Connect with us

খুলনা

দুই সিটির ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

Avatar of author

Published

on

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোটগ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা। এই প্রথম দুই সিটি করপোরেশনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট নেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী।

এদিকে সিসি ক্যামেরায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন নির্বাচন কমিশনাররা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ হাজার ১৪৬টি সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল পুরো নির্বাচন। এতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন।

মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)। এ ছাড়াও নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

Advertisement

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন

খুলনা নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯ ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা। নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

খুলনায় মেয়র পদে ৫ জন এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরই মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মেয়র পদে তালুকদার আব্দুল খালেক (আওয়ামী লীগ, নৌকা প্রতীক), মো. আ. আউয়াল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাত পাখা), মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পাটি, লাঙ্গল), এস এম শফিকুর রহমান (স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি) এবং এস এম সাব্বির হোসেন (জাকের পার্টি, গোলাপ ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

খুলনা

পহেলা জুন থেকে বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার

Published

on

পহেলা জুন থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার। এ সময় সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট। সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় সরকারি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় সকলের জন্য সুন্দরবনের দুয়ার খুলে দেয়া হবে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল শনিবার (১ জুন) থেকে তিন মাসের জন্য জেলে-বাওয়ালিদের সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটকরাও এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত। ২০২১ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সময় পর্যটক প্রবেশ, সাধারণ মানুষের চলাচলসহ সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।

খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে ২০২১ সাল থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সকল ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরেও এটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মূলত সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্রসহ মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এই তিন মাস ব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে।

এদিকে তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ। এ সময় তাদের কোনো রোজগারের পথ থাকবে না।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে প্রবেশ তিন মাস বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে জেলেদের মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব : সুন্দরবন থেকে ১০০ বন্য প্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে যাওয়ার পরে সময়ের সাথে বাড়ছে বন্য প্রণীর মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ৯৬ টি হরিণ এবং ৪ টি শূকরসহ মোট ১০০ বন্য প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো।

এ বন সংরক্ষক জানান,  মৃত হরিণগুলো সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভেসে আসা ১৮টি হরিণ এবং একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়। যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে হবে।

একাধিক বন কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে  বনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।

Advertisement

আই/এ

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব : সুন্দরবন থেকে ৫৪ হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার

Published

on

সময়ের সাথে স্পষ্ট হচ্ছে রেমালের আঘাতে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের ক্ষত। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ১৫টি হরিণ এবং একটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫৪ টি হরিণ এবং ২ টি শূকরের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো।

মিহির কুমার দো জানান, মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভেসে আসা ১৭টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা করা হয়। যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ওপরে হবে।

একাধিক বন কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে  বনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত