Connect with us

এশিয়া

খাবার কম দেয়ার প্রতিবাদ করায় দলিত যুবককে পিটিয়ে খুন

Avatar of author

Published

on

পিটিয়ে-হত্যা

এক দলিত ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল আবারও ভারতের গুজরাট। কয়েক দিন আগেই আরও এক দলিত যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। ভালো পোশাক পরায় সেই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। দলিতদের উপর হামলার ঘটনায় এর আগেও বহু বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে গুজরাট। আবারও সেই একই ঘটনা ঘটল।

এবার দলিত ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল রাজ্যের খানপুর তালুকে। গেলো ৭ মে হামলার ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাজু ভঙ্কর নামে ওই ব্যক্তি। শনিবার মৃত্যু হয়েছে তার।

দলিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী দলিত ব্যক্তির মৃত্যুতে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যত ক্ষণ না দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে, দলিত ব্যক্তির দেহ নেবে না তার পরিবার।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ (২) এবং ১১৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও তফসিলি জাতি এবং উপজাতি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে- পেশায় একজন অটোচালক ছিলেন রাজু। গেলো ৭ জুন রাতে হোটেলে খেতে গিয়েছিলেন তিনি। খাওয়াদাওয়া শেষে কিছু খাবার পার্সেল করে দিতে বলেন রাজু। খাবার কেন কম দেয়া হচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানিয়ে হোটেল মালিককে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হোটেল মালিক বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। অভিযোগ, এর পরই রাজুকে জাতপাত তুলে গালিগালাজ করেন হোটেল মালিক এবং ম্যানেজার। রাজু প্রতিবাদ করায় প্রথমে তাকে শাসানো হয়, তার পর দু’জনে মিলে বেধড়ক মারধর করেন।

Advertisement

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন রাজু। ওই অবস্থাতেই তিনি বাড়ি ফেরেন। পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। গভীর রাতে তলপেটে ব্যথা শুরু হয় রাজুর। তড়িগড়ি তাকে মহীসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরোদার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় রাজুর। শনিবার মৃত্যু হয় তার।

গেলো ৩০ মে দামি পোশাক এবং রোদচশমা পরে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জিগর শেখালিয়া নামে এক যুবক। তাকে দেখে এক দল লোক শাসাতে শুরু করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় গ্রামেরই একটি মন্দিরের সামনে গিয়েছিলেন জিগর। পরনে তার দামি পোশাক ছিল। এবারও সেখানে হাজির হন রাজপুত সম্প্রদায়ের এক দল লোক। অভিযোগ, এ বার আর শাসানি নয়, জিগরকে টানতে টানতে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যান তারা। তার পর বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

এশিয়া

ফিলিপাইন-তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞের পর চীনে আঘাত হানলো টাইফুন গায়েমি

Published

on

 

সাগরে সৃষ্ট টাইফুন গায়েমি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এটি এবার চীনে আঘাত হেনেছে। চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৮ কিলোমিটার গতিতে ঝড়টি আছড়ে পড়ে।এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে আছড়ে পড়েছে টাইফুন গায়েমি। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

টাইফুন গায়েমি’র ফলে ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সংযোগ সড়ক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এরমধ্যেই ঝড়ের কারণে সব ফ্লাইট বাতিল ও ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

এছাড়াও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে ফুজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

Advertisement

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ জনে। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯০ হাজার ৪০৩ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা তিনটি ‘গণহত্যায়’ ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৪৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

থামছে না ইসরাইলি বর্বরতা, নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থামছে না ইসরাইলি বর্বর হামলা। সবশেষ হামলায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৮ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা দুটি ‘গণহত্যায়’  ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৯৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। এখনো উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত,  গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

জেডএস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত