জাতীয়
ঈদে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের মহামারি কাটিয়ে তিন বছর পর এবার ঈদুল ফিতরের দিন সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এ ছাড়া সকাল ১১টায় বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, তিনবাহিনী প্রধানগণ, কূটনৈতিকবৃন্দ, সিনিয়র সচিব, সচিব ও সমপর্যায়ের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে ২০১৯ সালের পর থেকে বঙ্গভবন ও গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় বন্ধ ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল মোবাইল গ্রাহকদের অডিও কলের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তিনি।
জাতীয়
‘৬ দফা সারাবিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের উৎস’
৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারাবিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফার প্রতি এদেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ৭ জুন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ৬ দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬ দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ। ৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ মানুষ রাজপথে নেমে আসে।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আদায়ের লক্ষ্যে এদিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, আবুল হোসেন, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন। তিনি ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফার প্রতি এদেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ৬ দফা ভিত্তিক ১১ দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। ৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারাবিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে বদ্ধপরিকর। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে এবং প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। গত ১৫ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার আজীবন স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ, আধুনিক স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি ।
আই/এ
জাতীয়
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পুনরায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে দিবসটিকে কেন্দ্র করে দুপুর সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।
পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা আদায়ে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।
৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। তাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার রাজপথ। ৬ দফার সেই আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
আই/এ
জাতীয়
১৯ জুন থেকে নতুন অফিস সূচি, প্রজ্ঞাপন জারি
ঈদুল আযহার পরে অফিসের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকার আগামী ১৯ জুন (পবিত্র ঈদুল আযহার পরবর্তী প্রথম কর্মদিবস) থেকে দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্ধারণ করলো।
রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সময়সূচি কার্যকর হবে। বেলা ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি থাকবে। আর শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
জরুরি পরিষেবাসমূহ নতুন অফিস সময়সূচির আওতা বহির্ভূত থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংক, বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গেলো ৩ জুন মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন অফিস সময়সূচির অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, আমরা প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করবো। এ হিসেবে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা। তার আগে ৩৫ ঘণ্টা কাজ করতাম। সেটি বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। আমরা এখন মূল অবস্থানে চলে এলাম। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ২০২২ সালে অফিস সময় এক ঘণ্টা কমানো হয়েছিল।
কেএস/
- ঢালিউড6 days ago
বিয়ের খবর লুকালো আমাকে আর ছেলেকে দিয়ে: পরীমণি
- অপরাধ4 days ago
পাসপোর্ট করতে বেনজীরের নজিরবিহীন জালিয়াতি, মিথ্যা পরিচয়ে বিশ্বভ্রমণ
- বাংলাদেশ2 days ago
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যে তোলপাড় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে
- অর্থনীতি1 day ago
বাজেটে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম
- অর্থনীতি1 day ago
বাজেটে কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম
- আমদানি-রপ্তানি6 days ago
যে কারণে ক্রেতারা ঢাকা বিমানবন্দর ছেড়ে দিল্লি বিমানবন্দরের দিকে ঝুঁকছে
- ঢালিউড5 days ago
নায়ক হয়ে আসছেন মান্নাপুত্র সিয়াম
- বাংলাদেশ5 days ago
যে কারণে সাপ হয়ে ইরানকে ছোবল মারছে সিরিয়া
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন