Connect with us

ঢাকা

ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

Avatar of author

Published

on

কলেজছাত্রী

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদীতে বাসায় ঢুকে বিনা মিত্র (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত কলেজছাত্রী বরাব গ্রামের মুকুঞ্জ মিত্রের মেয়ে।

শনিবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বড়িবাড়ি এলাকার বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে, শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে বাসায় ঢুকে কে বা কারা বিনা মিত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, বিনা মিত্র ঘোড়াশাল মুসাবিন হাকিম ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। দুই বছর আগে পড়ালেখা চলাকালীন ঘোড়াশাল পৌর এলাকার লাগাইল্লা গ্রামের জগদিস মিত্রের ছেলে সঞ্জয় মিত্রের সঙ্গে বাবা-মার অজান্তে প্রেম করে বিয়ে করে বিনা মিত্র। বিয়ের পর সে জানতে পারে সঞ্জয় আগেই বিবাহিত এবং তার সন্তানও রয়েছে। পরে সে ৫ থেকে ৬ মাস সংসার করে বাবার বাড়িতে চলে আসে। আর স্বামীর বাড়ি যায়নি। তবে, মাঝে মধ্যে তার স্বামী তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। কিন্তু কিছুদিন ধরে তার স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিলো।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে বরাব মন্দিরে পাশে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে রথযাত্রার প্রসাদ খাওয়া শেষে বাড়িতে ফিরে আসে তারা। রাতে তার বাবা-মার থাকার ঘরের পাশের আরেকটি ঘরে পড়তে বসে বিনা। এসময় তার মা উর্মিলা মিত্র কবিরাজি চিকিৎসা নিতে পাশের বাড়িতে যায়। আর বাবা ও তার ভাই পাশের রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৯টার দিকে তার মা বাড়িতে এসে মেয়ের বিবস্ত্র মরদেহ দেখতে পায়। মেয়ের মরদেহের বুকে ছুরিকাঘাতের কাটা জখমের দাগ দেখা যায়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পলাশ থানা ও জেলা পুলিশ। আজ সকালে মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

জিনারদী ইউপি সদস্য জয়ন্ত দাস বলেন, রাতে আমরা বিষয়টি জানতে পারি তখনই  চেয়ারম্যান ও প্রশাসনকে জানাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়েটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। খুবই নারকীয় ভাবে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

পলাশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামসুল হক বলেন, সকালে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহের বুকে ছুরিকাঘাত ছিলো। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ঢাকা

ঢাকায় কোরবানি দিতে গিয়ে আহত ১৪০

Published

on

পবিত্র ঈদ উল আজহার কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছুরিকাঘাতে ১৪০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন তারা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক সার্জন ডা. আমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আহত হওয়া ১৪০ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। সবাইকে সেলাইয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে ১৪০ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা চলে গেছেন। একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

পাড়া-মহল্লায় চলছে পশু কোরবানি

Published

on

সারাদেশে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে পাড়া-মহল্লায় নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন মুসলমানরা। ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে। এদিকে, পশুর মাংস কাটতে কসাইরাও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।

রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দা জাহিদুর রহমান বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আমরা পশু কোরবানি করি। আল্লাহ তৌফিক দিয়েছেন তাই প্রতিবার চেষ্টা করি কোরবানি দেওয়ার। নিজেদের আনন্দ অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার।

এদিকে, কোরবানির জন্য পশু কিনলেও সবাই আজকে কোরবানি করছেন না। কেউ কেউ ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও পশু কোরবানি করবেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

চেনা যাচ্ছে না রাজধানী ঢাকাকে!  

Published

on

মানুষের ভীড়, অসহনীয় যানজট, যখন তখন গাড়ির হর্ণ- রাজধানী ঢাকার নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে এসব আর কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

রাজধানী ঢাকা হয়ে গেছে একদম ফাঁকা। ঈদের ছুটির প্রভাবে অলিগলিসহ প্রধান সড়কগুলো এখন প্রায় মানুষ শূন্য ।

কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে গেছে বলাকা কমিউটার, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, তিস্তা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস, এগার সিন্ধু প্রভাতী এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ আরো অনেক ট্রেন।

মহাসড়কে যানজট না থাকলেও সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে হাইওয়ে, গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ।

যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আজ রাত পর্যন্ত তারা মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত