Connect with us

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীকে কোরবানির গরু উপহার দিলেন কৃষক দম্পতি

Avatar of author

Published

on

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামের কৃষক বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান কোরবানির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দেয়ার জন্য একটি গরু লালন-পালন করেছেন। তাদের ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে উপহারের ওই গরু গ্রহণে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গরুটি গ্রহণে সম্মতি দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান, এই বিরল ভালোবাসার কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন এবং বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা এই গরু বুলবুল আহমেদের নিজবাড়িতেই থাকবে এবং সেখানেই কোরবানি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোরবানির গরুর মাংস স্থানীয় দরিদ্র-অসহায় জনগণের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

বুলবুল আহমেদ জানান, তিনি ও তার স্ত্রী সরকারের একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ও নিজের জমানো টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য গরুটি কেনেন। গেলো তিন বছর ধরে তারা গরুটির নিবিড় পরিচর্যা করেছেন।

Advertisement

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা থেকেই তারা এই গরু ক্রয় ও লালন-পালন করেন। উপহার হিসেবে তার গরু গ্রহণে সম্মতি প্রদান করায় বুলবুল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বুলবুল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য ২০২০ সালে নেত্রকোণা জেলা থেকে আড়াই লাখ টাকায় এই গরু ক্রয় করেন। গরু কেনার পর কিশোরগঞ্জ জেলার বিখ্যাত পাগলা মসজিদে ৫ হাজার টাকা মানতও করছিলেন, যেন গরুটি সুস্থ থাকে। গরুটি ক্রস ব্রাহমা প্রজাতির। এই গরুতে আনুমানিক ৮০০ কেজি মাংস হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

সহিংসতায় দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে আহতদের খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগৃহীত ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের মধ্যে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)চিকিৎসাধীনদের খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগরে অবস্থিত ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের খোঁজখবর নেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এসময় আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর দেশবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’

এর আগে, শুক্রবার(২৬ জুলাই) কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের জরুরি ইউনিটে যান এবং চিকিৎসাধীনদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপির

Published

on

প্রতীকী ছবি

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরীকদল ও জোট, বাম-ডান দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে দলের প্যাডে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ঐক্যের আহবান জানানো হয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা নূন্যতম এক দফার ভিত্তিতে ও দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ এবং জাতির মুক্তি তরান্বিত করতে ইনশাল্লাহ।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ‘সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে সরকার পতনের আন্দোলন থাকে। উল্লেখযোগ্য  অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হলো-গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, এনডিএ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত