ব্যাংকিং ও বীমা
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা লেনদেন জানুয়ারিতে
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/03/News-Image-2023-03-27T154744.112.jpg)
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে এক লাখ ৫৯৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। একই সময়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭ জন। তাদের মধ্যে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ছয় কোটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে কিছুটা কমে লেনদেন হয় ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিল ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম মাস ও অর্থবছরের সপ্তম মাস জানুয়ারিতে এক লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
আলোচিত মাসে (জানুয়ারি) এমএফএস সেবার মাধ্যমে মোট লেনদেন হওয়া ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকার মধ্যে এমএফএস সেবায় টাকা জমা হয়েছে ৩১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা, উত্তোলন হয়েছে ২৮ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। গ্রাহকদের নিজেদের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ২৮ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা, কেনাকাটায় খরচ হয়েছে তিন হাজার ৭৭২ কোটি টাকা।
এছাড়া একই সময়ে সরকারি ভাতা দেয়া হয়েছে এক হাজার ১৪৪ কোটি টাকা, বেতন-ভাতা পরিশোধ হয়েছে দুই হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা, মোবাইল রিচার্জ করা হয়েছে ৯০৫ কোটি টাকা এবং পরিষেবা বিল দেয়া হয়েছে এক হাজার ৯৬১ কোটি টাকা।
জানুয়ারি শেষে এমএফএস সেবায় গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭ জনে। এর মধ্যে সক্রিয় গ্রাহক প্রায় ৬ কোটি। গেলো বছরের জুন শেষে এমএফএস সেবায় হিসাব সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। অর্থাৎ সাত মাসে হিসাব বেড়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫টি। আর গত ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে এ ধরনের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। বর্তমানে সারাদেশে এজেন্ট রয়েছে ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ১১২টি।
দেশে এমএফএস সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। এর মাধ্যমে ন্যানো লোন, মাসিক সঞ্চয় সেবা, পরিষেবা বিল পরিশোধ, সব ধরনের টিকিট কেনা, অনলাইন, অফলাইনসহ সব ধরনের লেনদেন মুহূর্তেই করা যাচ্ছে।
ব্যাংকিং ও বীমা
ব্যাংক আলফালাহকে ৬০০ কোটি টাকায় কিনছে ব্যাংক এশিয়া
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-166.jpg)
পাকিস্তানিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহকে কিনছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে, নিয়োগ দেয়া হয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিরীক্ষা ও মূল্য নির্ধারণের কাজ করছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কর, নিরীক্ষা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউজকুপারস (পিডব্লিউসি)।
ব্যাংক এশিয়ার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে জানান, ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বিদেশি এক প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষা ও মূল্য নির্ধারণের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরেই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রাথমিকভাবে ব্যাংকটির খরচ ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। এই অর্থ কয়েক ধাপে পাকিস্তানে পাঠানো হবে।
এর আগে দুইটি বিদেশি ব্যাংক অধিগ্রহণ করেছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংক আলফালাহ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশের কার্যক্রম অধিগ্রহণ করতে চলেছে ব্যাংকটি। ২০০১ সালে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোশিয়া ও পাকিস্তানের মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংককে অধিগ্রহণ করে ব্যাংক এশিয়া।
উল্লেখ্য, ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণ বিষয়ে গত মাসে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আলফালাহকে অধিগ্রহণের অর্থ কয়েক ধাপে পরিশোধ করবে ব্যাংক এশিয়া। অর্থ পরিশোধকালীন সময়ে ব্যাংক আলফালাহর দেয়া কোনো ঋণ খারাপ হয়ে পড়লে তাদের পাওনা অর্থের পরিমাণ কমে আসবে।
এএম/
ব্যাংকিং ও বীমা
বাংলাদেশকে ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/08/বিশ্বব্যাংক.jpg)
বাংলাদেশকে ৬৫ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৫১ টাকা ধরে) ঋণ অনুমোদন দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
শনিবার (২৯ জুন) ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ড এ অর্থ অনুমোদন করে বলে জানায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস।
সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশকে বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা করতে ৬৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হচ্ছে। যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করবে এবং বন্দর বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি খরচ কমিয়ে আনবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। নতুন এই আধুনিক বে টার্মিনাল আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই টার্মিনালে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোর জন্য সুযোগ বাড়াবে এবং জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯০ শতাংশ এবং এর ৯৮ শতাংশ কনটেইনার প্রবেশ করে। তবে এই বন্দর দিয়ে ছোট ফিডার জাহাজগুলো প্রবেশ করতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এর মাধ্যমে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি কন্টেইনার টার্মিনালগুলোর উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে একত্রিত করবে। সরকারি অর্থায়নের সাথে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং সামগ্রিক বে টার্মিনাল উন্নয়নের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের দলনেতা হুয়া টান বলেছেন, বে টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে। বে টার্মিনাল, চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে আনন্দনগর/সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবস্থিত এবং ঢাকার সাথে বিদ্যমান সড়ক ও রেল যোগাযোগের কাছাকাছি, বাংলাদেশের কন্টেইনারের পরিমাণের ৩৬ শতাংশ পরিচালনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ টেকসই পরিবহন পরিষেবাগুলোতে উন্নত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টিআর/
অর্থনীতি
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেলো বাংলাদেশ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/আইএমএফ.gif)
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণের এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঋণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
এ মুখপাত্র জানান, রিজার্ভে আইএমএফ এর ঋণের পাশাপাশি কেরিয়া, আইবিআরডি ও আইডিবি থেকে আরও ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে। এতে আজ মোট রিজার্ভ দাড়িয়েছে ২৬.৫ বিলিয়ন ডলারে।
এর আগে গেলো ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের পর্ষদ সভায় তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার অনুমোদন হয়। এর মধ্যে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) ৯২ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির ২২ কোটি ডলার রয়েছে।
আই/এ
- অপরাধ2 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়7 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়1 day ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়2 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস14 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়22 hours ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়19 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন