Connect with us

জাতীয় পার্টি

সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা তছনছ করেছে : জিএম কাদের

Avatar of author

Published

on

সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝি না, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিতে চাই। যাতে নির্বাচনে সরকার কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। আমরা ফর্মুলা দিতে পারি, সকল দল থেকে ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নির্বাচন ব্যবস্থা অবশ্যই সরকারের প্রভাবমুক্ত করতে হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে ইলেকশন নয় সিলেকশন হতে পারে। বলেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।

রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। তাদের স্বাগত জানিয়ে দেয়া বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, বর্তমান সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা তছনছ করে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে। বর্তমান সরকার একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছে। পেশাদার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে এখন আর নির্বাচন হয় না, সিলেকশন করে দেয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ধারা ধ্বংস করে কর্তৃত্ববাদী এক নায়কতন্ত্র চালু করেছে। আগামী নির্বাচনেও যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আর রাজনীতি বা রাজনৈতিক দল থাকবে না। দেশ এক নেতার অধীনে চলে যাবে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করা হবে।

তিনি বলেন, সরকার বলেছে সংবিধীধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার বলছে তাদের অনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু সরকার ছাড়া সকল রাজনৈতিক শক্তি ও সাধারণ মানুষ বলছে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বিশ্ববাসী দেখেছে দলীয় সরকারের অধীনে কেমন নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। সরকার বলছে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে, সাধারণ মানুষের ধারণা শতকরা ৫ ভাগ ভোটও সাধারণ মানুষ দেয়নি। ভোট যা পড়েছে তার প্রায় সবই তারা নিজেরাই দিয়েছে। জনগণ এই ভোটের ওপর আস্থা রাখেনি তাই তারা ভোটেও অংশ নেয়নি। নির্লজ্জভাবে এক প্রার্থীকে মেরে, এজেন্টদের বের করে দিয়ে নির্বাচনকে কলুষিত করেছে। সারাবিশ্বের কাছে প্রমাণ হয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কেমন হবে। ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের পর নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলার মুখ সরকারের নেই।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে রাস্তায় নামলে নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকারবিরোধীদের দমন করতে সব কিছুই করছে। মানুষকে মানুষ মনে করে না, বিরোধীদের ওপর পাখির মতো গুলি করা হয়। বর্তমান সরকারের দমন নীতিতে স্বাভাবিক রাজনৈতিক শক্তির টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই অর্থ ও জনবল না থাকলে মাঠে টিকে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। জাতীয় পার্টিকে সব চেয়ে বেশি দুর্বল করেছে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে সমর্থন দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। তারপর থেকে আওয়ামী লীগ সব সময় জাতীয় পার্টিতে বিভক্তি সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০১৪ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টির মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। জাতীয় পার্টির স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত করেছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে, জাতীয় পার্টি অনেকটা দুর্বল হয়েছে। আমরা এই অবস্থা থেকে বের হতে চাই।

Advertisement

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, আমরা জনগণের ভোটে জনগণের সরকার চাই। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা চাই আমরা। জনগণের পাশে আমাদের থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আমরা সাধারণ মানুষের পক্ষে থাকবো।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের সামনে অমানিশার অন্ধকার। কী হবে তা কেউ জানে না। সবার জিজ্ঞেসা কী হচ্ছে? কী হবে? আমেরিকাসহ প্রায় সকল বিদেশি বন্ধুরা জানতে চায় দেশে কী হতে যাচ্ছে?

 

এএম/

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয় পার্টি

আওয়ামী লীগ জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে : জিএম কাদের

Published

on

আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন সেগুলো জনগণ আর বিশ্বাস করে না। বললেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে কাদের এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন,  আওয়ামী লীগ আগে গাছের মতো ছিল। যেখানে জনগণ আশ্রয় নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সামনের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। আর সেজন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।

তিনি দাবি করেন, দেশের রিজার্ভ এখন ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই, প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে

প্রসঙ্গত, এর আগে সার্কিট হাউসে এসে পৌছালে প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগিত জানান।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

‘রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক’

Published

on

জিএম কাদের

রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। রেলের ভাড়ায় রেয়াত তুলে দেয়ার সমালোচনাও করেছেন তিনি। এছাড়া পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া বহাল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জিএম কাদের।

শনিবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, রেল সাধারণ জনগণের বাহন। ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম ও নিরাপদ। বর্তমান বাজারে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ। তার ওপর তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের স্বাভাবিক আয় ব্যহত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক। রেলপথে ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসহনীয় কষ্ট সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বেড়ে যাবে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে।

তিনি বলেন, যারা রেলপথে চলাচল করে না তাদের জীবনেও এর বিরুপ প্রভাব পড়বে। আমরা আশা করছি রেলের রেয়াত বহাল রেখে সরকার রেলের ভাড়া সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় করে রাখবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই : ফিরোজ

Published

on

জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই। তারা এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে যেতে পারবে, কিন্তু আস্থার সংকট আছে। বন্দনা করা ছাড়া জাতীয় পার্টির সামনে আর কোনো রাজনীতি নেই। একমাত্র বন্দনা করে সংসদে ঢোকা ও নিজের কিছু আখের গোছানো ছাড়া। বললেন, জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে  এসব কথা বলেন ফিরোজ রশিদ।

ফিরোজ রশিদ বলেন, অনেক ছোট দলের কথাও গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হয়। কারণ তাদের রাজনীতি আছে। এজন্য জনগণ জাতীয় পার্টির ওপর মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্থানীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেনি। কাউকে করতেও বলে নাই। যদি কারও ইচ্ছা থাকে তারা করবে। তাঁর দল স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে মার্কা দিয়ে কোন হানাহানিতে যেতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে কেউ টিকতে পারবেনা।  স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার কোন সুযোগ থাকবেনা। একটি দল ছাড়া অন্য দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।

Advertisement

জাতীয় পার্টির একাংশের এ নেতা বলেন,  আজ অর্থনৈতিক ও ব্যাংক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বড় বড় ব্যাংকগুলো ছোট ছোট ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলোতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল লাগিয়ে তা গিলে খাওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আজ সংসদে কথা হচ্ছে না।

জাপা নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টিই মূল স্রোত।  অচিরেই বুঝতে পারবেন লাঙ্গল কার। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে দাবি করেন এ জাপা নেতা।

প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিলের নির্ধারিত পরিচিত সভা স্থগিত করে আজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ১০টি স্থানে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মধ্যে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জাপা নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত