Connect with us

আন্তর্জাতিক

হজ করতে এক বছর হেঁটে মক্কায় গেলেন ভারতীয় যুবক

Avatar of author

Published

on

শোনা যায় অতীতে যখন গাড়িঘোড়া ছিল না, তখন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা হজ করার জন্য পায়ে হেঁটে যেতেন। এমনকি ভারতীয় উপমহাদেশ থেকেই নৌকা বা জাহাজে চড়ে হজে যাওয়ার ঘটনাও খুব বেশি পুরোনো নয়। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে টানা এক বছরেরও বেশি সময় হেঁটে পাঁচটি দেশ পেরিয়ে মক্কায় যাওয়ার নজির সৃষ্টি করেছেন এক ভারতীয় যুবক।

সম্প্রতি অনন্য এই হজযাত্রার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। সে কথা জেনে যুবককে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। এই পদযাত্রাকে বিস্ময়কর বলছেন বেশিরভাগ মানুষ।
৩৭০ দিন হেঁটে মক্কায় পৌঁছানো ওই যুবকের নাম শিহাব ছোটুর। কেরালার মালাপ্পুরম জেলার ভ্যালানচেরির বাসিন্দা তিনি। সেখান থেকেই পায়ে হেঁটে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি। মাঝপথে পাড়ি দেন পাকিস্তান, ইরান, ইরাক ও কুয়েত। সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার হেঁটে এ মাসে সৌদি আরবের মক্কায় পৌঁছেছেন শিহাব।

জানা যায়, এ যুবক হজের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন গত বছরের ২ জুন। প্রথমে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য পেরিয়ে পাকিস্তান যান শিহাব। সেখান থেকে ইরান, ইরাক, এরপর চলতি বছরের মে মাসে কুয়েত এবং এ মাসে সৌদি আরবে পৌঁছান তিনি।

সৌদিতে ঢুকে প্রথমে মদিনা যান শিহাব। সেখানে ছিলেন ২১ দিন। এরপর নয়দিনে ৪৪০ কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছান মক্কায়।
কেরালাবাসী এ যুবকের নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে দীর্ঘ যাত্রাপথের বর্ণনা দিয়েছেন শিহাব।

যাত্রাপথে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যবর্তী ওয়াঘা সীমান্তে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। কাছে ভিসা না থাকায় পাকিস্তানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। এ জন্য একটি স্কুলে কয়েক মাস কাটাতে হয় তাকে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রানজিট ভিসা পাওয়া মাত্রই রওয়ানা দেন পবিত্র মক্কা নগরীর উদ্দেশ্যে।
শিহাব মক্কায় পা রাখলেও এখনই হজ করছেন না। তার মা জাইনাবাও শিগগিরমক্কায় যাবেন। এরপর মা-ছেলে একসঙ্গে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন।

Advertisement

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আন্তর্জাতিক

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরে র‍্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা

Published

on

সৌদি

সৌদি আরবে মহিলাদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় সৌদির ২৭ বছরের মডেল রুমি আলকাহতানি বোরখা খুলে বিকিনি পরে র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন। সেই আবহেই এ বার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। এই প্রথম সেই দেশে স্নানপোশাক পরে ফ্যাশন শোয়ে হাঁটলেন মডেলরা।

শুক্রবার সৌদিতে রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল, আর সেখানেই কার্যত বিপ্লব ঘটে গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের ধারে আয়োজিত হয়েছিল সেই ফ্যাশন শোটি। সেই শোয়ের ভিডিও এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।

এতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাকশিল্পী ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রংবেরঙের স্নানপোশাকে একে একে হেঁটে চলেছেন সুন্দরী মডেলরা। মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট, কেউ কেউ আবার নিম্নাঙ্গে সারং বেঁধেছিলেন। স্নানপোশাক পরলেও, অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেল তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথম বার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শোয়ের দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল স্নানপোশাকগুলি নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিতে পেরে সম্মানিত।’’

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

চীনের ২৬টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

উইঘর,-যুক্তরাষ্ট্র

উইঘুর ইস্যুতে চীনের ২৬টি টেক্সটাইল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ওয়্যারহাউজ ফ্যাসিলিটি থেকে আর চীনের তুলা আমদানি করবে না দেশটি।

শনিবার (১৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে হোয়াইট হাউস এসব কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের উইঘুর সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোর করে পণ্য তৈরি করায় চীন। ওই সব পণ্য নিজেদের সরবরাহ চেইন থেকে সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে চীনের টেলিকম সরঞ্জাম ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার নিষেধাজ্ঞা দিল টেক্সটাইল খাতের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদেন বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্টে এবার চীনের ২৬টি কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এসব কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

Advertisement

এর আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য শ্রম শিবির স্থাপন করেছে। তবে বেইজিং বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে। চীনের উন্নয়নের গতি রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি একটি কৌশলমাত্র।

২০২১ সালে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্ট পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত ৬৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন

Published

on

খুন

ক্রমেই বড় হয়ে চলেছে পরিবার। স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কী ভাবে ভাল ভাবে দিন কাটাবেন, তা নিয়েই সর্বদা চিন্তায় থাকতেন সহদেব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তার দুই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমে জানতে পারে যে, কোনও দুই অচেনা ব্যক্তি ঘরের ভিতর ঢুকে সহদেবের দুই কন্যাকে খুন করেছেন। কিন্তু তদন্ত এগিয়ে চললে জানা যায়, দুই নাবালিকাকে খুন করেছে তাদের বড় বোনই। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের গোহাওয়ার জাইত গ্রামে ঘটেছে। ১৩ বছরের কিশোরীর বিরুদ্ধে দুই নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদের নাম রিতু (৭) এবং পবিত্রা (৫)।

পুলিশ সূত্রে খবর, সহদেব তার স্ত্রী সবিতা এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। সবিতার ১৩ এবং ন’বছরের দুই কন্যা রয়েছে। সবিতা এবং তার প্রাক্তন স্বামী পুখরাজের দুই সন্তান তারা। পুখরাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সহদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় সবিতার। সহদেব এবং সবিতার তিন সন্তান— সাত এবং পাঁচ বছর বয়সি দুই কন্যা এবং দেড় বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে তাদের।

সহদেবের বাড়ি থেকে দুই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সবিতার ১৩ বছরের কন্যা পুলিশকে জানায়, দু’জন অচেনা ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে তার দুই বোনকে গলা টিপে খুন করে পালিয়ে যান। পরে অবশ্য সে নিজেই পুলিশকে আসল ঘটনাটি জানায়। কিশোরীর দাবি, পাঁচ সন্তানকে কী ভাবে বড় করবেন, এত বড় সংসার একা হাতে কী করে সামলাবেন— তা নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকতেন সহদেব। পরিবারের সদস্যসংখ্যা কমে গেলে বাবার চিন্তাও কমে যাবে— এমন ভেবে দুই বোনের গলায় কাপড় জড়িয়ে তাদের গলা টিপে মেরে ফেলে কিশোরী। পুলিশের কাছে এমনটাই জানায় সে। দুই নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত