Connect with us

জাতীয়

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় দল আসবে ২৮ জুলাই

Avatar of author

Published

on

ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে আগামী ২৮ জুলাই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় দল বাংলাদেশ সফর করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবেন। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।

সোমবার (২৪ জুলাই ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টিম বাংলাদেশ সফরসহ ইএমএফের ধারাবাহিক কার্যক্রম বিষয়ে তথ্য সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল বাহার, মনির হোসেন ও সুলতানা রাজিয়া শিলা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে জার্মান, নেপাল, ভারত ও ভুটানসহ চার দেশের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রথম টিম বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। তারা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনসহ দেশের বেশকিছু রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের ছয় সদস্যের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় টিম বাংলাদেশ সফরে আসবেন। প্রতিনিধি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।

Advertisement

আগামী ২৮ জুলাই বাংলাদেশে সফরে আসবেন তাদের মধ্যে দ্বিতীয় টিমে রয়েছেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. টেরি এল ইসলে, আয়ারল্যান্ড হতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক বিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পউল, দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকারকর্মী মি. পার্ক চুং চাং, জাপান হতে সমাজকর্মী মি. ইউসুকী সুগু, যুক্তরাজ্যের লেখক ও গবেষক মি. মাইকেল জন শেরিফ এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. এন্ডি লিন।

এর পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তৃতীয় টিম বাংলাদেশে সফর করবেন। ওই টিমে থাকবেন মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশের প্রতিনিধিরা।

আগামী ২৮ জুলাই পর্যবেক্ষকদের দলের নেতৃত্ব দেবেন আয়ারল্যান্ড হতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক বিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পউল, উক্ত সফরকালে প্রতিনিধিরা আগামী ২৯ জুলাই সকালে নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ মূল্যায়ন শীর্ষক নাগরিক সংলাপে অংশগ্রহণ করবেন।

৩০ ও ৩১ জুলাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের সাথে মতবিনিময় করবেন।

এছাড়াও আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, জাসদ, ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময়ের কর্মসূচি রয়েছে।

Advertisement

অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য হলো আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা, সুষ্ঠু পরিবেশ, আইন শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক দলসমূহের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রস্তুতি, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতাসহ নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে একটি যৌথ প্রতিবেদন প্রকাশ করা।

তিনি আরও বলেন, পর্যবেক্ষক দলের সদস্যগণ নিজ নিজ অবস্থানে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ও তাদের নিজ দেশে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশিষ্ট নাগরিক। তাদের সফর বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করছি।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

Published

on

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার (২৭ জুলাই)। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

Advertisement

সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দু’য়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সারা দেশে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

Published

on

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরো একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং সকাল ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া, বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

উল্লেখ্য, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত