রাজশাহী
লাখ টাকার নিচে মিলছে না মাঝারি ও ছোট গরু
শেষ সময়ে জমে উঠেছে রাজশাহীর কোরবানীর পশুর হাট। প্রায় সপ্তাহ আগে থেকে খামারী ও যারা কোরবানীর জন্য বাড়িতে পশু পালন করেছেন তারা সেই পশুগুলো বিক্রির জন্য হাটে তুলছেন। এখন রাজশাহীর সব হাটেই কোরবানীর পশুর সমরাহ।
রাজশাহীর সবচেয়ে বড় সিটিহাটে বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আমদানি করা হয়েছে। একই সাথে রাজশাহীর সিটিহাট থেকে ব্যবসায়ীরা পশু কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন।
সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পশুর হাটে ক্রেতারাদের উপস্থিতি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেচাবিক্রিও ভাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুধু সিটি হাট নয়, রাজশাহীর উপজেলা পর্যায়ের পশু হাটগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরব থাকছে। সময় শেষ হয়ে আসার কারণে এখন পশু হাটগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই। তবে এবার ক্রেতা মিললেও দামে মিলছে না।
বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানীর পশুর দাম খুব বেশি নয়, আর ক্রেতারা বলছেন গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিটি কোরবানীর পশুর দাম অনেক বেশি। লাখ টাকার নিচে কোনো গরু মিলছে না।
রাজশাহীর সিটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। এসব গরু গত বছর ৭০ থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে ছিল। এবার সেই মাঝারি গরুর দাম হাকা হচ্ছে লাখ টাকার উপরে। আর ৫৫ থেকে ৬০ হাজারের ছোট গরুর দাম উঠেছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার। এক লাখ টাকার নিচে কোরবানীর পশুর দাম করাই দায় হয়ে পড়েছে। এবার সিটিহাটে উঠা খামারের গরুগুলো বেশিরভাগই মাছারি সাইজের। এসব গরু এক লাখ টাকার উপরে দাম হাকা হচ্ছে।
যারা সাত ভাগে কোরবানী দেয়ার জন্য হাটে এসেছেন তারা মূলত এক লাখ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানীর গরু হবে এমন চিন্তা করে এসেছেন। কিন্তু হাটে এসে ক্রেতারা হিসাব মেলাতে পারছেন না। ক্রেতারা সারা হাট ঘুরে হাপিয়ে উঠলেও কোরবানীর পশু কিনতে পারছেন না। আবার ব্যবসায়ীরাও নির্ধারিত দাম ছাড়া গরু ছাড়তে চাচ্ছেন না।
এতে দেখা গেছে, অনেক ক্রেতারা গরু না কিনেই বাড়ি যাচ্ছেন। অনেক ক্রেতারা আবার দাম কম পাওয়ার আশায় ছুটছেন রাজশাহীর উপজেলা পর্যায়ের ছোট হাটগুলোতে।
পুঠিয়া থেকে সিটিহাটে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী সালাম জানান, তিনি খামার থেকে এবার ২৫টি গরু আগেই কিনে রেখেছিলেন। গত বছর বড় গরু থাকলেও এবার তিনি মাঝারি সাইজের গরু কিনে রেখেছেন শুধু ঈদের জন্য।
তিনি বলেন, এবার মাঝারি সাইজের গরুর দাম ভাল। গত বছরের চেয়ে এবার গরু প্রতি ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি গরু।
তিনি বলেন, ২৫টি গরুর মধ্যে ইতোমধ্যে তিনি ১৫টি গরু বিক্রি করে দিয়েছেন। সব গরুগুলো বিক্রি হয়েছে লাখ টাকার উপরে। বাকি গরুগুলোও লাখ টাকার উপরে বিক্রি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে ছোট গরু নিয়ে হাটে আসা লোকমান হোসেন জানান, গরু ছোট হলেও ৭০ হাজারের কমে কোনো গরু তিনি বিক্রি করেন নি। মাঝারি গরুর মতই ছোট গরুরও দাম এবার ভাল।
তিনি বলেন, গরুর হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। কারণ যারা একক ভাবে কোরবানী দিবেন তারা ছোট গরুর দিকে ঝুঁকছেন। যারা ৭০ হাজার বা তার চেয়ে একটু বেশি কোরবানীর বাজেট রেখেছেন তারা মূলত ছোট গরুর লাইনে ঘোরাঘুরি করছেন। পছন্দ হলেও গরু কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর দাম বেশি। বড় গরুর ক্রেতা তুলনামূলক কম। তবে বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি। মাঝারি ও ছোট গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি গরুর প্রতি চাহিদা বেশিরভাগ মানুষের। আর যারা একা কোরবানি দেবেন তারা ছোট গরুর দিকে বেশি ঝুঁকছেন।
বেশিরভাগ বিক্রেতারাই বলছেন, সব কিছুর দাম বেশি। একটা গরুকে লালন-পালন করতে সব কিছুই কিনে খাওয়াতে হয়েছে। ফলে গরু পালন করতে খরচ বেশি হয়েছে। কিন্তু গরুর সঠিক দাম চাইলেও ক্রেতারা নারাজ হচ্ছেন। গরুটা যে কি খেয়ে এত বড় হলো সেটা তারা দেখছেন না। কোরবানির ঈদের আর বেশি দেবি নেই। শেষ সময়ে এসে রাজশাহীর পশুর হাটগুলো বিপুল পরিমান পশু আমদানি হচ্ছে।
দেখা গেছে, রাজশাহীর সিটি হাট ছাড়াও বানেশ্বর কলেজ মাঠে বসেছে গরুর হাট। কোরবানীর পশু আমদানি হচ্ছে তাহেরপুর, কেশরহাট, ভবানিগঞ্জ, তেবাড়িয়াসহ উপজেলার ছোটবড় হাটে। এসব হাটে দূর-দূরান্ত থেকে যেমন কোরবানীর পশু আমদানি হচ্ছে, তেমনি দুরদূরান্ত থেকে এসেছেন ক্রেতারাও।
সিটি হাটে কোরবানির গরু কিনতে আসা মামুন-উর-রশিদ বলেন, হাটে কোরবানির পশু তুলনামূলক ভালোই আমদানি হয়েছে। তবে গরুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। হাট ঘুরে বুঝলাম, বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর দাম বেশি। যেমন তেমন গরু হলেই এক লাখ টাকার বেশি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। একটু চোখে লাগা গরু হলে দেড় লাখ টাকা দাম চাচ্ছে। এতো দাম চাচ্ছে যাতে দাম বলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরিফুল ইসলাম নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, আমরা পাঁচজন মিলে কোরবানি দেব। আমাদের টার্গেট সাড়ে তিন থেকে চার মণের গরু কেনা। এই ধরনের গরুর দাম লাগবে ১ লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার। কিন্তু হাটে এসে দেখেছি তার চেয়ে বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে গরুর। হাটে সাড়ে তিন থেকে চার মণের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১ লাখ ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
রাজশাহী
গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছাড়াই পাঁচ জনের নিয়োগ
সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছাড়াই ৫টি পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে।
পরীক্ষা না নিয়ে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করে সুকৌশলে ৫টি পদের বিপরীতে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম ও সভাপতি মো. আব্দুস ছাত্তার।
জানা যায়, নিয়োগে অনিয়ম, গাছ বিক্রি, পুরাতন ঘর বিক্রি, হিসাবে গড়মিল, ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মসহ দুজনের গোপন আতাতে মোটা অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় বিদ্যানুরাগী ও সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবীতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অপসারনে বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরে চিঠি প্রেরনের খবরও পাওয়া গেছে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার ১১নং নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে গ্রামে অবস্থিত তিল তিল করে গড়ে ওঠা গ্রামবাসীর প্রাণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয় EIIN 128157।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নজরুল ইসলাম এবং সভাপতি মো: আব্দুস ছাত্তার মাষ্টারের যৌথ কারসাজীতে নানারকম অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্য হয়ে আসছে। ইতি মধ্যেই অত্র উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই ব্যক্তির গোপন চক্রান্তে ৫টি পদে ব্যাপক অর্থ বাণিজ্য ও অনিয়ম করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। যা অত্র এলাকায় বিদ্যানুরাগী ও সাধারণ মানুষের মনে ব্যাপক ক্ষোভ ও অশান্তির সৃষ্টি করেছে।
পদ ৫টি হলো (১) মো: মাসুদ রানা (OA CUM ACC), (২) মো: জুয়েল রানা (MLSS), (৩) মোছা: ছনিয়া খাতুন (AYAH), (৪) মো: আলমগীর হোসেন (N-GUARD), (৫) কাকলী ছন্দা ( ASST. LIBRAIAN CUM CATALOGER), সকলের ইনডেক্স তৈরী হয়েছে। গ্রামবাসী উপরোক্ত ব্যক্তিদের অবৈধ নিয়োগের বিরােধীতা এবং অর্থ বাণিজ্যের জন্য প্রধান শিক্ষক মো: নজরুল ইসলাম এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: আ: ছাত্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নজরুল ইসলাম বলেন, ৫টি নয় ৪টি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নগদ টাকা নেয়া হয়নি তবে জমি নেয়া হয়েছে। আরেকজনের নাম কিভাবে অনলাইনে পিআইডিএস আইডি ১০১২৯৯১৯০ এ আসলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের গোয়াল বাথান গ্রামের বাবুল আক্তার (বিএসসি) বলেন, এ নিয়োগে কোনো পরীক্ষা হয়নি। ৮ জানুয়ারী পরীক্ষার কথা বলছে অথচ ওই দিন এমপি জয়কে ফুলের মালা দেয়ার জন্য গিয়েছিল। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে আমরাসহ গ্রামের অনেকেই জানতো কিন্তু কেউ বলতে পারবে না। কাজেই নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হলো তা তদন্ত সাপেক্ষে উর্দ্ধতনদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও কাজলগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, জানুয়ারী ১ তারিখে ঢাকার উদ্দ্যশে ইজতেমায় যাই। ওইখান থেকে ৫ রমযানে বাড়িতে আসি। আসার পর প্রধান শিক্ষক ডেকে নিয়ে আমাকে মিষ্টি দিয়ে বলেছেন ৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কিভাবে নিয়োগ হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাওয়ার আগেরদিন আমার কাছ থেকে পিয়ন আনোয়ার সিল স্বাক্ষর নিয়ে রেখে দিছিলো। কিভাবে হলো আমি তা বলতে পারবো না।
নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি কাজিপুর এ.এম ইউ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ওই নিয়োগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ছিলেন। প্রার্থীদেরকে ৪০ মিনিটের পরীক্ষা নেয়া হয় এবং তারপরেই ফলাফল ঘোষনা করে চূড়ান্ত ফলাফল সীটে স্বাক্ষর দিয়ে চলে আসছি। সভাপতি ওই নিয়োগের সময় বাহিরে ছিলেন তাহলে ওই দিন তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষর কিভাবে হলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।
রাজশাহী
গলায় ফাঁস দিয়ে রুয়েট শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (২৫ মে) বিকাল ৩ টার দিকে সাধুর মোড়ের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম সৌভিক মল্লিক (২১) সে সিএসই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি মাগুরা জেলার রামকান্তপুর এলাকার সমির কুমার মল্লিকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আত্মহনকারী শিক্ষার্থী সমির কুমার মল্লিক সাধুর মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিকাল ৩ টার দিকে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরবর্তীতে তার সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, মৃতের পরিবারের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে।
পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজশাহী
প্রবাসীর ঘরে ঢুকে মা ও স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে আহত
সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর ঘরে ঢুকে মা ও স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা হলেন, প্রবাসীর স্ত্রী জোসনা খাতুন (২৩) ও মা মাজেদা বেগম (৬৫)।
শনিবার (২৫ মে) মধ্য রাত ২.৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের ভেওয়ামারা পুরাতন পাড়া (কারিগর পাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন আশপাশের লোকজন।
আহত জোসনা বেগম বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আমার শোবার ঘরে মুখোশধারী একজন ব্যক্তি ঢুকে। মাথার কাছে মোবাইলের আলো ও হাতের কোন একটা শব্দ পেয়ে জেগে উঠে দেখতে পাই মুখে ও মাথায় মুখোশ পড়া একজন ব্যক্তি। ভয়ে চিৎকারে পাশে শুয়ে থাকা শাশুড়ি জেগে উঠলে তাকে প্রথমে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। তখন বাধা দিলে ও আত্মচিৎকারে আমার বামপাশে বুকে ও হাতে চাকু দিয়ে মারতে থাকে একপর্যায়ে ঘরের টিন লাথি দিয়ে ভেঙ্গে বাহিরে চলে যায়।
আহত জোসনা বেগমের ভাই আলামিন বলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী কাওসার আকন্দের বাড়িতে বসবাস করত তার স্ত্রী জোসনা খাতুন, ছেলে হাবিবুল্লা (৩) মেয়ে আছিয়া (৭) ও মা মাজেদা বেগম।
শনিবার মধ্যরাতে কে বা কারা বাড়িতে ঢুকে দু’জনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় গোঙানির মতো শব্দ পেয়ে প্রবাসীর মেঝো ভাই শফিকুল গেটের ছিটকারী খুলে ছুরিকাগাতে আহত অবস্থায় মা ও ভাবীকে দেখতে পায়। পরে আশেপাশে লোকজনের সহযোগিতায় সিএনজি যোগে শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, রোগীর শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরন হয়েছে। রোগীর পরিবারকে রক্তের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং হাসপাতালে রোগীর তথ্যমতে ও দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
- অপরাধ5 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
- অপরাধ2 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- বাংলাদেশ4 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
- টুকিটাকি4 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
- জাতীয়3 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
- অপরাধ5 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
- ঢাকা6 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- শিক্ষা6 days ago
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি যেদিন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন