Connect with us

লাইফস্টাইল

ভালোবেসে যোগাসন করেন যে নায়িকারা

Avatar of author

Published

on

কারিনা কাপূর

শুটিংয়ের ব্যস্ততা না থাকলে বলিউডের নায়িকাদের সময় কাটে কোথায়? উত্তরটা অনেকেরই জানা। অখণ্ড অবসরে তো বটেই, কাজের ফাঁকেও সময় বার করে জিমে যান অভিনেত্রীরা। সমাজমাধ্যমে এমন অনেক ভিডিও ঘোরাফেরা করে, যেখানে দেখা যায় জিম থেকে ঘেমে নেয়ে বেরোচ্ছেন সারা আলি খান কিংবা আলিয়া ভাট। নায়িকারা ছিপছিপে হবেন, এটাই যেন অলিখিত নিয়ম। না হলে দর্শক দেখবেন-ই বা কেন। পেশার খাতিরে তাই নিজেদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়া উপায়ও নেই। তবে শুধু পর্দায় ভাল দেখাবে বলে নয়, এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ফিট থাকতে ভালবাসেন। হাতে ছবির কাজ থাক কিংবা না থাক, নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে ভোলেন না। তবে শুধু বলিপাড়া নয়, টলিউডের নায়িকারা কিন্তু পিছিয়ে নেই। জিমের বাইরে সব সময় দেখা যায় না ঠিকই, কিন্তু তাদের ইনস্টাগ্রামে গেলে দেখা যাবে যোগাসনের ভিডিও, রিল, ছবি। চলুন জেনে নেয়া যাক মায়ানগরী থেকে কল্লোলিনী তিলোত্তমা ফিট থাকার দৌড়ে এগিয়ে আছেন কারা-

শিল্পা শেঠি

ফিটনেস নিয়ে কথা উঠলে শিল্পা শেঠির নাম প্রথমের দিকে রাখতেই হয়। শিল্পা বহু বার নিজে জানিয়েছেন, ৪৫ বছর বয়সেও যে তাকে কলেজ পড়ুয়া তরুণীর মতো দেখায়, তার একমাত্র কারণ শরীরচর্চার প্রতি ভালবাসা। এমন কোনও দিন যায় না, যে দিন তিনি ব্যায়াম করেন না। হয়তো সময় কম দেন, কিন্তু অভ্যাসে বিরতি পড়ে না। কিছু দিন আগে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন নায়িকা। হুইলচেয়ারে বসেও যোগাসন করে দেখিয়েছেন শিল্পা।

Advertisement

মিমি চক্রবর্তী

টলিপাড়ায় কান পাতলে ফিটনেস ফ্রিক হিসাবে কানে আসে মিমি চক্রবর্তীর নাম। সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি যে ফিট, তা তাকে দেখলেই বোঝা যায়। শুটিং ফ্লোর থেকে নিজের কেন্দ্র যাদবপুরে দাপিয়ে বেড়ানো— সুস্থ না থাকলে এমনটা সম্ভব নয়। নায়িকার সমাজমাধ্যমের পাতায় গেলে পোষ্যদের সঙ্গে খেলাধুলো, বিদেশ ভ্রমণের ছবি, নানা রকম রিল ভিডিও ছাড়া শরীরচর্চার ছবিও চোখে পড়বে।

কারিনা কাপূর খান

 

View this post on Instagram

 

Advertisement

A post shared by Kareena Kapoor Khan (@kareenakapoorkhan)

জিমে যান, তবে ঘন ঘন নয়। বরং লোহালক্কড় টানার চেয়ে তিনি যোগাসন করতেই বেশি ভালবাসেন। আঁটসাঁট জিম পোশাকে কখনও পদ্মাসন, কখনও আবার অর্ধচন্দ্রাসনে মগ্ন নায়িকা। কারিনার ইনস্টাগ্রামের পাতায় চোখ রাখলেই তা জানা যাবে। তৈমুরের জন্মের বছর তিনেক পরে ফের মা হয়েছিলেন করিনা। স্বাভাবিক ভাবেই ওজন বেড়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বার মা হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কিন্তু আগের চেহারায় ফিরে এসেছিলেন করিনা। পরে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ডায়েট নয়, যোগাসন করেই ওজন ঝরিয়েছেন তিনি।

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Sayantika Banerjee (@iamsayantikabanerjee)

Advertisement

গোটা টলিউড জানে যে সায়ন্তিকা ঠিক কতটা ফিটনেস ফ্রিক। ইদানীং পর্দার চেয়ে রাজনীতির ময়দানে তাকে বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে যে জায়গায় তাকে দেখা যায়, তা হল জিম। পিলাটোস থেকে ওয়েট ট্রেনিং- সবেতেই পারদর্শী সায়ন্তিকা। তবে যন্ত্রপাতি নিয়ে শরীরচর্চা করা ছাড়াও যোগাসনেও তাঁর অগাধ ভরসা। মাঝে মাঝে যোগাসনের বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি দেন সমাজমাধ্যমে। রিল ভিডিয়োও বানান।

রকুলপ্রীত সিংহ

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rakul Singh (@rakulpreet)

Advertisement

লকডাউনের সময় গাড়ি নিয়ে বাইরে বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই সাইকেল চালিয়ে শুটিংয়ে যেতেন রকুলপ্রীত। বলিউডের ফিট কন্যেদের তালিকায় রকুলপ্রীতের নাম প্রথম দিকে থাকে। শরীরচর্চায় তার মতো মনোযোগ অনেক নায়িকারই নেই। পর্দায় ভাল দেখানোর চেয়েও, তার কাছে ফিট থাকাটা জরুরি। তবে জিম নয়, তিনি ভরসা রাখেন যোগাসনে।

 

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

পরামর্শ

কিছু মানুষ কেন বার বার প্রেমে পড়েন?

Published

on

মানুষের জীবনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে আবেগ, উত্থান, পতন, চাওয়া পাওয়া বা ভালোবাসা। ‘প্রেম’ তেমনই একটি শব্দ। তবে মানব প্রেম বৈচিত্রময়। এই প্রেম কখনো সুখের হয়ে আসে, আবার কখনো সব ছিন্নভিন্নও করে দিতে পারে। আবার কখনও সে প্রেম দীর্ঘস্থায়ী, কখনও ক্ষণস্থায়ী হয়। ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে প্রেমের গভীরতা কেমন হবে। কিন্তু প্রেমের সাথে বিজ্ঞানের যোগসুত্র কী আদৌ আছে…?

বহুদিন ধরেই এই বিষয় নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হচ্ছে। উপাত্তে দেখা গেছে, প্রেমে পড়ার জন্য বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত তকমা খুব একটা কাজ করে না। কিন্তু গবেষণায় বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে মোটা দাগে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত প্রেম, দ্বিতীয়ত শুধু যৌন সম্পর্ক, তৃতীয়ত যৌন কর্মের উদ্দেশ্যে প্রেম করা এবং চতুর্থ জীবনসঙ্গীর বিকল্প সঙ্গী খুঁজে ফেরা।

মুশকিল হলো বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক যিনি করেন, গবেষণা বলছে, তিনি শেষ পর্যন্ত বিষণ্নতায় ভোগেন এবং কথা রাখতে পারেন না। এক্ষেত্রে তার সঙ্গী, যিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন না, তার কাউন্সেলিংয়ে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ তিনি প্রতিমুহূর্তে অনুভব করেন, ভয়ংকরভাবে তিনি প্রতারিত হচ্ছেন। আবার দেখা গেছে, যেসব পুরুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান, তাদের মধ্যে মাদক ব্যবহারের প্রবণতা এবং দাম্পত্যে যৌন অতৃপ্তির প্রবণতা বেশি থাকে।

ফলে এ ধরনের দম্পতি যখন কাপল কাউন্সেলিংয়ে আসেন, তখন দেখা যায়, তাদের অনেকেই হীনম্মন্যতা এবং অনৈতিক ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। সময়মতো কাপল কাউন্সেলিং না নিলে প্রতি তিনটির মধ্যে একটি দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের দিকে যান। কিন্তু আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত কাউন্সেলিং ও সাইকোথেরাপিকে উপযুক্ত চিকিৎসা বলে গণ্য করা হয় না। গবেষণা বলছে, দাম্পত্য কলহ যদি অবিশ্বস্ততা বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্য হয়, তবে এটি দাম্পত্যের ভোগান্তির কারণ হিসেবে বেশি ভূমিকা পালন করবে।

মনে রাখতে হবে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গোপন থাকে না। আর কেউ না জানুক জীবনসঙ্গী ঠিকই টের পাবেন। হয়তো কারও সময় বেশি অথবা করও কম লাগে। ধরা পড়ার পর মিথ্যা বলে নিজেকে সঠিক বলে দাবি না করে যখন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করা হয়, তখন পরস্পরের খোলামেলা আলোচনায় নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে ভালো ফলও পাওয়া যায়। দেখা গেছে, এতে দাম্পত্য কলহ কমে যায়। কিন্তু এই বদলানোর প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ নিজেকেই করতে হবে। কারণ, আমরা আসলে নিজেকে ছাড়া কাউকেই বদলাতে পারি না। তাই জীবনসঙ্গীর কাছে সততার সঙ্গে সব স্বীকার করে নেয়াটাই উত্তম। কারণ, একটা মিথ্যা ঢাকার জন্য শেষ পর্যন্ত কয়টা মিথ্যে বলতে হয়, তার কোনো হিসাব থাকবে না। মিথ্যা কখনো না কখনো ধরা পড়বেই।

Advertisement

কাপল থেরাপিতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ, কাপল থেরাপিতে তিনটি পর্যায়ে কাজ করতে হয়। আচরণ, চিন্তা এবং আবেগের জায়গাকে একই সুতোয় গাঁথা সহজ কথা নয়। ফলে কাপল থেরাপিতে সময় লাগে।

অনেকেই দু–তিনটি সেশনের পরই অস্থির হয়ে যান। তারা মনে করেন, থেরাপিস্টের কাছে কোনো জাদুর ছড়ি আছে, যেটা তিনি ঘুরিয়ে দিলে সহজেই যা চাচ্ছেন, তা পেয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে বলতে পারি, থেরাপিস্ট কাপলকে সম্পর্কে বিদ্যমান জটগুলো দেখিয়ে দেবেন। কোন জট আগে খুলবেন, সেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে যারা এসেছেন, তাদের ইচ্ছা শক্তির ওপর। এ জন্যই কাপল থেরাপিতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। মাসের পর মাস তো বটেই, বছরও পেরিয়ে যেতে পারে। ফলে দুদিনে নিরাময় হয়ে যাবে এই চিন্তা করে এলে ভুল করবেন।

রবীন্দ্রনাথের কথায় বলতে পারি, ‘লোকে ভুলে যায়, দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নূতন করে সৃষ্টি করা চাই। ’ দাম্পত্য সম্পর্কে ঢোকার আগে প্রেমিক যুগলের মধ্যে বাস করে তীব্র রহস্য! দাম্পত্যে সেই রহস্য ক্রমশ ফিকে হয়ে আসে। আর এর পরিণতিতে পরস্পরের প্রতি অনাগ্রহ জন্ম নেয়। একজন আরেকজনকে ভালোবাসতে ভুলে যান।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মানুষের বহু প্রেমে পড়ার কারণ হল একাকীত্ব। কেননা মানুষ একা হয়ে পড়লে সে তার জীবনে সবচেয়ে ভালো কিছুটাই খোঁজে। ভালো সঙ্গী খুঁজে নিতে বহুপ্রেমে পড়ে। এছাড়াও মানুষ বেশিরভাগ সময় তার পরবর্তী সম্পর্কে প্রবেশ করে অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি এড়াতে চায়। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রেমকেই ভুল বলে মনে হতে পারে। এ কারণে তারা সেই প্রেম ভেঙে নতুন প্রেমে জড়ায়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

হালকা ক্ষুধা মেটাতে বিভিন্ন ধরণের বাদাম এবং বীজ খাওয়ার উপকারিতা জানুন

Published

on

বাদাম বা বীজের মধ্যে নানা ধরণের ভিটামিন, খনিজ ও ভাল মানের ফ্যাট রয়েছে। তাই এই জাতীয় খাবারকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়। কারণ বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।

২৪ ঘণ্টায় শরীরের জন্য গ্রহণ করা তিনটি ভারী খাবারের মাঝে হালকা খিদে মেটাতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খাওয়া যেতে পারে। মুড়ি, চিঁড়ে কিংবা তেলে ভাজা মুখরোচক খাবারের চাইতে বিকল্প খাবার হিসেবে দারুণ পুষ্টিকর এই বাদাম এবং বীজ।

রোজকার ডায়েটে এই ধরণের খাবার রাখার পরামর্শ দেন স্বয়ং পুষ্টিবিদেরা। সকালের নাস্তার সঙ্গে কিংবা বিকেলে অল্প খিদে মেটাতে এই জাতীয় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। কারণ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম বা বীজের মধ্যে হরেক রকম ভিটামিন, খনিজ, ভাল মানের ফ্যাট রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সমস্ত উপাদান শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে।

চলুন জেনে নেই নিয়মিত বাদাম এবং বীজ খাওয়ার উপকারিতা:

১) নিয়মিত একমুঠো বাদাম বা বীজ জাতীয় খাবার খেলে হার্ট ভাল থাকে। কারণ, বাদাম এবং বীজে রয়েছে সুষম ফ্যাট, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সমস্ত উপাদান হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

২) বাদাম এবং বীজের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই বাদাম এবং বীজ, শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা তো করেই, সেই সঙ্গে সামগ্রিক সুস্থতায়ও ভূমিকা রাখে।

৩) বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। ফলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। পুষ্টিকর খাবার খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি ভাল উপায় হতে পারে এটি।

৪) বাদাম এবং বীজের গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। তাই এই ধরনের খাবার গ্রহণের পর রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ডায়াবেটিক আক্রান্তদের জন্যও খাবার’টি নিরাপদ।

৫) বাদাম এবং বীজের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতেও সাহায্য করে। ফলে স্নায়ুর বয়সজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে এই উপাদান।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে শিশুকে অবশ্যই বলুন এই ৫ কথা

Published

on

শিশু

প্রত্যেক বাবা-মা তার সন্তানকে মনের মতো করে গড়তে চান এবং ভালো মানুষ বানাতে চান। তাই শিশু জন্মের পর থেকেই তারা খুদের যথেষ্ট যত্ন করেন। এবং সে একটু বড় হওয়ার পরেই তাকে নানা বিষয়ে শিক্ষা দিতে শুরু করেন। সেই সময়ে প্রত্যেক অভিভাবকের মনেই এই আশা থাকে যে, তার সন্তান বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হবে। আর আপনিও নিশ্চয়ই সেই অভিভাবকদের থেকে আলাদা নন। তাহলে প্রতি রাতে খুদে ঘুমানোর আগে তাকে এই কয়েকটি কথা অবশ্যই বলুন।

আগামীকাল একটা নতুন সকাল

আজ সারা দিন যা যা ঘটেছে, তার থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলার নামই জীবন। তাই আগামীকালের জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আর তার জন্যে শিশুকে সেই কথাটি বুঝিয়ে বলা জরুরি।

কারও ক্ষতি না করা 

সন্তানকে ছোট থেকেই ভালোভাবে শেখাতে হবে সে যেন কোনো দিন কারও ক্ষতি করার কথা একদম না ভাবে। কারও ব্যবহারে তার যদি খারাপ লাগে, তাহলে যেন সেই নিয়ে সে সরাসরি কথা বলে। কিন্তু বিপরীতের মানুষটির ক্ষতি করার কথা যেন ভুলেও না চিন্তা করে।

Advertisement

ক্ষমা করলে মনের শান্তি

ছোট থেকেই শিশুর মনে ক্ষমার মন্ত্র দিন। তাহলে বড় হয়েও তার সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে সুবিধা হবে। তাকে বুঝিয়ে দিন, ক্ষমার অর্থ বারবার সেই মানুষটির ভুলকে মেনে নেয়া নয়। ক্ষমার প্রকৃত অর্থ হল মানুষটির ব্যবহার মন থেকে মুছে ফেলা এবং সেই ধরনের খারাপ ব্যবহারকে আর কোনো ভাবেই মেনে না নেয়া। তাহলেই দেখবেন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যাবে।

মনে কোনো ক্ষোভ না রাখা 

সারা দিনে শিশুকে অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আর সেসব কিছুর প্রভাব তার মনেও পড়ে। সে হয়তো মুখে সব বলতে পারে না, কিন্তু মনে মনে কষ্ট পায়। অভিমানও করে। কখনও কখনও তার মনে রাগ জমে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে শিশুকে অবশ্যই এই কথাটি বলুন। তার মনে জমিয়ে রাখা ক্ষোভ কোথাও লিখে ফেলতে বলুন বা আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে বলুন। তাতেই উপকার মিলবে।

দুই পাতা বই পড়ো

Advertisement

ঘুমানোর আগে বই পড়া অভ্যাস করান আপনার শিশুকে। তাহলে দেখবেন তার মনে বদল আসবে। প্রতি রাতে যদি সে কয়েক পাতা বই পড়তে পারে, তাহলে সে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকবে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত