আফ্রিকা
প্লেন বিধ্বস্তের ৪০ দিন পর ৪ শিশু জীবিত উদ্ধার
আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক তিন আরোহী। কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে চার শিশু, যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১২ মাস। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, দুর্ঘটনার ৪০ দিন পরে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে চারজনকেই।
জানা যায়, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আমাজনের কলম্বিয়া অংশে। কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো শনিবার (১০ জুন) এক টুইটে বলেছেন, দেশের জন্য আনন্দের খবর। কলম্বিয়ান জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া চার শিশুকে জীবিত পাওয়া গেছে।
গত ১ মে আমাজনের গভীর জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয় প্লেনটি। এতে প্রাপ্তবয়স্ক তিন আরোহী নিহত হন এবং নিখোঁজ হয় চার শিশু। তাদের সবচেয়ে বড়জনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। বাকিদের বয়স নয় বছর, চার বছর ও ১২ মাস মাত্র।
গত ১৭ মে এক টুইটে কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, দুর্ঘটনার দু’সপ্তাহ পর ওই চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরে সেই টুইট তিনি ডিলিট করে দেন এবং জানান, শিশুদের উদ্ধারের বিষয়টি ‘অনিশ্চিত’।
দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে প্রশিক্ষিত কুকুরসহ শতাধিক সৈন্য পাঠানো হয়েছিল জঙ্গলে। উদ্ধারকারীদের বিশ্বাস ছিল, দুর্ঘটনার পর থেকে দক্ষিণ ক্যাকুয়েটা বিভাগের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল তারা।
সশস্ত্র বাহিনী জানায়, উদ্ধারকারীরা লাঠি ও ডালপালা দিয়ে তৈরি ঘরের মতো একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খুঁজে পেলে বিশ্বাস করতে থাকেন, সেখানে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা রয়েছে। এরপর অনুসন্ধান প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হয়।
সশস্ত্র বাহিনী প্রকাশিত ছবিতে জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রের ডালপালার সঙ্গে একটি কাঁচি এবং চুল বাঁধার ফিতা দেখতে পাওয়া যায়। এর আগে বাচ্চাদের পানির বোতল এবং একটি আধা-খাওয়া ফল খুঁজে পেয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা।
এর মধ্যে উদ্ধার করা হয় প্লেনের পাইলট এবং দুই প্রাপ্তবয়স্কের মরদেহ। তারা জঙ্গলের ভেতর কোনো অবস্থান থেকে কলম্বিয়ার আমাজন রেইনফরেস্টের অন্যতম প্রধান শহর সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। নিহতদের মধ্যে ওই চার শিশুর মা-ও ছিলেন।
শুক্রবার পেত্রো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিশুরা একসঙ্গে ছিল। জঙ্গলের ভেতর তারা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করছিল।
কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, শিশুরা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসকরা তাদের পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে তাদের খুঁজে পাওয়া গেছে, এতে আমি দারুণ খুশি।
আফ্রিকা
মালিতে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা, নিহত ৪০
পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যাঞ্চল মালিতে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসি বাহিনী। এতে প্রায় ৪০ গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্রোহে জর্জরিত মধ্য মালির একটি গ্রামে অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার মোপ্তি অঞ্চলের ডিজিগুইবোম্বো গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ব্যাঙ্কাসের মেয়র মৌলেয়ে গুইন্দো বলেছেন, সশস্ত্র লোকেরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে লোকজনকে গুলি করতে শুরু করে।
তিনি মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে দুই স্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।
‘এটি গণহত্যা ছিল’ উল্লেখ করে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামলার আগে সন্ত্রাসীরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে। সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল… হামলার ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, কিছু লোক পালিয়ে যেতেও সক্ষম হয়। কিন্তু অনেককে হত্যা করা হয়েছে।’
নিহতদের বেশিরভাগই পুরুষ বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
মালির কর্মকর্তারা হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেননি। এছাড়া কোনো গোষ্ঠী এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি।
টিআর/
আফ্রিকা
নাইরোবিতে ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন, নিহত কয়েকজন
কেনিয়ায় ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করেছে। এই বিক্ষোভ থেকে দেশটির সংসদ ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধা টপকে দেশের সংসদ ভবনে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হলে পুলিশ গুলি চালায়।
বুধবার (২৬ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সংসদ ভবনের বাইরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এমন পাঁচজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ গুণে দেখেছেন রয়টার্সের একজন সাংবাদিক। তবে প্যারামেডিক ভিভিয়ান আচিস্তা বলেছেন, কমপক্ষে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আরেকজন প্যারামেডিক রিচার্ড এনগুমো বলেছেন, গুলিতে ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি সংসদের বাইরে দুজন আহত বিক্ষোভকারীকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
ডেভিস তাফারি নামে একজন বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, আমরা সংসদ বন্ধ করে দিতে চাই। প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের একটি নতুন সরকার দরকার।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাঁদনে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে পুলিশ শেষ পর্যন্ত সংসদ ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করতে পেরেছে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে এমপিদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শুধু নাইরোবি নয়, এদিন ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য শহর ও নগরেও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি করা হচ্ছে। যদিও আন্দোলন শুরু হয়েছিল ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরোধিতা করে।
আফ্রিকার এই দেশের মানুষজন করোনো মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ইউক্রেনের যুদ্ধ, টানা দুই বছরের খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের এমন অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেই রাজস্ব আয় বাড়াতে আরও প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের করের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
ইতিমধ্যে নতুন এই অর্থ বিলের অনুমোদন দিয়েছে সংসদ। এখন তৃতীয় বারের মতো এটি আবারও সংসদে উঠবে। এই ধাপে পাস হলে তা স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে। কোনো আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন। আর আপত্তি না থাকলে তিনি সই করলেই তা আইনে পরিণত হয়ে যাবে।
আফ্রিকা
কঙ্গোতে নৌকাডুবি, ৮০ জনের বেশি নিহত
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআরসি) একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৮০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১২ জুন) মাই-এনডোম্বে প্রদেশের মুশি শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪৩ মাইল) দূরের কোয়া নদীতে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, রাতে যাত্রার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্ধকারে কিছু দেখা না যাওয়ায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের বিপর্যয় আর না ঘটে সেজন্য এসব ঘটনার পেছনের প্রকৃত কারণ তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স।
কঙ্গোতে নৌকাডুবির ঘটনা যেন সাধারণ হয়ে উঠেছে। সেখানে ছোটবড় নৌকা এবং জাহাজে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করার কারণেই বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। মধ্য আফ্রিকার দেশটির বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলজুড়ে অল্প কিছু পাকা রাস্তা রয়েছে। সেখানে বেশিরভাগ মানুষ নদীপথেই যাতায়াত করে থাকে।
টিআর/
- অপরাধ3 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়11 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়2 days ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়3 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস18 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়1 day ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়23 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন