Connect with us

স্বাস্থ্য

কাজে ফিরছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা

Avatar of author

Published

on

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক

আন্দোলন স্থগিত করে আগামী শনিবার (২২ জুলাই) থেকে কাজে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং আমাদের স্যারদের প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজে ফিরছি। তবে কাজে যোগ দেয়ার আগে শনিবার আমরা আমাদের ইউনিট হেডদের কাছে একটি স্মারকলিপি দেবো। সেখানে আমাদের চুক্তির কয়েকটি বিষয় থাকবে। সেই চুক্তির সবগুলো বাস্তাবায়ন করতে হবে। যদি না করে আমরা আবারও আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।

মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা ও তা নিয়মিত পাওয়ার দাবিতে ৯ জুলাই থেকে আন্দোলনে নামেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জুলাই স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীদের (ট্রেইনি চিকিৎসক) ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়।

Advertisement

পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর চারদিন পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বলা হয়েছে, ১৭ জুলাই বিএমএ প্রেসিডেন্ট ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ ভিসি ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন, মহাসচিব কামরুল হাসান মিলন এবং ডিজিএমই ডা. টিটু মিয়া’র সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি দলের মিটিং হয়েছে।

সেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়, ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা করা হবে এবং জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া ভাতা প্রতি মাসে দেয়া হবে এফসিপিএস ট্রেইনিদের। সাপ্তাহিক দুই কর্মদিবস ছুটি দেয়া হবে, প্রাইভেট প্র্যাকটিসে কোনো বাধা দেয়া হবে না (সিন্ডিকেট মিটিং এ পাসের পর), আন্দোলনরত অবস্থায় একাডেমিক অনুপস্থিতির জন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না এবং জানুয়ারি মাস থেকে আরেক ধাপ ভাতা বাড়ানো হবে।

পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তাবায়ন এবং বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা আগামী শনিবার থেকে কাজে ফিরবো। কাজে যোগ দেয়ার আগে শনিবার সকালে আমরা আমাদের ইউনিট হেডদের কাছে আমাদের চুক্তির বিষয়গুলো স্মারকলিপি আকারে জমা দেবো। আমাদের চুক্তির সবগুলো বিষয় বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি বাস্তবায়ন করা না হয়, আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।

কোনো চাপে পড়ে আন্দোলন স্থগিত করা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাবির হোসেন বলেন, না। এখানে কোনো ভয়ভীতি নেই। আমরা আমাদের শিক্ষকদের কথার ওপর আস্থা রেখে কাজে ফিরছি। আমরা বিশ্বাস করি, তারা তাদের কথার মূল্য দেবেন এবং কথার বরখেলাপ করবেন না।

চুক্তি লিখিত নাকি মৌখিক হয়েছে, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চুক্তি মৌখিক হয়েছে প্রথমে। মিটিংয়ে বিএমএ প্রেসিডেন্ট ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ ভিসি ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন, মহাসচিব কামরুল হাসান মিলন এবং ডিজিএমই ডা. টিটু মিয়া উপস্থিত ছিলেন। আমরা আমাদের এই স্যারদের প্রতি বিশ্বাস রেখে কাজে ফিরছি।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী, সহ-সভাপতি ডা. ইমরান সিকদার, ডা. ফরহাদ মিয়া এবং ডা. পার্সা রহমান।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে সবকিছু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

সামন্তলাল-সেন

ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্র, স্যালাইনসহ হাসপাতালে সার্বিক প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হলে এ বিষয়ে আরও উদ্যোগ নেয়া হবে। বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেনেভা ও লন্ডন ট্যুর নিয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা উচিত। শিগগিরই এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, যে প্রকল্প জনগণের উপকারে আসবে না, আগামী বাজেটে সেই প্রকল্প না রাখার পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিনের বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

শিশুদের বিনামূল্যে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই প্রথম অনুধাবন করেছিলেন, শিশুদের রাতকানাসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন খাওয়ানো ছাড়া উপায় নেই। বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নিপসমে শিশুদের মুখে ক্যাপসুল তুলে দিয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যে, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে নিকটবর্তী সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এর আগে, বেলুন উড়িয়ে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের একটি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আজ। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রোগব্যাধি

ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে ঢাকার ১৮ ওয়ার্ড

Published

on

এডিস মশা, ডেঙ্গু

বৃষ্টি শুরুর আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে রাজধানীতে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়েও বেশি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘মৌসুমপূর্ব এডিস সার্ভে ২০২৪’ এবং ‘মৌসুমপরবর্তী এডিস সার্ভে ২০২৩’ এর ফলাফল অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে গেলো ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাক-বর্ষা জরিপটি চালানো হয়।

জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে এডিস মশা বা তার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো তাই ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো– ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭ ও ৩৩নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো– ৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩নং ওয়ার্ড।

Advertisement

উল্লেখ্য, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ১২নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ১৩নং ও ২০নং ওয়ার্ড, এগুলোতে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। ৩৬নং ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৩১নং ও ৩২নং ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ, ১৭নং ও ৩৩নং ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ৪নং ওয়ার্ডে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৫২নং ও ৫৪নং ওয়ার্ডে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১৬নং ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে। আর ৩নং, ৫নং, ১৫নং, ১৭নং এবং ২৩নং ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রতিবছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মৌসুম পূর্ব, মৌসুম, মৌসুম পরবর্তী তিনটি জরিপ পরিচালনা করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কীটতত্ত্ববিদদের ২১টি টিমের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত