ছাত্র-শিক্ষক
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান ধর্মঘট
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/03/News-Image-2023-03-15T132126.662.jpg)
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে অবস্থান ধর্মঘট করছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসী।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের সরকারিকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন, কলেজ কর্তৃপক্ষের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত বাতিল এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই অবস্থান ধর্মঘট।
যে সব অভিযোগে এই অবস্থান ধর্মঘটেঃ
*মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ও অনুমোদিত নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজটির সরকারীকরণ বাস্তবায়ন কার্যক্রম আটকে রেখে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।
*সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি অধ্যক্ষ প্রেশনে নিয়োগ আদেশ বাতিলের অপচেষ্টা ও অধ্যক্ষকে তার সিটে বসতে না দেয়া।
* বিগত তিন বছর ধরে সরকারি করন প্রক্রিয়াধীন বলে নিয়োগ পদোন্নতি সহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা।
* অস্থাবর সম্পত্তির ডিড অফ গিফট প্রদানের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গত দেড় বছর ধরে তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা আর সরকারি করন করবে না তাই ডিডও দিবে না।
*শিক্ষার্থীরা ২৫ টাকা বেতনে পড়ার কথা জেনে ভর্তি হয়েও মাসে ১৩০০ টাকা বেতন দিতে হচ্ছে যা তাদের পরিবারের জন্য ভীষণ চাপের ও হতাশার একই সাথে এটি প্রতারণার শামিল।
* অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি, নির্বাচন বিধি বহির্ভূতভাবে করার অবশিষ্ট চলছে।
* যেসব শিক্ষক ছুটিতে থাকবে তারা শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে না, এমন নিষেধ থাকা প্রদানের মাধ্যমে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
*কলেজ সরকারীকরণ এর পক্ষে কথা বললে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের নানারকম ভয়ভীতি দেখানো হয়। শিক্ষক, কর্মচারীর চাকুরী চলে যাবে, শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে দেয়া হবে এমন সব কঠোর শাস্তির কথা বলা হয় ও হয়রানি করা হয়।
* গভর্নিং বডির সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধিকে গভর্নিং বডির যে কোন সিদ্ধান্ত সঠিক সময় জানানো হয় না, এমনকি মিটিং থাকলেও সে বিষয়ে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে না জানিয়ে মিটিং শুরু হবার অল্প কিছু সময় আগে অবগত করা হয়।
* যে কোন সিদ্ধান্ত কলেজের একটি গোষ্ঠীকে লাভবান করতে তাদের অনুকূলে যায় এমন সিদ্ধান্তই নেয়া হয়। কলেজের সমস্ত আর্থিক সুবিধা আছে এমন সব কর্মকাণ্ডে ওই গোষ্ঠিরই সংশ্লিষ্টতা থাকে।
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক আজ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-30.jpg)
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি সুরাহার জন্য শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। পরে আজ বসার জন্য সময় দেন তিনি। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।
গেলো তিন দিন ধরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে কার্যত অচল হয়ে আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গতকালও সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভাগ, হল, ইনস্টিটিউট ও প্রশাসনিক ভবনের কোথাও কোনো ধরনের সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে অনেক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মঙ্গলবার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা প্রত্যয় স্কিম করেছেন, তারা হয়তো মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। তিনি তার জায়গা থেকে কথা বলেছেন। আমরা যখন তাকে বোঝাতে পারব, তখন হয়তো তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন। তার বক্তব্যটি আমরা গ্রহণ করিনি।’
টিআর/
ছাত্র-শিক্ষক
ছুটি শেষে আজ খুললো প্রাথমিক বিদ্যালয়
![প্রাথমিক-শিক্ষা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/12/প্রাথমিক-শিক্ষা.jpg)
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে আজ (৩ জুলাই) খুলে দেয়া হয়েছে দেশের সব প্রাথমিক স্কুল। গেলো ১৩ জুন থেকে শুরু হয় ছুটি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) শিক্ষাপঞ্জি হিসেবে পর্যন্ত বন্ধ ছিলো এসব স্কুল।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ২০ দিনের ছুটি শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে স্কুলের ছুটি বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
এর আগে, শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ঘোষিত ছুটি এক সপ্তাহ কমিয়ে গেলো ২৬ জুন থেকে খুলে দেয়া হয় স্কুল-কলেজ। তবে প্রাথমিকে পূর্ব ঘোষিত ছুটি বহাল রাখা হয়। এদিকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়।
টিআর/
ছাত্র-শিক্ষক
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ফাঁকা থাকছে ৭৩ হাজারের বেশি পদ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/05/News-Image-1-333.jpg)
সারাদেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শিক্ষক পদ শূন্য। পদগুলোতে নিয়োগের জন্য পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে আবেদন পড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাইয়ে শেষে সেই আবেদন দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার প্রার্থীর। অর্থাৎ পদ শূন্য থাকলেও প্রার্থী না থাকায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ ফাঁকাই থাকবে।
সোমবার (২০ মে) এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান এ তথ্য গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৩ হাজার ৯৩২ জন আবেদন করেছেন। আমরা আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছি। আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যেও প্রাথমিক সুপারিশে কিছু প্রার্থী বাদ পড়তে পারেন।
জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন।
ফলে আবেদন আরও কমেছে। এছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নিবন্ধন সনদ অর্জনের পর তার মেয়াদ থাকবে তিন বছর। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হয়ছে। ফলে বয়স ৩৫ বছরের কম-এমন অনেক প্রার্থীও আবেদন করতে পারেননি। এ কারণে মূলত আবেদন খুবই কম পড়েছে।
গেলো (৩১ মার্চ) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬। আর মাদরাসা ও কারিগরিতে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আবেদন শেষ হয়েছে। চলতি মাসে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশ করা হতে পারে।
এএম/
- অপরাধ3 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়11 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়2 days ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়3 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস18 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়1 day ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়23 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন