এশিয়া
বিয়ের দাবিতে ১০০ কিমি পদযাত্রা শেষে মন্দিরে প্রার্থনা!
![বিয়ের জন্য পদযাত্রা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/03/বিয়ের-দাবিতে-পদযাত্রা.jpg)
বিয়ের বয়সও গেছে পার হয়ে আবার মিলছে না যোগ্য পাত্রীর সন্ধান। এলাকায় পুরুষের অনুপাতে মেয়েদের সংখ্যও কমছে ক্রমশই। অবস্থা বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত ব্রহ্মচারিগাল নামে একটি পদযাত্রায় নেমেছে একদল পাত্র। প্রায় একশ কিলোমিটার পথ পদযাত্রা করে একটি মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেছে যাতে করে তাদের ভাগ্যে বউ জোটে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা হইচই ফেলেছে দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকে।
শনিবার (১১ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরেই কর্নাটকে নারী পুরুষের অনুপাতের পার্থক্য বেড়েই চলেছিলো এবং যে কারণে অনেক পুরুষই বিয়ের করার জন্য পাত্রী খুঁজে পায় না। এছাড়া অনেকে আয় কম থাকা কিংবা নারীদের মধ্যে ভিন্ন গোত্রে পছন্দ করার ঘটনার কারণেও পাত্রী সংকট তৈরি হয়েছে। শুরুতে ৩০ জন অংশগ্রহণকারী থাকলেও পরে তা ৬০ জনের সঙ্গে শেষ হয়। দলটির বেশিরভাগ কর্নাটকের মান্ডা জেলার কৃষক ছিলেন।
প্রচারকারীরা বলছেন, এর কারণে অনেক পুরুষের বিয়ে করা কঠিন হয়ে গেছে। এ ছাড়া খামারের আয় কমে যাওয়া, নারীদের ক্ষেত্রে পছন্দ নিজ গোত্র থেকে অন্য গোত্রের দিকে যাওয়া এমনকি তাদের পুরুষবিদ্বেষী মনোভাবের কারণেও বিয়ে করতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী মালেশা ডিপি বিবিসিকে বলেন, গেলো কয়েক বছরে প্রায় ৩০ জন মহিলা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। যখন আমার প্রেমে পড়া উচিত ছিল, আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমি অর্থ উপার্জন করেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন যেহেতু আমার জীবনের সব কিছু আছে আমি বিয়ে করার জন্য একটি পাত্রী খুঁজে পাচ্ছি না। আমার বয়স মাত্র ৩৩। কিন্তু মনে হচ্ছে ইতোমধ্যে এলাকায় বিয়ের জন্য আদর্শ বয়স পার করে ফেলেছি আমি।
মালেশা আরও যোগ করেন, আমাদের পরিবারের মহিলাদের গবাদিপশু এবং একটি বড় পরিবারের যত্ন নিতে হবে না। এমনকি তার নববধূকে চারজনেরও কম সদস্যের একটি পরিবারের জন্য রান্না করতে হবে। পদযাত্রার পর প্রতিবেশী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কেরালার মতো কৃষকদের কাছ থেকে মালেশা বার্তা পেয়েছেন, তারা ভাবছেন অংশগ্রহণকারীরা এখন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের আশা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এটি ছিল খুবই কঠিন পথচলা। আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যেন আমরা সবাই শিগগিরই বিয়ে করতে পারি।
পদযাত্রার অন্যতম আয়োজক শিবপ্রসাদ কেএম বলেন, যখন তারা পদযাত্রার জন্য প্রথম ঘোষণা করেছিল তখন ২০০ জনেরও বেশি পুরুষ অংশ নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিল। কিন্তু রাজ্যের স্থানীয় মিডিয়া আমাদের কেসটি নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার কারণে অনেকেই পিছিয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকায় জমির পরিমাণ কম এবং উপার্জন খুব বেশি নয়। তাই কৃষি ছাড়া যাদের ব্যবসার মতো অন্য আয়ের উৎস আছে, তারা পাত্রী পেতে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন।
স্থানীয় এক কর্মী নাগরেভাক্কা বলেন, এখনো আশপাশের বাচ্চাদের স্কুলে আপনি দেখতে পাবেন ২০ জন মেয়ের মধ্যে প্রায় ৮০ জন ছেলে আছে।
আরও একজন অংশগ্রহণকারী কৃষ্ণা (৩১) বলেন, মান্ডা একটি উর্বর ভালো সেচযুক্ত অঞ্চল। এখানে আখ প্রধান ফসলগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু সম্প্রতি খামারের আয় কমে যাওয়ায় এ পেশাটিকে মর্যাদাহীন করে তুলেছে। পাত্রীর পরিবারের লোকেরা মনে করেন, কৃষক পরিবারের যুবকদের আয় অনিশ্চিত।
জয়শীলা প্রকাশ, যিনি মূলত মান্ডিয়ার বাসিন্দা কিন্তু এখন তার পরিবারের সঙ্গে বেঙ্গালুরের শহরে থাকেন। তিনি বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রামে থাকতে পছন্দ করি। কারণ এটি প্রকৃতির কাছাকাছি এবং মানুষের সঙ্গে বন্ধন তৈরি করা সহজ। কিন্তু মহিলারা পছন্দ করেন শহুরে এলাকায় চলে যাওয়া। যেন তারা আরও স্বাধীনভাবে চলতে পারেন।
এশিয়া
ফিলিপাইন-তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞের পর চীনে আঘাত হানলো টাইফুন গায়েমি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/গায়েমি-1.jpg)
সাগরে সৃষ্ট টাইফুন গায়েমি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এটি এবার চীনে আঘাত হেনেছে। চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৮ কিলোমিটার গতিতে ঝড়টি আছড়ে পড়ে।এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে আছড়ে পড়েছে টাইফুন গায়েমি। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
টাইফুন গায়েমি’র ফলে ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সংযোগ সড়ক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এরমধ্যেই ঝড়ের কারণে সব ফ্লাইট বাতিল ও ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।
এছাড়াও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে ফুজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জেডএস/
এশিয়া
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/gaza-1.jpg)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ জনে। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯০ হাজার ৪০৩ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা তিনটি ‘গণহত্যায়’ ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৪৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জেএইচ
এশিয়া
থামছে না ইসরাইলি বর্বরতা, নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/গাজা-3.jpg)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থামছে না ইসরাইলি বর্বর হামলা। সবশেষ হামলায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৮ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা দুটি ‘গণহত্যায়’ ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৯৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। এখনো উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
জেডএস
- অপরাধ2 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়7 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়1 day ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়2 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস13 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়22 hours ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়19 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন