জাতীয় পার্টি
সাংবিধানিক ধারা মেনেই আগামী নির্বাচন হবে : রওশন এরশাদ
কোনো অসাংবিধানিক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না জাতীয় পার্টি। সাংবিধানিক ধারা মেনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ওই নির্বাচনেই অংশ নেবে জাতীয় পার্টি। বলেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদের বরাতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন রওশন এরশাদ।
বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, সাংবিধানিক ধারা মেনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনকালীন সরকার শুধু কমিশনকে সহায়তা করবে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয় না। নির্বাচন কমিশনই পারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে। অস্থায়ী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার যাই বলা হোক না কেনো, কোনো অসাংবিধানিক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না জাতীয় পার্টি।
অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর সমালোচনা করে রওশন এরশাদ বলেন, তারা কেউই জাতীয় পার্টি ও পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতি সুবিচার করেনি। নির্বাচন, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় পার্টির প্রতি নিরপেক্ষ আচরণ করা হয়নি। ৯১ সালেও অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়েছে, তারা জাতীয় পার্টি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের প্রতি অন্যায় করেছে।
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, গণতন্ত্রের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কখনই সুখকর নয়। বিশ্বের উন্নত গণতন্ত্র চর্চার দেশগুলোতে এমন ব্যবস্থা নেই। ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই হতে পারে গ্রহণযোগ্য সমাধান।
আগামী সংসদ নির্বাচনে বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রসমূহ ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষক হিসেবে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দ্বিপাক্ষিক আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখুন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও সাংবিধানিক বিষয়ের ওপর কারো অযাচিত হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন রওশন এরশাদ।
জাতীয় পার্টি
আওয়ামী লীগ জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে : জিএম কাদের
আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন সেগুলো জনগণ আর বিশ্বাস করে না। বললেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে কাদের এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগে গাছের মতো ছিল। যেখানে জনগণ আশ্রয় নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সামনের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। আর সেজন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
তিনি দাবি করেন, দেশের রিজার্ভ এখন ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই, প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে
প্রসঙ্গত, এর আগে সার্কিট হাউসে এসে পৌছালে প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগিত জানান।
আই/এ
জাতীয় পার্টি
‘রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক’
রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। রেলের ভাড়ায় রেয়াত তুলে দেয়ার সমালোচনাও করেছেন তিনি। এছাড়া পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া বহাল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জিএম কাদের।
শনিবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, রেল সাধারণ জনগণের বাহন। ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম ও নিরাপদ। বর্তমান বাজারে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ। তার ওপর তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের স্বাভাবিক আয় ব্যহত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক। রেলপথে ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসহনীয় কষ্ট সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বেড়ে যাবে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে।
তিনি বলেন, যারা রেলপথে চলাচল করে না তাদের জীবনেও এর বিরুপ প্রভাব পড়বে। আমরা আশা করছি রেলের রেয়াত বহাল রেখে সরকার রেলের ভাড়া সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় করে রাখবে।
এএম/
জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই : ফিরোজ
জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই। তারা এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে যেতে পারবে, কিন্তু আস্থার সংকট আছে। বন্দনা করা ছাড়া জাতীয় পার্টির সামনে আর কোনো রাজনীতি নেই। একমাত্র বন্দনা করে সংসদে ঢোকা ও নিজের কিছু আখের গোছানো ছাড়া। বললেন, জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এসব কথা বলেন ফিরোজ রশিদ।
ফিরোজ রশিদ বলেন, অনেক ছোট দলের কথাও গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হয়। কারণ তাদের রাজনীতি আছে। এজন্য জনগণ জাতীয় পার্টির ওপর মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্থানীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেনি। কাউকে করতেও বলে নাই। যদি কারও ইচ্ছা থাকে তারা করবে। তাঁর দল স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে মার্কা দিয়ে কোন হানাহানিতে যেতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে কেউ টিকতে পারবেনা। স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার কোন সুযোগ থাকবেনা। একটি দল ছাড়া অন্য দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।
জাতীয় পার্টির একাংশের এ নেতা বলেন, আজ অর্থনৈতিক ও ব্যাংক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বড় বড় ব্যাংকগুলো ছোট ছোট ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলোতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল লাগিয়ে তা গিলে খাওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আজ সংসদে কথা হচ্ছে না।
জাপা নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টিই মূল স্রোত। অচিরেই বুঝতে পারবেন লাঙ্গল কার। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে দাবি করেন এ জাপা নেতা।
প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিলের নির্ধারিত পরিচিত সভা স্থগিত করে আজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ১০টি স্থানে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মধ্যে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জাপা নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ।
আই/এ
- আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- খুলনা7 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন