আজ শুরু হচ্ছে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ

বিএনপি

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তারুণ্যের সমাবেশ। চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে দেশের আরও ৫টি স্থানে এ ধরনের সমাবেশ হবে।

বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে এই সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকা ছেয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে। বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

তরুণদের রাজপথে নামাতে ও তাদের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে আজ বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ। নগরীর কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে বিভাগীয় পর্যায়ের এ কর্মসূচি ঘিরে উজ্জীবিত বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে তরুণদের ব্যাপক সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান বলেন, ‘সমাবেশের জন্য আমরা আউটার স্টেডিয়ামের অনুমতি পেয়েছি। দুপুর ২টা থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘সমাবেশ সফল করতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। বিশেষ করে তরুণরা এ ধরনের একটি কর্মসূচির অপেক্ষায় ছিল। আশা করছি, স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে এটি। এর আগেও চট্টগ্রামে দলের পক্ষ থেকে বড় বড় সমাবেশ হয়েছে। তবে এবার আলাদা করে তারুণ্যের শক্তি দেখবে দেশবাসী।’

এদিকে দীর্ঘদিন পর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আউটার স্টেডিয়ামে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে। এতদিন তারা কাজীর দেউড়ি দলীয় কার্যালয় চত্বর ও সামনের সড়কেই বেশিরভাগ সভা-সমাবেশের আয়োজন করে আসছিল। আউটার স্টেডিয়ামের মতো বড় পরিসরে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ায় নেতাকর্মীরা বেশ খুশি।

‘তরুণ ভোটারদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাঠে নেমেছি’ : সমাবেশ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। দেশ হায়েনার কবলে পড়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। প্রায় ৪ কোটি নতুন ভোটার বিগত ১৫ বছর যাবৎ ভোট দিতে পারেনি। ভোট মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন দল থাকবে, কোন ব্যক্তি পরিচালনা করবে সেই সিদ্ধান্ত ভোটাররাই দেন। কিন্তু তাদের একটি বড় অংশ তরুণরা ভোট দিতে পারছে না। তাই তরুণ ভোটারদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা মাঠে নেমেছি।

 

Recommended For You

Leave a Reply