসিগুলিতে ব্রডব্যান্ড বিভাজন ও প্রযুক্তিগত বৈষম্য কমাতে ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা করুন।

Advertisement

তৃতীয় সহায়তা হিসেবে তিনি বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশগুলো যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবিলায় পেশাদার গবেষক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি।

তিনি আরো বলেন, চতুর্থত, উত্তরণের পরেও বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি-রাসায়নিকের জন্য ট্রিপস চুক্তির অধীনে এলডিসি মওকুফের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখা।

পঞ্চম সহায়তার ব্যাপারে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন দুটি’র জন্যই সহায়ক একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবস্থা বিকাশে সহায়তা।

২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার পরবর্তী রূপকল্পে আরও অনেক এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি অবহিত করেন।

তিনি বলেন, এ মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।’

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে তার সরকার জনগণের কাছে ২০২১ সালের মধ্যে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিলেন। ওই সময়ে এটিকে ‘রূপকথা’ বলেই মনে হয়েছিল।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘কিন্তু, কোভিড-১৯ মহামারি প্রমাণ করেছে যে- আমরা আমাদের অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহামারি আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে যে- এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বিনিয়োগের জন্য আর অপেক্ষা করা উচিৎ নয়। তাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ ধরনের বিনিয়োগ করা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, যে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য এলডিসিগুলোর গড় জিডিপি ব্যয় এখনও ০.৬ শতাংশের নিচে রয়েছে ও তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকটি বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে রয়েছে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, কিন্তু, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাবের সাথে স্বল্পোন্নত দেশগুলো পিছিয়ে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ কাজে সম্পৃক্ত করা উচিত। এর জন্য আমাদের অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব দরকার।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, এলডিসি উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে তিনটি মানদণ্ডের সবগুলোতেই তার যোগ্যতা প্রমাণ করবে।

তিনি বলেন, আমরা এখন ২০২৬ সালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই অন্তবর্তী কালে আমাদের সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয় হবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ। জাতীয় প্রয়োজন নির্ণয়ে এলডিসির জন্য আমরা ইউএন টেকনোলজি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছি।

তিনি বলেন, তার সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান-মনস্কতার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। আমরা ইতোমধ্যে সারা দেশে অনেকগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’  এবং “জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ” চালু করেছে।

তিনি করেন, মিশ্র শিক্ষায় নতুন করে গুরুত্বারোপের লক্ষ্য হচ্ছে সকলের জন্য আইটি দক্ষতার উন্নয়ন।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভবিষ্যত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এন্ড স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেজিষ্টার্ড আইটি ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটি রয়েছে এবং এদের আরো দক্ষ ও উন্নতকরণে সহায়তাকল্পে একটি নতুন ইনস্টিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু-১ যোগাযোগ স্যাটেলাইট  উৎক্ষেপণের পর সরকার এখন নিজস্ব অবজারভেশন স্যাটেলাইট  উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা  করছে। বাংলাদেশ ব্যাপক জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে আগাম সতর্কতা ও আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে। সরকার প্রযুক্তিগত বিষয়সহ দেশীয়ভাবে তৈরি জলবায়ু অভিযোজন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।

তিনি বলেন, আরো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে আমাদের সহনশীলতা প্রযুক্তিতে যাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের সরকার  পরিচ্ছন্ন বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য দুটি পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করছে। আমাদের লক্ষ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক ফ্লোটিং সোলার প্যানেল, অবশোর উইন্ড টারবাইন ও গ্রিন হাইড্রোজেনসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।

তিনি বলেন, সরকার কৃষি গবেষণা সহায়তার উপর জোর দিয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য ক্ষুধা মোকাবেলা এবং বহুলাংশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব করেছে।

Advertisement

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের কৃষি ও প্রাণিসম্পদকে স্মার্ট এবং পরিবেশবান্ধব করতে আরও বিনিয়োগ করছি। আমরা চুক্তিতে চাষ (কন্ট্রাক্ট ফামিং) সহ বিভিন্ন উপায়ে অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলির সাথে আমাদের ভাল কাজগুলোকে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, অগ্রাহ্য করা অঞ্চলিক রোগসমূহের ওপর গবেষণার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এন্টি- মাইক্রেবিয়াল রেজিষ্টেন্স-এর নতুন ধরনের চিকিৎসার উন্নয়নে আমাদের জরুরি ভিত্তিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও হেল্থ সেন্টারের মাধ্যমে বিনামূল্যে জরুরি ওষুধ ও ইনসুলিন সরবরাহ করছে।

তিনি আরো বলেন, “আমরা প্রতি হাজারে শিশুমৃত্যু ২১ এ এবং মাতৃমৃত্যু ১৬৩ এ নামিয়ে এনেছি।” তিনি আরো বলেন,“আমাদের ওষুধ শিল্প  আমাদের স্থানীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ কালে বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রস্তুতি এই সংকট মোকাবেলা ও রোগমুক্তিতে সহায়ক হয়েছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’

Avatar of author

Published

on

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন: সংগৃহীত ছবি

‘বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে মার্কিন দূতাবাসে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন এসব কথা বলেন।

ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ইস্যু এবং বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মার্কিন দূতাবাস।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ কে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে জানিয়ে মার্কিন দূতাবাসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলছে ওয়াশিংটন।’

আইপিএসের ক্ষেত্রে চীন বা রাশিয়ার মতো দেশগুলোর আধিত্যবাদী আচরণ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না।’

Advertisement

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কীভাবে দেখেন-এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূতাবাসের এই রাজনৈতিক কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’

এপ্রসঙ্গে  দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে  ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইপিএস অঞ্চলে বাণিজ্যিক গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘আপনি আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকান। সেখানে দেখতে পাবেন বিশ্ব বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলে। এই অঞ্চলকে ঘিরে অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে। আর একারণেই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো রাজশাহীর মিষ্টি পান

Avatar of author

Published

on

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’। গত বছরের ৩১ আগস্ট রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে।

গেলো বুধবার (২৫ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান এ নিবন্ধনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিলেন। নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গণমাধ্যমে জানান, রাজশাহী জেলায় উৎপাদিত পান এখন থেকে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’ হিসেবে পরিচিত হবে। জিআই নিবন্ধন পাওয়ার ফলে রাজশাহীর পান বাংলাদেশ তো বটেই, দেশের বাইরের অন্য পানের চেয়েও এটি উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত হবে।

এই পান এবার জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, পানের বাজারজাতকরণের এখন থেকে আরও বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। রাজশাহীর পানের পরিচিতি, সুনাম ও চাহিদা আরও বাড়বে। এর ফলে চাষিরাও পানের ভালো দাম পাবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, তানোর, পবা ও পুঠিয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে পানের বরজ আছে। পান চাষের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ কৃষক। গত বছর জেলায় ৭৬ হাজার ৬৭৮ টন পান উৎপাদন হয়। রাজশাহীর পান দেশের অন্য স্থানের তুলনায় মিষ্টি। তাই এর চাহিদাও বেশি। আমের জন্য রাজশাহী বিখ্যাত হলেও আর্থিক মূল্যে জেলার পানের বাজারই বড়।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজশাহীতে পান চাষের সম্প্রসারণের কারণে এখানে দেশের প্রথম পান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

১৩৭তম বন্দর দিবসে বর্ণিল আয়োজন

Avatar of author

Published

on

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হলো ১৩৭তম বন্দর দিবস। তৎকালীন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া সরকার ১৮৮৭ সালে পোর্ট কমিশনার্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করে যা ২৫ এপ্রিল ১৮৮৮ সালে কার্যকর হয়। প্রতিবছর ২৫ এপ্রিল এ দিবসটি উদযাপন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বন্দর দিবসের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

বন্দরের পতাকা উত্তোলন করেন সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এ সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুঁইসেল বাজানো হয়।
পতাকা উত্তোলনের পর কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন বন্দর চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্দর দিবস উপলক্ষে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বন্দর দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বন্দর চেয়ারম্যান।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়11 hours ago

‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’

‘বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া...

জাতীয়12 hours ago

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো রাজশাহীর মিষ্টি পান

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’। গত বছরের ৩১ আগস্ট রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে...

জাতীয়13 hours ago

১৩৭তম বন্দর দিবসে বর্ণিল আয়োজন

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হলো ১৩৭তম বন্দর দিবস। তৎকালীন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া সরকার...

চট্টগ্রাম13 hours ago

বঙ্গোপসাগরে জাহাজডুবি: ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ১

নোয়াখালীর হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ১১...

অপরাধ14 hours ago

হবু শিক্ষকদের হাতে আগেই পৌঁছে যায় উত্তরপত্র : ডিবি প্রধান

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার...

জাতীয়15 hours ago

কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

কৃষি ও শিল্প খাত দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইটি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দেশের সেবাখাতের বিকাশ হবে।...

গয়েশ্বর গয়েশ্বর
আইন-বিচার16 hours ago

জামিন পেলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নাশকতার পৃথক ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার পল্টন থানার চার মামলা...

জাতীয়18 hours ago

‘অনুমতি মিললেই ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব’

ব্রাজিলের খামারগুলো রপ্তানির লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ পশু প্রস্তুত করা আছে। অনুমতি মিললে ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব। জানিয়েছেন...

দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি দমন কমিশন
আইন-বিচার18 hours ago

দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছেন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক এমডিসহ ৯ জন

দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও...

খুলনা18 hours ago

সর্বোচ্চ ৪২.২ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

গেলো কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। এদিকে তাপদাহে স্বস্তি...

Advertisement
রাজশাহী23 mins ago

অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

ব্যাংক11 hours ago

চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

জাতীয়11 hours ago

‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’

জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি11 hours ago

‘বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়’

জাতীয়12 hours ago

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো রাজশাহীর মিষ্টি পান

আন্তর্জাতিক12 hours ago

নেতানিয়াহুর জন্য আরও বেশি অপমান অপেক্ষা করছে-হামাস মুখপাত্র

হজ
ধর্ম12 hours ago

ওমরাহ পালনে বড় সুখবর দিলো সৌদি আরব

আন্তর্জাতিক13 hours ago

ইরান ইস্যুতে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিলো যুক্তরাষ্ট্র

বিনোদন13 hours ago

চার বছর পর আবারও মঞ্চে ‘ওল্ড স্কুল’

ঢাকা13 hours ago

রাত ৮টার পর মার্কেট-দোকান বন্ধে মাইকিং

উত্তর আমেরিকা24 hours ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার5 days ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়4 weeks ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি1 month ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ1 month ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত