Connect with us

ব্যাংকিং ও বীমা

ব্যাংক কোম্পানি বিল পাস, জাতীয় পার্টির ওয়াকআউট

Avatar of author

Published

on

বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্যদের আপত্তির মধ্যে জাতীয় সংসদে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) বিল, ২০২৩ পাস হয়েছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বুধবার (২১ জুন) সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সংশোধিত বিলের কিছু বিষয়ের প্রতিবাদে একপর্যায়ে বিরোধী সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন।

বিলটি উত্থাপন করে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে দেশে একটি আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রস্তাবিত বিলের সমালোচনা করে ময়মনসিংহ-৮ আসনের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, নতুন সংশোধনী বিলে বড় ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে এবং আইনটি পাসের আগে তা সংশোধন করা উচিত। বিলটির ওপর জনমত যাচাই করা দরকার।

Advertisement

ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর বিধান অনুযায়ী একটি ব্যাংকের তিনজনের বেশি পরিচালক একই পরিবারের হতে পারবেন না। আইনে বলা হয়েছে, বর্তমানে একটি পরিবার থেকে চারজন পরিচালক থাকতে পারেন, তবে এটি এখন সর্বোচ্চ তিনজনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এছাড়াও, আইনে ব্যাংক থেকে বোর্ড সদস্যদের ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থার বিধান রয়েছে।

কিছু বিধান শেয়ার করে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।

কোনো ব্যাংক সময়মতো ঋণখেলাপিদের তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে ব্যর্থ হলে ব্যাংকটিকে ৫০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হতে পারে। প্রতিদিন বিলম্বের জন্য ব্যাংককে অতিরিক্ত ১ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের নিবন্ধকের অধীনে তাদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান এবং কোম্পানির নিবন্ধন সংক্রান্ত কঠোর বিধান রাখা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর ৫ বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত একজন ইচ্ছাকৃত খেলাপি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ার যোগ্য হবেন না। কোনো ব্যাংকের কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারে বলেও জানান তিনি।

আইনে বলা হয়েছে, আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বলে গণ্য হবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ শিগগিরই কার্যকর করার শর্ত দিয়েছে।

আইএমএফ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলির জন্য নন-পারফর্মিং ঋণ ১০ শতাংশ কমাতে বলেছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ব্যাংকিং ও বীমা

ব্যাংক আলফালাহকে ৬০০ কোটি টাকায় কিনছে ব্যাংক এশিয়া

Published

on

পাকিস্তানিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহকে কিনছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে, নিয়োগ দেয়া হয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিরীক্ষা ও মূল্য নির্ধারণের কাজ করছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কর, নিরীক্ষা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউজকুপারস (পিডব্লিউসি)।

ব্যাংক এশিয়ার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে জানান, ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বিদেশি এক প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষা ও মূল্য নির্ধারণের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরেই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রাথমিকভাবে ব্যাংকটির খরচ ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। এই অর্থ কয়েক ধাপে পাকিস্তানে পাঠানো হবে।

এর আগে দুইটি বিদেশি ব্যাংক অধিগ্রহণ করেছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংক আলফালাহ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশের কার্যক্রম অধিগ্রহণ করতে চলেছে ব্যাংকটি। ২০০১ সালে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোশিয়া ও পাকিস্তানের মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংককে অধিগ্রহণ করে ব্যাংক এশিয়া।

উল্লেখ্য, ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণ বিষয়ে গত মাসে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আলফালাহকে অধিগ্রহণের অর্থ কয়েক ধাপে পরিশোধ করবে ব্যাংক এশিয়া। অর্থ পরিশোধকালীন সময়ে ব্যাংক আলফালাহর দেয়া কোনো ঋণ খারাপ হয়ে পড়লে তাদের পাওনা অর্থের পরিমাণ কমে আসবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ব্যাংকিং ও বীমা

বাংলাদেশকে ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

Published

on

বাংলাদেশকে ৬৫ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৫১ টাকা ধরে) ঋণ অনুমোদন দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

শনিবার (২৯ জুন) ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ড এ অর্থ অনুমোদন করে বলে জানায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস।

সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশকে বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা করতে ৬৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হচ্ছে। যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করবে এবং বন্দর বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি খরচ কমিয়ে আনবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। নতুন এই আধুনিক বে টার্মিনাল আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই টার্মিনালে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোর জন্য সুযোগ বাড়াবে এবং জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯০ শতাংশ এবং এর ৯৮ শতাংশ কনটেইনার প্রবেশ করে। তবে এই বন্দর দিয়ে ছোট ফিডার জাহাজগুলো প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এর মাধ্যমে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।

Advertisement

তিনি বলেন, প্রকল্পটি কন্টেইনার টার্মিনালগুলোর উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে একত্রিত করবে। সরকারি অর্থায়নের সাথে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং সামগ্রিক বে টার্মিনাল উন্নয়নের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের দলনেতা হুয়া টান বলেছেন, বে টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে। বে টার্মিনাল, চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে আনন্দনগর/সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবস্থিত এবং ঢাকার সাথে বিদ্যমান সড়ক ও রেল যোগাযোগের কাছাকাছি, বাংলাদেশের কন্টেইনারের পরিমাণের ৩৬ শতাংশ পরিচালনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ টেকসই পরিবহন পরিষেবাগুলোতে উন্নত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেলো বাংলাদেশ

Published

on

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণের এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঋণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

এ মুখপাত্র জানান, রিজার্ভে আইএমএফ এর ঋণের পাশাপাশি কেরিয়া, আইবিআরডি ও আইডিবি থেকে আরও ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে। এতে আজ মোট রিজার্ভ দাড়িয়েছে ২৬.৫ বিলিয়ন ডলারে।

এর আগে গেলো ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের পর্ষদ সভায় তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার অনুমোদন হয়। এর মধ্যে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) ৯২ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির ২২ কোটি ডলার রয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত