Connect with us

জাতীয়

নিবন্ধন না দেয়ায় ইসিকে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে এবি পার্টি

Avatar of author

Published

on

নির্বাচন ভবন

সকল শর্ত পূরণ সত্ত্বেও আমার বাংলাদেশ পার্টিকে (এবি পার্টি) নিবন্ধন না দেয়ার অভিযোগ করে এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে দলটি। একইসঙ্গে কমিশনের বিরুদ্ধে নিবন্ধন দেয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচারণসহ একাধিক অভিযোগও তুলেছে এবি পার্টি।

সোমবার (২৪ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিবকে দেয়া প্রতিবাদলিপিতে এসব অভিযোগ করে এবি পার্টি। দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে তাদের নিবন্ধন দেয়ারও দাবি জানানো হয়।

লিখিত অভিযোগে এবি পার্টি নিবন্ধনের ব্যাপারে ইসির তদন্ত কার্যক্রম, তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়েও উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়-গতবছরের ১৭ অক্টোবর আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেয়। আবেদন জমা দেয়ার পর নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এর নানা ত্রুটি সংশোধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। গেলো ১১ এপ্রিল সকল কাগজপত্র পরীক্ষা শেষে ৯৩টি রাজনৈতিক দল হতে মোট ১২টি রাজনৈতিক দলকে ইসি প্রাথমিক বাছাইয়ে আইনানুযায়ী যোগ্য বিবেচনা করে পরবর্তী ধাপে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মনোনীত করার কথা জানা যায় ‘এবি পার্টি’র নাম ১২টি দলের নামের তালিকায় এক নম্বরে ছিল।

এতে আরও বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯০ খ(১)(ক)(ই) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬ উপ-বিধি (ঞ)(ই) অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মনোনীত এই ১২ টি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় দফতর, জেলা ও মহানগর, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন থানা সমূহে দলের কার্যকর দফতর এবং তৎপরতা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম গেলো ২ মে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়। এবি পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হয়।

কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে বিভিন্ন জেলার এবং বেশ কিছু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রহস্যজনকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এবি পার্টির প্রতি বিদ্বেষ ও হয়রানিমূলক আচরণ করতে দেখা যায়।

Advertisement

বিষয়টি জানিয়ে ২৩ মে নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবরে একটি চিঠি ও স্মারকলিপি দেয়া হলেও কমিশন এ ব্যাপারে কোনো তদন্ত বা প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, গেলো ২২ জুন নির্বাচন কমিশন একটি পরিপত্র মারফত ১২টি দলের মধ্য থেকে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’সহ ৪টি রাজনৈতিক দলকে যাচাই বাছাইয়ে সঠিক পাওয়া ১০ শতাংশ এবং যাচাই-বাছাইয়ে আংশিক বা সম্পূর্ণ সঠিক না পাওয়া ১০ শতাংশ জেলা-উপজেলায় পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। গেলো ৩ থেকে ৭ জুলাই পরিচালিত ওই পুনঃতদন্ত কার্যক্রমেও দলের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়। সেই পুনঃতদন্তের রিপোর্টেও এবি পার্টি সকল বাস্তব তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য গেলো ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র ২টি দলকে নিবন্ধনের জন্য বিবেচিত হিসেবে ঘোষণা দেয়, এবি পার্টিসহ বাকী অন্যান্য দলকে নিবন্ধনের জন্য বিবেচনায় নেয়নি।

এবি পার্টি বলছে, একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের এমন পক্ষপাতমূলক ও বাস্তবতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত আমাদেরকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং জাতির কাছে এই কমিশনের গ্রহনযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই এবি পার্টিসহ সক্রিয় ও কার্যকর দলগুলোর নিবন্ধন দেয়ার জোর দাবি জানানো হয়েছে প্রতিবাদলিপিতে।

এএম/

Advertisement

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

সহিংসতায় দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে আহতদের খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগৃহীত ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের মধ্যে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)চিকিৎসাধীনদের খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগরে অবস্থিত ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের খোঁজখবর নেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এসময় আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর দেশবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’

এর আগে, শুক্রবার(২৬ জুলাই) কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের জরুরি ইউনিটে যান এবং চিকিৎসাধীনদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপির

Published

on

প্রতীকী ছবি

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরীকদল ও জোট, বাম-ডান দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে দলের প্যাডে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ঐক্যের আহবান জানানো হয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা নূন্যতম এক দফার ভিত্তিতে ও দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ এবং জাতির মুক্তি তরান্বিত করতে ইনশাল্লাহ।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ‘সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে সরকার পতনের আন্দোলন থাকে। উল্লেখযোগ্য  অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হলো-গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, এনডিএ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত