Connect with us

অপরাধ

সরকারি সার্ভার হ্যাক করে কোটি টাকা প্রতারণা

Avatar of author

Published

on

হ্যাকার

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস (সিএনএস) লিমিটেড, বাংলাদেশ’-এর সার্ভার হ্যাক করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। হ্যাকার চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। চক্রটি গত এক মাসে কোটি টাকারও বেশি সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

সোমবার (২২ মে) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এর আগে, রোববার (২১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর, কাফরুল ও গাজীপুর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– মো. শাহরিয়ার ইসলাম (২৬), মো. আজীম হোসেন (২৭), মো. শিমুল ভূঁইয়া (৩২), রুবেল মাহমুদ (৩৩), ফয়সাল আহাম্মদ (২৩) ও আনিসুর রহমান (২৩)। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিপিইউ, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, পেনড্রাইভ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ নগদ এক লাখ ৮৯ হাজার ৬৫৯ টাকা উদ্ধার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গেলো ১০ মে সিএনএস লিমিটেডের অভিযোগ থেকে জানা যায়, কোম্পানির মাসিক লেনদেনের বিবরণীর সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের লেনদেন বিবরণী যাচাই-বাছাই শেষে বিআরটিএ’র মোট ৩৮৯টি ট্রানজেকশনের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার গড়মিল পাওয়া গেছে। সিএনএস লিমিটেডের ওয়েবসাইটে ওই ট্রানজেকশনের পেমেন্ট স্ট্যাটাস পেইড দেখালেও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা হয়নি।’

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি র‌্যাব-৪ এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট হ্যাক করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব।

Advertisement

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, সিএনএস লিমিটেড মিরপুরের একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। তারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি বিষয়ক কাজ করে থাকে। সিএনএস লিমিটেড সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ-র সঙ্গে গেলো ১১ বছর ধরে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি বিভিন্ন ব্যাংক এবং অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে জমা নেয়। পরে সেই অর্থ বিআরটিএতে হস্তান্তরের মাধ্যমে যাবতীয় লেনদেনের কাজ করতো।’

র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানান, গ্রেফতার শাহরিয়ার বিভিন্ন আন-ইথিক্যাল হ্যাকিং ম্যাথড এপ্লাই করে সিএনএস লিমিটেডের ওয়েবসাইটের পেমেন্ট গেটওয়ে হ্যাক করার মাধ্যমে মানি রিসিট প্রস্তুত করতো। এভাবে তারা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে বিভিন্ন গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফিসহ বিভিন্ন কাজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতো। তাদের অর্থ পরিশোধের মানি রিসিটও দেয়া হতো। যদিও এসব টাকা সরকারি ফান্ডে জমা হতো না।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, চক্রটি গত ১২ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল কোড ব্যবহার করে তৈরি করা ৩৮৯টি মানি রিসিট প্রস্তুতের মাধ্যমে সরকারি প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের শেষের দিকে তারা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ওয়েবসাইট হ্যাক করে ট্রানজেকশন আইডি তৈরি করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানায়, তারা মাঠ পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য জনপ্রতি নির্ধারিত ফি এবং গাড়ির কাগজপত্র মিরপুরে ‘মায়ের দোয়া বিজনেস সেন্টার’ ও ‘চাঁদপুর বিজনেস সেন্টার’ নামে গ্রহণ করতো। পরে সব কাগজপত্র স্ক্যান করে হ্যাকিংয়ের কাজে প্রস্তুত করা সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল কোড ব্যবহার করে তৈরি করা মানি রিসিটের পিডিএফ কপি ফয়সাল ও আনিসুরের কাছে চ্যানেল অনুযায়ী পাঠিয়ে দিতো। ফয়সাল ও আনিসুর ওই মানি রিসিট হাতে পাওয়ার পর সেটা গ্রাহককে বুঝিয়ে দিয়ে ক্যাশ টাকা গ্রহণ করতেন। এরপর গ্রাহক ওই মানি রিসিট দিয়ে বিআরটিএ’র সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পাদন করতেন।

গ্রেপ্তার শাহরিয়ার এই চক্রের মূলহোতা। সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছিল। তবে পড়াশোনা শেষ না করেই রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা শুরু করে। এসব আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময় মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের পেমেন্ট রেসপন্স কোড সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয় তার। এক পর্যায়ে সে নিজেই প্রতারণার উদ্দেশ্যে একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে। এর মাধ্যমে সিএনএস লিমিটেডের ওয়েবসাইটের পেমেন্ট গেটওয়ে হ্যাক করে মানি রিসিট প্রস্তুত করতো। ওই প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা দেয় সে।

Advertisement

আজিম মূলত প্রস্তুত সফ্টওয়্যার থেকে নকল কোড ব্যবহার করে মানি রিসিট তৈরি করতো। সে ২০১৬-২০১৭ সালে ঢাকার একটি কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত ছিল। পরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। বর্তমানে একটি সফটওয়ার কোম্পানিতে কর্মরত।

প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য শিমুল ২০১৯ সালে ঢাকার একটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে। সে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে প্রবাসী ছিল। গত মার্চে ছুটিতে দেশে এসে গ্রেপ্তার আজিমের মাধ্যমে ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। সে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক থেকে সংগৃহীত অর্থ ও সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে প্রস্তুত করা ভুয়া মানি রিসিটি আজিমের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ফয়সালের কাছে পাঠানোর মাধ্যমে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতো।

গ্রেপ্তার রুবেল ২০১৪ সালে হোমনার একটি কলেজে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করেনি। সে গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। গ্রেপ্তার শিমুলের মাধ্যমে এই চক্রে যুক্ত হয়। সে ফয়সালের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে শিমুলকে দিতো।

চক্রের সদস্য ফয়সাল দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সে মিরপুরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতো। গ্রেফতার রুবেলের মাধ্যমে ওই চক্রে যুক্ত হয় এবং মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক সংগ্রহের কাজ করতো। আর আনিসুর ২০১৮ সালে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে ভর্তি হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি মিরপুরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতো। সে ফয়সালের মাধ্যমে চক্রে যুক্ত হয়ে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক সংগ্রহের কাজ করতো।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অপরাধ

নারী সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সোনালী আক্তার নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‌পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নারী সাংবাদিক সোনালী। ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করেছে ডিবি। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া টিটুর দুই সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন ফতুল্লা থানার বিএনপি নেতা ইকবাল ও মামুন মাহমুদ। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। যদিও ঘটনাস্থল আমাদের এলাকার মধ্যে না। তবে ভুক্তভোগী একজন নারী সাংবাদিক এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করেছেন।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সাংবাদিককে নির্যাতনের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক। একজন সাংবাদিক তার দায়িত্ব পালনের সময় তাকে এভাবে পাশবিক নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। টিটুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, পুলিশের মতোই সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেট। কারণ, পুলিশ আর সাংবাদিকরা যদি না থাকে তাহলে তাদের কাছে অত্যন্ত সহজ রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় আসা। তারা ক্ষমতার লোভে বিভোর।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ তার। দুর্বৃত্তরা ম্যাচলাইট জ্বালিয়ে সোনালীর গাল আগুনে ঝলসে দিয়েছে। সোনালী নারায়ণগঞ্জের সোজাসাপটা নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কারাগার থেকে পালানো আরও এক জঙ্গি গ্রেপ্তার

Published

on

নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে ছিনিয়ে নেয়া নয় জঙ্গির মধ্যে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার বরুয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগানসহ এ পর্যন্ত ৪৫টি অস্ত্র, এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান।

গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম জুয়েল ভুঁইয়া (২৬)। সে শিবপুর উপজেলার কাজিরচর গ্রামের আবুল ভুঁইয়ার ছেলে।

এ নিয়ে ছিনিয়ে নেয়া নয় জঙ্গির মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে দুই নারী জঙ্গিকে ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং একজনকে নারায়ণঞ্জ থেকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার জানান, নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগানসহ এ পর্যন্ত ৪৫টি অস্ত্র, এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পৃথক ১১টি মামলায় ১৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তা ছাড়া এ পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি এবং জেলা পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ করেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

নাশকতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ব্লক রেইড

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হামলা,ভাঙচুর,সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড চালিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, বাড্ডা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজন গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এ ব্লক রেইড চালায় বলে গণয়ামধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি জানান, মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ অধিদপ্তর, এক্সপ্রেসওয়েসহ পুলিশের একাধিক স্থাপনায় সহিংসতা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় ডিএমপির একাধিক থানায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

ডিএমপি জানায়, আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এসব মামলায় গেলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত