Connect with us

বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Published

on

 রোহিঙ্গা সমস্যার শিগগিরই সমাধান না করলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়াবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশ নয়, সীমান্ত পেরিয়ে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বাড়াবে।

প্রধানমন্ত্রী শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। 

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে ফ্রান্সে 'প্যারিস পিস ফোরাম' এর আয়োজনে বক্তব্যে তিনি, বিশ্ব সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

এ ছাড়া ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দূর শিক্ষণ ও অনলাইন শিক্ষাকে ‘বৈশ্বিক জনসম্পদ’ ঘোষণা করারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে এ সফরে প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি একের পর এক অংশ আন্তর্জাতিক নানা অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন। 

Advertisement

ফরাসি অলাভজনক থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা 'প্যারিস পিস ফোরাম' এর চতুর্থ আসরেও আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্রান্স সফরের তৃতীয় দিনে তিনি এ সম্মেলনে অংশ নেন।

প্যারিসে লা ভিলেট এর গ্র্যান্ড হলে বিশেষ এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের শীর্ষ নেতাদের সামনে শেখ হাসিনা আবারও তুললেন রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ। 

প্রধানমন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ সংকট সীমান্ত পেরিয়ে বাইরে ছড়ানোর বিপজ্জনক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সরকার প্রধান জানান, যে কোনো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। বলেন, মহামারির ধাক্কা সামলে আন্তর্জাতিক শান্তি কূটনীতির দিকে এগোতে হবে বিশ্বকে।

Advertisement

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
তিনি জানান, অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি সার্বজনীন করতে ইউনেস্কোকে দৃঢ় ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি পরবর্তী সময়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আবার স্বাভাবিক করতে সংস্থাটিকে নতুন করে ভাবতে হবে। 

মুক্তা মাহমুদ

Advertisement

জাতীয়

ইতালিতে আরও বাংলাদেশি জনবল নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

এটা খুবই দুঃখজনক যে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টাকালে বাংলাদেশিসহ বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছে, যাতে কেউ অবৈধভাবে কোনো দেশে না যায়। এ লক্ষ্যে আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছি। ইতালিতে বৈধ উপায়ে আরও বাংলাদেশি জনবল নেয়ার অনুরোধ করছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার (১২ মে) ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইতালির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ছাড়াও বাংলাদেশের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, অধিকন্তু সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশের জন্য ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।

শেখ হাসিনা ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর মাধ্যমে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

Advertisement

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের অঙ্গনে পা রাখবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে তিনি ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির জন্য দেশটির জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে দক্ষিণ ইতালির সহায়তা কামনা করেন।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও প্রতিরক্ষা ক্রয় এবং বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়নে সহায়তা করতে চায়।

তিনি বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রদানে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

Advertisement

তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় উভয়েই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হন।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নাহিদ সুলতানা যুথি

Published

on

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন নিয়েছেন নাহিদ সুলতানা যুথি। এ মামলায় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

রোববার (১২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত তাকে জামিন দেন। আদালতে আসামীপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাড. মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাড. আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মামলার অন্য আসামিরা নাহিদ সুলতানা যুথীর নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাকি আসামিরা সুপ্রিমকোর্ট বার সমিতির নিচতলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনের দরজা খুলে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় বাদীসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করে। আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করলে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন। অন্যান্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে মারপিট করে ও পা দিয়ে আঘাত করে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তার পরিহিত কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।

গেলো ২০ মার্চ বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ে আগুন, দুই শ্রেণিকক্ষ পুড়ে ছাই

Published

on

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সদরের কেবি বালিকা বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ষষ্ঠ শ্রেণির দুটি শ্রেণিকক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রোববার (১২ মে) দুপুরে উপজেলা সদরের কান্তেশ্বর বর্মন (কেবি) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এ ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে টিফিন শুরুর সময়ে আকস্মিকভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুটি শ্রেণি কক্ষে হঠাৎ আগুন দেখা যায়। মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে শ্রেণি কক্ষ থেকে দ্রুত বেড়িয়ে আসায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে খবর পেয়ে আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় শ্রেণি কক্ষ দুটিতে থাকা ১০টি ফ্যান, দরজা জানালাসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কেবি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দুটির সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, বিষয়টি জানার পর প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত