Connect with us

জাতীয়

আজ থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু, নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা

Avatar of author

Published

on

ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। নাড়ির টানে ব্যস্ততম নগর ছেড়ে রেল, নৌ ও সড়কপথে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন তারা।

আজ থেকে শরু হয়েছে ট্রেনে ঈদের অগ্রিম টিকিটে ঈদযাত্রা । ঈদ উপলক্ষ্যে ২৮ জুন পর্যন্ত শুধু কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় লাখ যাত্রী রাজধানী ছাড়বেন। রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা।

শনিবার (২৪ জুন) সকাল ছয়টার পর আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। এরপর নীলসাগর এক্সপ্রেস ঘরমুখো মানুষকে নিয়ে রওনা হয় গন্তব্যে।

এদিকে ১৪ জুন যেসব যাত্রী ২৪ জুনের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারা আজ রাজধানী ছাড়বেন। এছাড়া শুধু যাত্রার দিন ২৪ থেকে ২৮ জুন কাউন্টার থেকে ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ২৮ হাজার যাত্রী কমলাপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে যাবেন। বিনাটিকিটে ভ্রমণ রোধে কমলাপুরসহ দেশের সব স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির জানান, এবার ঈদে ২৪ থেকে ২৮ জুন প্রতিদিন ৪১ জোড়া আন্তঃনগর এবং ৩৬ জোড়া মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবে। তবে ইতিমধ্যে মানুষ ট্রেনে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।

Advertisement

রাজধানীর কমলাপুর থেকে টাঙ্গাইল যাবেন রুবিনা রহমান। থাকেন মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে। রুবিনা আরটিভি নিউজকে বলেন, এবার একটু আগে ভাগেই যাচ্ছি। ঈদের ভিড়ের আগেই। বললেন, এখনো তেমন ঈদের আমেজ শুরু হয়নি। হয়তো সরকারি ছুটি শুরু হলেই ভিড় বাড়বে।

এদিকে শান্তির নীড় নৌপথে স্বস্তিতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন দেশের দক্ষণাঞ্চলের মানুষ। তবে শুক্রবার (২৩ জুন) সদরঘাটে যাত্রীদের তেমন ভিড় ছিলনা।

নদীবন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী সোমবার অফিস ছুটির পর সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়বে।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, এবার ঈদে ৩০ লাখ যাত্রী নৌপথে যাতায়াত করবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সঙ্গে নৌপুলিশ, র‌্যাব ও কোস্টগার্ড। পাশাপাশি রয়েছে স্বেচ্ছাসেবকরা।

জানা গেছে, লঞ্চের অধিকাংশ কেবিন অগ্রিম বুক হয়ে গেছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার ভাড়া কিছুটা বেশী বলে অভিযোগ করেন অনেকে।

Advertisement

বরিশালের খালেক মিয়া যাবেন মুলাদী। ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন এবার ডেকের ভাড়াই ৫০০ টাকা। এটা আমাদের মত মানুষের জন্য অনেক বেশী। একটু কম হলে ভাল হতো।

লঞ্চ কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, বরিশালগামী লঞ্চগুলোতে ডেক যাত্রীদের ভাড়া ৫০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ১৫০০ টাকা, ডাবল কেবিন ২৫০০ টাকা ও ভিআইপি কেবিন ৭০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (ট্রাফিক) কবির হোসেন বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে ঈদে আগেভাগেই সড়কপথে রাজধানী ছাড়ছেন অনেকেই। শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানী ছেড়েছে বিভিন্ন রুটের একাধিক দূরপাল্লার বাস। গাবতলী, সায়দাবাদ, কল্যাণপুর, মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে পদ্মা সেতু হওয়ায় ভোগান্তি ছাড়াই সড়কপথে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। আগে পদ্মা পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো ফেরিঘাটে। এখন ৮ থেকে ১০ মিনিটেই পাড়ি দিচ্ছেন পদ্মা সেতু। আর তাইতো মহাখুশি এ অঞ্চলের মানুষ।

Advertisement

সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হয় মাদারীপুরের তাইমু ইসলামের সঙ্গে। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, এবার একটু আগে ভাগেই চলে যাচ্ছি। যদিও সড়কের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল। রাস্তায় এবার ভোগান্তি হবে না। তবে সব অফিস ছুটি হলে ভিড় বাড়বে। তখন ভোগান্তি হলেও হতে পারে। এজন্য আগে ভাগেই চলে যাচ্ছি।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

Published

on

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার (২৭ জুলাই)। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

Advertisement

সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দু’য়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সারা দেশে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

Published

on

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরো একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং সকাল ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া, বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

উল্লেখ্য, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত