বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হলে ধর্ষণের শিকার হন অনেক নারীই। তবে এবার শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হননি প্রত্যাখিত হওয়া যুবক, গরম লোহা দিয়ে তার নিজের নামও লিখে দিয়েছেন কিশোরীর মুখে।

ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির।

১৭ বছর বয়সি কিশোরীকে অপহরণ করে ৩ দিন নিজের বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত যুবক। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়। তিন দিন ধরে চলে বিবিধ অত্যাচার। এর পরে কোনও রকমে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে কিশোরী। থানায় গিয়ে যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করে।

পুলিশকে কিশোরী জানিয়েছে, গেলো ১৯ এপ্রিল দোকানে গিয়েছিল সে। বাড়ি ফেরার পথে যুবক তাকে তুলে নিয়ে যান। নিজের বাড়িতে আটকে রাখেন তিন দিন। এই সময়ের মধ্যে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করে সে। কিশোরী জানিয়েছে, লোহা গরম করে যুবক তার মুখে নিজের নাম খোদাই করে লিখে দিয়েছেন। এ কাজের সময় কিশোরীকে পিছন দিক থেকে চেপে ধরে রেখেছিলেন যুবকের মা এবং বোন।

কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানতে পেরেছে, কিছু দিন আগে কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ২১ বছরের ওই যুবক। দীর্ঘ দিন ধরেই কিশোরীর দিকে তার নজর ছিল। কিন্তু কিশোরী বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি। সেই আক্রোশ থেকেই যুবক এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আপাতত অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তা স্বীকার করেছে ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সব মিলিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্তভোগী ও তাদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গেলো বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়, যা তার মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করে ফেলে এতে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা গেলো ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেয়া একটি নথিতে স্বীকার করেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে ‘খুব বিরল টিটিএস’ এর ঘটনা ঘটতে পারে। টিটিএসের পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম। এই রোগটি হলে মানুষের রক্তে প্লেটলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, ‘আমরা স্বীকার করি না যে, জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে।’ কিন্তু গেলো ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে জমা দেয়া নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলে, ‘আমরা এটি স্বীকার করছি যে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কারণে খুব বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস-এর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।’

অ্যাস্ট্রাজেনেকা নথিতে আরও উল্লেখ করে, ‘এ ছাড়া, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা (বা যেকোনো টিকা) না দিলেও থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঘটনা ঘটতে পারে। কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটার কারণ জানার বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার দাবি রাখে।’

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি সরকারি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে দেশটির হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলায় এ ঘটনা ঘটে। তালেবান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মতিন কানি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আফগানিস্তানের রাষ্ট্র-চালিত বাখতার নিউজ এজেন্সিও একই তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মতিন কানি লিখেছেন, গুজারার ওই মসজিদটিতে বন্দুক হামলায় ইবাদতরত ছয় বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন ও একজন আহত হয়েছেন।

এদিকে, এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক শাখা আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।